Header Ads

অস্ট্রেলিয়ায় আন্তর্জাতিক সেমিনারে যোগ দিতে এসে কিছু অভিজ্ঞতা (পর্ব ৩)

সিডনি থেকে বিষ্ণু চন্দ
নয়া ঠাহর ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ার এক আন্তর্জাতিক সেমিনারে যোগ দিতে এসে আমি সেখানের কিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের কাছে ব্যক্ত করছি। আগের দুটি পর্বে মেলবোর্ন ও সিডনি শহরের কিছু অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করেছি। এবারের  পর্বে যে সেমিনারে যোগ দিতে আমার এখানে আসা, সেই সেমিনার বা কনফারেন্স এর বিষয়ে কিছু কথা আপনাদের কাছে ব্যক্ত করছি।  যে কনফারেন্সটা চলছে, এটা অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শহরে এবার প্রথম হচ্ছে। এর আগে এটা আমেরিকা ও কানাডা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিলো। গোটা পৃথিবীর অন্যান্য শহরগুলিতে একসাথে বিশ পঁচিশ হাজার লোককে একত্রিত করে কোনও সভা বা সেমিনার করার মতো সভাগৃহ প্রায় নেই বললেই চলে। আমরা সবাই দেখেছি ডাউন স্কোয়ারে এক্সেলেটারে প্রায় বিশ/ বাইশ বার নীচে নেমে নেমে, তার নীচে এ হল। এই হলেই একসাথে আমরা ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার লোক মিলে মিটিং করছি। ৫০৩টি  ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, ৮১ টা দেশ, প্রায় ১৪ হাজার ইন্টারন্যাশনাল এজেন্ট সবাই একত্রিত হয়ে একই প্লাটফর্মে আমরা মিটিং করছি। সে এক দারুণ ব্যাপার।
গোটা পৃথিবীতে এরকম কনভেনশন সেন্টার নেই। কারণ, এম ডি আর টি চায় গোটা পৃথিবী জুড়ে ধারাবাহিক ভাবে এই কনভেনশন করতে। বাস্তবে তা হয় না। গত জুন মাসে আমেরিকাতে এরকম একটা কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমি সেখানেও অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। সেটা ছিল বার্ষিক সম্মেলন।
তবে, এখানে শেখার জায়গাটা ছিল অনেক বেশি। দুর্দান্ত প্রোগ্রাম হয়েছে। কখনো হিন্দীতে, কখনো ইংলিশে। যেমন, চীনারা চীনাদের মতো প্রোগ্রাম করছে। আবার সবাই ফিরে এসে একই প্লাটফর্মে একত্রিত হয়েছি। সবমিলিয়ে দারুন একটা কনফারেন্স চলছে।
এ কনফারেন্স এক সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে চার সেপ্টেম্বর অবধি চলে। বিভিন্ন দেশ যেমন, আমেরিকা, চীন, জাপান এবং একইভাবে বিভিন্ন রাজ্য যেমন ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ, মনিপুর ইত্যাদি বিভিন্ন দেশ তথা রাজ্যের মানুষের সঙ্গে পরিচিত হয়েছি। একসাথে ওদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করছি। সত্যিই, এ এক দারুণ অভিজ্ঞতা আমার জীবনের।  
এক মজার ব্যাপার হল এখানে আমার এক সহকর্মী তথা বন্ধুর সাথেও দেখা হলো। উনি সুদূর কলকাতা থেকে এই সেমিনারে যোগ দিতে এসছেন। আমি কথা প্রসঙ্গে উনার সাথে আপনাদের 'নয়া ঠাহর' এর কথা আলাপ করেছি। তো, উনি ভীষণ উৎসাহী। তাই উনিও আপনাদের ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে দুএকটা কথা বলতে চান।
