Header Ads

ফের শনবিল পূর্বাঞ্চল মেডিক্যাল ডিমান্ড কমিটির ধর্না হাইলাকান্দিতে

জপমালা চক্রবর্তী, হাইলাকান্দি : শনবিলে মেডিকেল কলেজ স্থাপনে নিজের দেয়া প্রতিশ্রুতির কথা ফের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড: হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে টানা চার ঘণ্টার ধর্না কর্মসূচির মাধ্যমে স্মরণ করিয়ে দিল শনবিল পূর্বাঞ্চল মেডিকেল ডিমান্ড কমিটির হাইলাকান্দির কর্মকর্তারা।  উল্লেখ্য, গত বুধবার হাইলাকান্দি শহরের ব্যস্ততম এলাকার একাদশ শহীদ  সরণির পূর্তসড়কের পাশে অর্থাৎ ডিসি বাংলোর বিপরীতে শনবিলে মেডিকেল কলেজ স্থাপন করার দাবি জানিয়ে টানা চার ঘণ্টা ধর্নায় বসেন তারা। 
তাদের বক্তব্য হচ্ছে, গত বছর মে মাসে ড: হিমন্ত বিশ্ব শর্মা প্রকাশ্যে তাদের এই গণদাবির যৌক্তিকতা তুলে বলেছিলেন, স্থান বাছাইয়ে এক্সপার্ট টিম পাঠাবেন। কিন্তু এখন পর্যন্তও শনবিলে এধরনের কোন এক্সপার্ট টিম না আসায় তারা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। অথচ, এই অঞ্চলে পর্যাপ্ত জায়গা তথা সরকারের পরিত্যেক্ত জমি থাকার পাশাপাশি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এবং মেডিকেল ট্যুরিজমের সম্ভাবনা রয়েছে এসব চিন্তাধারা করেই এই স্থানটিতে মেডিকেল কলেজ নির্মাণের আর্জি জানান তারা। যদিও সরকার আগে মেডিকেল কলেজটি করিমগঞ্জ জেলায় স্থাপনের উদ্যোগ নেবে বলেছিল। তবে এরও অনেক আগেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড: হিমন্ত বিশ্ব শর্মা গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রচারে এসে প্রতিশ্রুতি তথা কথা দিয়েছিলেন যে, রাতাবাড়িতে দলীয় প্রার্থীকে জিতিয়ে আনলে, ওই পিছিয়ে পড়া অঞ্চলে একটি মেডিকেল কলেজ উপহার দেওয়া হবে। এছাড়াও, এমন স্থানে কলেজটি স্থাপন করা হবে, যাতে হাইলাকান্দি ও করিমগঞ্জ জেলার মানুষ সমভাবে উপকৃত হন বলে প্রতিশ্রুতির উপর প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি বর্ষিত করেছিলেন তিনি।  
সেই অনুযায়ী দুই জেলার মধ্যবর্তী স্থান হিসেবে এবং পর্যাপ্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকা শনবিলের পূর্বাঞ্চলে তারা মেডিকেল কলেজটি স্থাপনের দাবিটি জানিয়ে আসছিলেন। তাছাড়া, ডিমান্ড কমিটির দাবি অনুযায়ী, এখানে কলেজটি স্থাপন করার উদ্দ্যেশ্য হচ্ছে, এই দুই জেলার মধ্যবর্তী স্থান হচ্ছে এই পিছিয়ে পড়া রাতাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্র। আর এর থেকেও বড় কথা হচ্ছে, একনম্বর করিমগঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের আটটি বিধানসভার মধ্যে অন্ততঃ সাতটি বিধানসভা এলাকা সহ দুই জেলার সদরই সর্বাধিক উপকৃত হবে। সঙ্গে দুই জেলার গরিষ্ঠ সংখ্যক নাগরিকরাও সমভাবে উপকৃত হবে। কাজেই সবদিক বিবেচনা করেই জেলার বাসিন্দারা তথা ডিমান্ড কমিটির সদস্যরা তাদের এই গণআওয়াজ তথা গনদাবিকে মূল্য দিতে আবেদন জানান। এবং অবিলম্বে তাদের এই গণদাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এভাবেই তারা তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন তারা।  পরে তারা স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড: হিমন্ত বিশ্ব শর্মার উদ্দেশ্যে হাইলাকান্দির জেলাশাসকের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন। এবং এটার প্রতিলিপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, বরাকের দুই সাংসদ, রাজস্ব সচিব এবং দুই জেলাশাসকের কাছেও পাঠানো হয়। 
ওই দিনের ধর্না কর্মসূচিতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ডিমান্ড কমিটির সম্পাদক শশাঙ্ক শেখর দাস, মিহির কান্তি দাস, ভগবান দাস সারদা, সুদীপ পাল, সুরজিৎ দেব, প্রেমাংশু শেখর পাল, ক্ষীতিশ রঞ্জন পাল,হরিমোহন রাজভর, শুভসুন্দর দেব চৌধুরী,কল্লোল মজুমদার, কল্লোল চৌধুরী,  সুশীল পাল, অপু পাল, জহর চক্রবর্তী, হরনাথ চক্রবর্তী, এবাদুর কাজী,  রূপায়ণ ভট্টাচার্য্য, রজত পাল, আব্দুল বারি লস্কর এবং রঞ্জিত ঘোষ প্রমুখ।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.