ধর্মীয় স্থানে পশু বলি নিষিদ্ধ, ত্রিপুরা হাইকোর্টের এই রায়কে স্বাগত জানান পিএফএ প্রধান সঙ্গীতা গোস্বামী
![]() |
| ছবি- ত্রিপুরা হাইকোর্ট। |
অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : বিভিন্ন মন্দির বা ধর্মীয় স্থানে পশু বলির বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক রায় দিলো ত্রিপুরা হাইকোর্ট। শুত্রুবার ত্রিপুরা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জয় কারোল এবং বিচারপতি অরিন্দম লোধ এই ঐতিহাসিক রায় দিয়ে রাজ্যের যে কোনো ধর্মীয় স্থানে পশু বলির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।
ত্রিপুরার দুর্গাবাড়ি, উদয়পুরের মাতা বাড়িতে পশু বলির বিধান আছে। আসন্ন দুর্গাপূজায় দুর্গাবাড়িতে পশুবলি দেওয়া যাবে না। জেলার প্রাক্তন বিচারপতি সুভাষ ভট্টাচার্য জনস্বার্থে ত্রিপুরা হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদন অনুযায়ী হাইকোর্ট এই রায় দিয়ে ধর্মীয় স্থানগুলিতে কড়া নিরাপত্তা বিধানের জন্যে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে সংবাদ সূত্রে জানা গেছে।
![]() |
| পিএফএ'র রাজ্য সভানেত্রী সঙ্গীতা গোস্বামী |
ত্রিপুরা হাইকোর্টের এই ঐতিহাসিক রায়কে স্বাগত জানিয়েছে পিপল ফর এনিম্যালস'র অসম শাখা। পিএফএ'র সভানেত্রী সঙ্গীতা গোস্বামী আজ এই প্রতিবেদকে বলেন, অসমে বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানী বলি বিধান বন্ধে তিনি বহু বছর থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। গুয়াহাটি হাইকোর্টে জনস্বার্থে এক আবেদনও করা হয়েছিল, কিন্তু তা খারিজ করে দেওয়া হয়। পশুপ্রেমী মানেকা গান্ধীর সর্ব ভারতীয় সংগঠন 'পিপল ফর এনিম্যালস' অসম-এর রাজ্য সভানেত্রী সঙ্গীতা গোস্বামী বলেন, ধর্ম বা মন্দিরের কথা তিনি বলছেন না। কোনও ধর্মস্থানে যেন পশু হত্যা করা না হয়। নিষ্ঠুরতা যেন বন্ধ করা হয়। কাম্যাখ্যা মন্দিরে পশু বলি বন্ধের দাবিতে পিএফএ বহু বছর থেকে আন্দোলন করে যাচ্ছে।
নেপালের রাজা একবার কামাখ্যা মন্দিরে পশুবলি দিতে এসে পিএফএ'র বাধার সন্মুখীন হন। পুলিশের সাহায্য নিতে হয়েছিল রাজাকে। তিনি বলেন, নিরীহ পশুদের রক্ত ঝরিয়ে পূণ্য হতে পারে না। ১৯১৩ সালে পিএফএ-এর বলি বিধান বন্ধের আর্জি খারিজ করে হাইকোর্ট রায় দিয়ে বলেছিল, এই সমাজে দীর্ঘ বছর থেকে বহাল থাকা রীতি নীতি, পরম্পরা মানুষের ভাবাবেগে আঘাত দেওয়া কাজে হস্তক্ষেপ করা সমীচীন নয়। পিএফএ'র সভানেত্রী সঙ্গীতা ত্রিপুরা হাইকোর্টের ঐতিহাসিক রায় দানে বেজায় খুশি হয়ে বলেন, "পশু বলি বন্ধে আমার আন্দোলন আরও জোরদার হবে।"










কোন মন্তব্য নেই