Header Ads

তৃণমূল বিধায়কদের মধ্যে বসেই লাখ টাকার প্রশ্নের উত্তর দেবশ্রীর, আরও জটিল ধাঁধা

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় : তাঁকে নিয়ে রহস্যের শেষ নেই। প্রায় মাসাবধি কাল হন্যে হয়ে ঘুরেও ফোটোগ্রাফারদের ক্যামেরার লেন্স খুঁজে পায়নি তাঁকে। ২৭ দিন পর তাঁর দেখা মিলল বিধানসভায়। সব জল্পনা সরিয়ে তিনি এলেন। বসলেন তৃণমূল বিধায়কদের পাশেই। রহস্যভেদ হল না ঠিকই, কিন্তু রায়দিঘির তৃণমূল বিধায়র দেবশ্রী রায় সেই লাখ টাকার প্রশ্নের উত্তর দিতে কুণ্ঠা করলেন না।
১৪ আগস্ট শোভন-বৈশাখীর বিজেপিতে যোগদানের দিন বিজেপির সদর দফতকে এক ঝলক দেখা গিয়েছিল দেবশ্রীকে। তাঁকে নিয়ে তৈরি হয়েছিল রহস্যের জটাজাল। তিনিও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করতে চলেছেন- এমন খবর রটে গিয়েছিল তৎক্ষণাৎ। শোভনের আপত্তিতেই তা আটকে যায় বলে খবরে প্রকাশ।
এরপর দেবশ্রীর বিজেপিতে যোগদান নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। দেবশ্রীকে নিয়েই শোভন-বৈশাখীর সঙ্গে তরজা শুরু হয়ে যায় দিলীপ ঘোষ ও জয়প্রকাশ মজুমদারের। তারপর জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ও দেবশ্রীর পক্ষে সওয়াল করে শোভন-বৈশাখীর বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে দেন বিজেপিতে। তারপর দেবশ্রীর হঠাৎ দেখা অবশ্যই তাৎপর্যপূর্ণ।
এর মাঝে রাতের অন্ধকারে একবার দেবশ্রী রায় দিলীপ ঘোষের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন বলে খবর রটে যায়। এবার তিনি নিজে থেকেই ধরা দিলেন বিধানসভায়। সটান বিধানসভায় ঢুকে তিনি তৃণমূলের মহিলা বিধায়কদের দিকে চলে যান। সেখানে বসেন। আর বসেই তিনি উত্তর দেন কে তাঁকে বিজেপির দফতরে নিয়ে গিয়েছিল।
এদিন তথ্য-সংস্কৃতি স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে হাজির হয়ে দেবশ্রী জানান, শোভন-বৈশাখীর যোগদানের দিনে একটি এনজিও তাঁকে নিয়ে গিয়েছিল বিজেপিরি সদর দফতরে। কোন এনজিও, কে তাঁকে নিয়ে গিয়েছিল, তা অবশ্য খোলসা করেননি। এখন তৃণমূল ও বিজেপি উভয়েই সেই এনজিও-র রহস্যভেদের চেষ্টা চালাচ্ছে। আরও জটিল হল ধাঁধা।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.