বিহাড়ার প্রয়াত স্বাধীনতা সংগ্রামী নেপাল চন্দ্র ভট্টাচার্যের পরিবারও ঠাই পেল না এনআরসিতে
নয়াঠাহর প্রতিবেদন, বিহাড়া : রাষ্ট্রীয় নাগরিক পঞ্জির কর্ণধার প্রতীক হাজেলার আরেক তুঘলগি কাণ্ডের স্বাক্ষী হলেন বিহাড়াবাসী। বিহাড়ার পুরাতন বাসিন্দা স্বাধীনতা সংগ্রামী তথা ৪২ এর ভারত ছাড় আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করে জেলে যাওয়া প্রয়াত নেপাল চন্দ্র ভট্টাচার্যের পরিবারেরও নাম নেই এনআরসি তালিকায়।
রাষ্ট্রীয় নাগরিক পঞ্জি কর্তৃপক্ষের নজরে স্বাধীনতা সংগ্রামীরাও কি বহিরাগত ? এই প্রশ্নে চাঁপা ক্রোধ ও ভয়ের পরিবেশ বিরাজ করছে এলাকার জনমানসে। প্রয়াত নেপাল চন্দ্র ভট্টাচার্যকে সরকারের দেওয়া স্বাধীনতা সংগ্রামীর স্বীকৃতি স্বরূপ তাম্রপত্র ও স্বাধীনতা সংগ্রামীর পেনশনের কাগজও রয়েছে। উনার মৃত্যুর পর উনার স্ত্রীও পেয়েছেন সেই পেনশন। ১৯৪৮ সালে তৎকালীন অবিভক্ত কাছাড়ের জেলাশাসক প্রয়াত নেপাল চন্দ্র ভট্টাচার্যকে স্বাধীনতা সংগ্রামী হিসেবে বিহাড়াতে জমি দান করেন। এই জমিতেই প্রয়াত নেপাল চন্দ্র ভট্টাচার্যের পরিবারের সদস্যরা বাস করছেন। তারা ভারতের নাগরিক হিসেবে তাদের হাতে অনেক পুরাতন রেকর্ডও রয়েছে বলে জানান প্রয়াত নেপাল চন্দ্র ভট্টাচার্যের ছেলে তথা বিহাড়া যুধিষ্ঠির সাহা স্কুলের করনিক জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য।
তিনি আরও বলেন তার জন্ম ১৯৫৯ সালে বিহাড়াতে। চাকরিও বিহাড়াতে করছেন। আগামী ডিসেম্বরে তিনি চাকরি থেকে অবসর নিচ্ছেন। এনঅরসির যাবতীয় ভেরিফিকেশনে কাগজপত্র সহ জ্যোতির্ময়বাবু ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত থেকেছেন। এরপরও তাদের নাম না আসায় জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েন। নাগরিকপঞ্জিতে প্রয়াত নেপাল চন্দ্র ভট্টাচার্যের পরিবারের যাদের নাম আসেনি তারা হলেন উনার পুত্র জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য,সজল ভট্টাচার্য, স্বপন ভট্টাচার্য ও ছেলের দিকের নাতি রণজয় ভট্টাচার্য।
কোন মন্তব্য নেই