Header Ads

কাশ্মীর ইস্যুতে পাকমন্ত্রীকে তুলোধনায় ভারতের কূটনীতিবিদরা যথেষ্ট, রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে প্রমাণিত

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় : প্রসঙ্গ কাশ্মীর, আর কাশ্মীর থেকে তুলে নেওয়া ৩৭০ ধারা ও সেখানের মানবাধিকার। এই ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের মঞ্চ যে ভার- পাকিস্তান মহারণের রূপ নিয়ে নেবে তা অনেকেই ধারণা করেছিলেন। আর সেই ধারণা সত্যি করে, পাকিস্তানকে তুখোর জবাব দিয়েছে ভারত। 
পাক বিদেশমন্ত্রী মেহমুদ কুরেশি জেনেভায় আয়োজিত মানবাধিকার কাউন্সিলের বৈঠকে যোগ দিতে রাতারাতি পাকিস্তান থেকে রওনা হন। উদ্দেশ্য একটাই ছিল, কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়া ইস্যুতে তোপ দাগতে হবে ভারতকে। তবে পাকিস্তানের মন্ত্রীকে জবাব দেওয়ার জন্য যে ভারতের কূটনৈতিক আমলারাই যথেষ্ট, তা আঁচ করতে পারেনি ইসলামাবাদ।
পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী মেহমুদ কুরেশি কাশ্মীর ইস্যুতে রাষ্ট্র সংঘের মঞ্চে মানবাধিকার নিয়ে একের পর এক তোপ দাগেন ভারতের বিরুদ্ধে। এরপরই আসে ভারতের পালা। যেখানে ভারতের তরফে জম্মু ও কাশ্মীরের ভূমিপুত্র বিমর্ষ আরিয়ান কূটনীতিবিদ হিসাবে একাই কার্যত পাকিস্তানকে তুলোধনা করেন কাশ্মীর প্রসঙ্গে।
ভারতের তরফে রাষ্ট্রসংঘে স্থায়ী প্রতিনিধি বিমর্ষ বলেন, 'ভারতে সন্ত্রাসবাদী চালান করতে পাকিস্তান পারছে না ,কারণ ভারত পাকিস্তানের পায়ের মাটি কেড়ে নিয়েছে।' ২০১১ সালের আইএফএস ব্যাচের এই ক্যাডর এরপর একের পর এক তোপ দাগেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে।
ভারতের তরফে এদিন জানানো হয়, পাকিস্তানে , শিখ, খ্রিস্টান, শিয়া, হিন্দু ,আহমেদিয়াদের ওপর যেভাবে অত্যাচার চলছে, তাতে মানবাধিকার রক্ষার নামে পাকিস্তানের মিথ্যাচার আন্তর্জাতিক মহল কিছুতেই মেনে নেবে না । এরপরই ভারত জানিয়ে দেয়, যে দেশ সন্ত্রাসবাদের আঁতুর ঘর তার মুখে মানবাধিকারের প্রসঙ্গ মানায় না। কারণ মানবাধিকারের সবচেয়ে বড় শত্রু সন্ত্রাসবাদ।
পাকিস্তানের বিরোধীতা করে , ইসলামাবাদ কাশ্মীর প্রসঙ্গ নিয়ে যা বলেছে তার চরম বিরোধিতা উঠে আসে ভারতের তরফে। সরাসরিভাবে পাকিস্তানের মিথ্যাচারের মুখোশ ফাঁস করে দেয় ভারত।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.