Header Ads

এবার গগণযান, মহাকাশে মানব পাঠানোর জন্য প্রথম নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করল বায়ুসেনা

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় : ভারতীয় বায়ু সেনার উচ্চাকাঙ্ক্ষী গগনযান (Gaganyaan) মিশনের জন্য মহাকাশ যাত্রীর নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে। পাইলটদের শারীরিক পরীক্ষা, প্রয়োগশালা পরীক্ষা, রেডিওলজিক্যাল পরীক্ষা, ক্লিনিকাল পরীক্ষা আর মনোবৈজ্ঞানিক পরীক্ষা করে পুনর্বিবেচনা করা হয়েছে। বায়ুসেনা সুত্র থেকে জানা যায় যে, প্রাথমিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ২৫ টেস্ট পাইলট অংশ নিয়েছিলেন। নির্বাচনী প্রক্রিয়া এখনো কয়েক দফায় হবে, আর মাত্র ২ থেকে ৩ জন পাইলট শেষ তালিকায় নাম তুলবে।
বায়ুসেনা ট্যুইট করে জানান, মিশন গগনযানের পাইলটের জন্য বায়ুসেনা ইনস্টিটিউট অফ এয়রোস্পেসে প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষা সম্পূর্ণ করেছে। এই টেস্টে পাইলটদের শারীরিক পরীক্ষা, প্রয়োগশালা পরীক্ষা, রেডিওলজিক্যাল পরীক্ষা, ক্লিনিকাল পরীক্ষা আর মনোবৈজ্ঞানিক পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রতিবেশী দেশ চীন মহাকাশে মানব যান পাঠানোর মিশনকে পূরণ করে নিয়েছে ঠিকই কিন্তু মহাকাশ অভিযানের ক্ষেত্রে ভারত এবার চীনকে বহু পেছনে ফেলে দিতে চলেছে।
গগনযানের সফলতা আসার পর ভারত মহাকাশ অভিযানের ক্ষেত্রে চীনকে টপকে যাবে। কে সিভান দাবি করেছেন--গগনযানের পর ভারত মহাকাশ ক্ষেত্রে এমন শক্তি অর্জন করবে যা এখনো পর্যন্ত কোনো দেশের কাছেই নেই। ভারত গগনযানকে চন্দ্রমার সাউথ পোলে পাঠাতে চলেছে। এখানে এখনো অবধি কোনো দেশ যান পাঠাতে সক্ষম হয়নি।
কে সিভান আগেই জানিয়েছিলেন যে, গগনযান প্রেরণ করার আগে পরীক্ষার জন্য আরো দুটি যান প্রেরণ করা হবে। এই যান দুটিতে মানব এর মত সেনসেটিভ রোবট প্রেরণ করা হবে।
ইসরো (ISRO)’র চেয়ারম্যান বলেন এর আগে যানের মধ্যে কোনো প্রাণী বা জন্তুকে পাঠানো হতো কিন্তু এতে বিশেষ কিছু তথ্য জানা যেত না।এখন এই বিষয়ের উপর বিবেচনা করে ইসরো (ISRO) প্রথমে সেনসেটিভ রোবোট এবং এরপর মানব প্রেরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এই পরীক্ষার ফলে ISRO জানতে পারবে মানবদেহ মহাকাশে কোন কোন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। ইসরো (ISRO) দেশের যুবকদের এই যান সম্পর্কে সচেতন করার জন্য এবং যুবসম্প্রদায়কে বিজ্ঞানের প্রতি আরো আকর্ষিত করার জন্য দেশজুড়ে ব্যাপক অভিযান চালাবে। ইসরো চেয়ারম্যান জানিয়েছিলেন যে, দেশজুড়ে যে সমস্ত মানুষ মহাকাশ নিয়ে প্রচুর আগ্রহ রাখেন এবং জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন তাদের চিহ্নিত করা হবে। এই সমস্ত ভারতীয়দের ইসরো (ISRO) কেন্দ্র দেখানো হবে এবং বেশকিছু প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এই সমস্ত কিছুর জন্য মোদী সরকার দেশে ৬ টি সেন্টার নির্মাণ করছে যার মধ্যে আগরতলায় একটা সেন্টার নির্মাণের কাজ সমাপ্ত হয়েছে।
ভারতীয় বিজ্ঞানমহল মনে করছেন, ভারত এই দশকে নতুন দিশায় হাঁটতে শুরু করেছে। আগত দশকে ভারত সামরিক, আর্থিক বিকাশের সাথে সাথে বিজ্ঞান ও টেকনোলজির দিকেও প্রথম স্থানে আসবে যার জন্য দেশের বহু সংখ্যক যুবকের যোগদান অতি আবশ্যিক বলে মত বিজ্ঞানমহলের।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.