"নমস্কার, আমি প্রসেনজিৎ মিস্ত্রী, প্রথমেই 'নয়া ঠাহর' গোষ্ঠীকে আমার তরফ থেকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি, আমাদের অস্ট্রেলিয়া সফরের অভিজ্ঞতা আপনাদের ওয়েব পোর্টালে এতো সুন্দর করে ছাপানোর জন্য। আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়টাও একটু দিয়ে দিচ্ছি। আমি কলকাতায় থাকি, আমার ব্রাঞ্চ হচ্ছে আলিপুর ব্রাঞ্চ। আমি গত ২০ বছর থেকে (এলআইসি) নিয়ে কাজ করছি এবং গোটা পশ্চিমবঙ্গ তথা ত্রিপুরার হয়ে এই সেমিনারে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব নিয়ে সিডনিতে এসছি।"
"আমি বিষ্ণু চন্দকে ব্যাক্তিগত ভাবে চিনি। একদিকে ও আমার বন্ধু এবং সহকর্মী। বিষ্ণু আসামের এক প্রত্যন্ত গ্রামের খুব গরীব ঘর থেকে উঠে আসা এক নক্ষত্র যে ইন্স্যুরেন্সের মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। একমাত্র বিষ্ণুই পারে বা পারবে গোটা পৃথিবীকে মালার মতো গেঁথে দিতে। দেখুন, গোটা পৃথিবীর ৮১ টা দেশ আজ এক হয়ে গেছে এম ডি আর টি এর নামে। অর্থাৎ মিলিয়ন, ডলার, রাউন্ড, টেবিল এর নামে।"
"খেলাধুলোর জগতে অলিম্পিক হচ্ছে  একজন খেলোয়াড়ের কাছে একটা বিরাট প্লাটফর্ম। ঠিক তেমনি একজন অভিনেতা - অভিনেত্রীর কাছে অস্কার হচ্ছে একটা বিরাট পুরস্কার। ঠিক তেমনই একজন আন্তর্জাতিক এজেন্টের কাছে সবচেয়ে বড় পুরস্কার হচ্ছে এই এম ডি আর টি প্লাটফর্ম।"
"বিষ্ণু এই জায়গাটা ছুঁতে পেরেছে। যার ফলে বিষ্ণুকে ডেকে পাঠানো হয়েছে সুদূর অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে গোটা আসামের হয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য। আর বিষ্ণু হল এম সি সি কমিটির লোকাল চেয়ার। সবমিলিয়ে আমি এটাই বলবো যে আসামের বুকে দাঁড়িয়ে বিষ্ণু চন্দ যেভাবে কাজ করে যাচ্ছে, তথা দেশের অন্যান্য ছেলে মেয়েরা যারা এজেন্ট হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে এই প্লাটফর্মে আসার জন্য। বিষ্ণু চন্দ অতি অবশ্যই এদের পথ দেখাবে।"
"বিষ্ণুর প্রচন্ড কর্মতৎপরতা, বুদ্ধিমত্তা অবশ্যই আসামের মানুষদের উপকৃত করবে । বিষ্ণুর পথ ধরে গোটা আসাম এগোবে, আসামের পথ ধরে গোটা ভারতবর্ষের মুখ উজ্জ্বল হবে, এবং গোটা পৃথিবীকে বিষ্ণু পথ দেখাবে বলে আমি আশাবাদী। বিষ্ণুর আরও উন্নতি হউক, তার কর্মতৎপরতা তাকে উন্নতির উচ্চ শিখরে নিয়ে যাক এই কামনা করছি। এবং সেইসঙ্গে  নয়া ঠাহর গোষ্ঠীর প্রতি আমার অসংখ্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে তাঁদের দীর্ঘায়ু কামনা করছি। তাছাড়া, এই ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে নিজের কিছু অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করে নিজেকে ভীষণ আনন্দিত ও ধন্য মনে করছি। ধন্যবাদ।"
ধন্যবাদ প্রসেনজিৎ। সেইসঙ্গে আমিও (বিষ্ণু চন্দ) সবাইকে অভিনন্দন জানাচ্ছি, সবাই যেন আশীর্বাদ রাখেন। আপনাদের আশীর্বাদ আমার কর্মময় জীবনের পাথেয় হয়ে থাকবে। সেইসঙ্গে, নয়া ঠাহর ওয়েব পোর্টালের প্রতিও রইলো আমার অসংখ্য ধন্যবাদ, শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
 (আন্তর্জাতিক এক সেমিনারে যোগদানের জন্য শিলচর প্রতিবেদক সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ায় সফররত।)

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.