Header Ads

ইংরেজদের আরেকটা স্মৃতি মুছে ফেলার জন্য পদক্ষেপ নিতে চলেছে মোদী সরকার

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় : মোদী সরকার ইংরেজদের আরেকটি স্মৃতি মুছে ফেলার জন্য পার্লামেন্টের নতুন বিল্ডিং বানানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। ভারতের আকর্ষণীয় বিল্ডিং গুলোর একটি হল সংসদ ভবন, আর তিন বছর পর থেকে সেখানে আর পার্লামেন্ট বসবে না। ২০২২ এর সংসদ অধিবেশন নতুন বিল্ডিংয়ে বসবে। কেন্দ্র সরকার নতুন বিল্ডিং বানানোর জন্য রিকুয়েস্ট ফর প্রপোজাল (আরএফপি) জারি করেছে। পার্লামেন্টের বর্তমান বিল্ডিং ১৯২৭ সালে ইংরেজরা বানিয়েছিল।
এবার এটা দেখতে হবে যে, কোন কোম্পানির এই বিল্ডিং এর ডিজাইন গৃহীত হয়। স্বদেশী এবং আন্তর্জাতিক কোম্পানিরা যাতে নতুন বিল্ডিংয়ের ডিজাইন দেখাতে পারে, সেই জন্য ২রা সেপ্টেম্বর একটি আরএফপি করা হয়েছিল। বর্তমান পার্লামেন্ট বিল্ডিং-এর পুননির্মাণ করা হবে, নাকি নতুন করে বিল্ডিং বানানো হবে, এই নিয়ে নিজেদের মতামত পেশ করবে কোম্পানি গুলো। আজকের সময়ে সাংসদ তাদের সেক্রেটারি এবং অন্যান্য আধিকারিকদের বসার মতো পর্যাপ্ত জায়গা নেই পার্লামেন্ট বিল্ডিংয়ে।
পার্লামেন্ট ভবনের শিলন্যাস ১৯২১ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ডিউক অফ কনাট করেছিলেন। আর এই ভবনের শুভারম্ভ তৎকালীন ভায়সরয় লর্ড হরবিন ১৮ই জানুয়ারি ১৯২৭ সালে করেছিলেন। এই বিল্ডিং এর বয়স এখন ৯২ বছর হয়ে গেছে। লোকসভার কার্যকাল শুরু হওয়ার পর স্পীকার ওম বিরলা বলেছিলেন যে, আমাদের সবার চাহিদা, বিশ্বের সবথেকে বড় গণতান্ত্রিক দেশের সংসদ ভবন বিশ্বের সবথেকে সুন্দর এবং আকর্ষণীয় হোক।
৯২ বছর আগে ভারত তখন পরাধীন ছিল, আর সেই সময়ে এই ভবনের নির্মাণ হয়েছিল। তখন এই ভবন বানাতে মোট ৮৩ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছিল। কিন্তু এবার নতুন বিল্ডিং বানাতে কয়েকশ কোটি টাকা খরচ হতে চলেছে। পুরনো বিল্ডিং এর ডিজাইন ব্রিটিশ আর্কিটেক এডউইন লুটিয়ান এবং হার্বাট বেকার করেছিলেন। এই বিল্ডিং এর আর্কিটেক বিদেশী হলেও, বিল্ডিং টি সম্পূর্ণ স্বদেশী সামগ্রী দিয়েই করা হয়েছিল। এই বিল্ডিং প্রস্তুত করতে ভারতীয় শ্রমিকদের কাজে লাগানো হয়েছিল।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.