Header Ads

আজাদী চাইতে রাস্তায় বেরিয়ে পড়লো পক-এর হাজার হাজার মানুষ, হতাশ ইমরান খানের সরকার

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় : জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা সমাপ্ত হওয়ার পর যেখানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে চলেছে সেখানে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মানুষ বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেছে। পক-এর জনগণ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলনে নেমে পড়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরে ‘সবকিছু ঠিকঠাক চলছে না’ এ কথা বলে, পাকিস্তান জাতিসঙ্ঘ থেকে শুরু করে ইসলামিক দেশগুলিকে নিজের পক্ষে নিয়ে আসার চেষ্টা করছে, তবে পাকিস্তানকে ব্যর্থতার সম্মুখীনই হতে হচ্ছে। জম্মু ও কাশ্মীরে পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্বাভাবিক। এনএসএ অজিত ডোভালও বিশেষ বিশেষ এলাকা পরিদর্শন করেছেন এবং সরাকরি আধিকারিকদের থেকে লাগাতার পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে চলেছেন।
প্রাপ্ত তথ্যসূত্র অনুযায়ী, জনতা পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও পুলিশ সংঘটিত নৃশংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে চলেছে। অনেকে ‘পাকিস্তান থেকে মুক্তি’ এই দাবিতে প্রতিবাদে যোগ দেন। তাদের মতে পাকিস্তান অবৈধভাবে তাদের অঞ্চল দখল করেছে। এই প্রতিবাদকে দমন করতে পাকিস্তান এই অঞ্চলে সব যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্লক করে দিয়েছে এবং মোবাইল পরিষেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানি পুলিশ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে বর্বরতা প্রদর্শন করছে এবং গুলি চালিয়েছে।
শনিবার বিক্ষোভকারী শতাধিক মানুষকে পুলিশ অত্যাচার করে দমন করার চেষ্টা করে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ আর.কে সেহগাল বলেছেন, বালুচিস্তান ও সিন্ধুর মতো পাক সেনাবাহিনী পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার করছে। মানবাধিকার প্রতিনিয়ত লঙ্ঘিত হচ্ছে। ৩৭০ অপসারণের পর ভারত সরকারের টার্গেট পাক অধিকৃত কাশ্মীর, যেখনের মানুষ পাকিস্তানের অত্যাচার থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে।
পক-এর মধ্যে গিলগিট ও বালতিস্তানও পড়ে। আর এই গিলগিট-বাল্টিস্তান ভৌগোলিক দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি ভারতকে বিদেশী আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে হয় তবে এই এলাকাটি ভারতের অন্তর্ভুক্ত করা অতি আবশ্যক। শুধু এই নয়, এখানে খনিজ কাঁচামাল এর বিশাল ভান্ডার রয়েছে। যার জন্য চীন ওই এলাকাটিকে দখল করার পরিকল্পনাও করেছিল।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.