এনআরসি নিয়ে নেলেক-এর সাধারণ সম্পাদকের আবেদন
নয়া ঠাহর, শিলচর : 'নর্থ ইস্ট লিংগুইস্ট কো - অর্ডিনেল কালচ্যারেল অর্গেনাইজেশন' নামক সংগঠন স্বেচ্ছায় এনআরসির আইনি সাহায্য প্রদানে এগিয়েে এসেছে। সংস্থা এক আবেদন পত্রের মাধ্যমে জানায় এনআরসিতে নাম না উঠা সকল ভুক্তভোগী ব্যক্তিদেরকে সংগঠনের আইনজীবীরা স্বেচ্ছায় সাহায্য করতে প্রস্তুত। বরাক উপত্যকার তিন জেলার জনসাধারণকে এ কথা অবগত করেন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক কংকন শিকদার।
উল্লেখ্য, 'নেলেক' প্রথম থেকেই শুদ্ধ ত্রুটিমুক্ত এনআরসির জন্য এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল রূপায়ণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের উপর চাপ সৃষ্টি করে আসছে। কিন্তু, এনআরসির নামে, ডি - ভোটারের নামে, ডিটেনশন কেম্প এর নামে আর বর্তমান এফটি কোর্টের নামে ধর্মীয় শরণার্থীদের অমানবিক নির্যাতন তথা হয়রানি করা হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ' নেলেক ' জনসাধারণকে আবেদন পত্রের মাধ্যমে অবগত করেছে। এককথায়, দরিদ্র, ভুক্তভোগী জনগনকে আইনি সাহায্যের জন্যই নেলেকের জন্ম। তাছাড়া, গত ৩১/০৮/২০১৯ ইং তারিখে প্রকাশিত এনআরসির পূর্ণাঙ্গ তালিকায় বিভিন্ন ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর প্রায় ১৪ লক্ষ হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ, পারসি, খ্রীষ্টান নাগরিকদের নাম বাদ দেওয়া হয় এবং কোন এক অজ্ঞাত চাপে অনুপ্রবেশকারীদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অথচ, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ধর্মীয় নির্যাতিত শরণার্থীদের কোনভাবেই বিদেশি বলে গণ্য করা হবে না।
এ পরিস্থিতিতে নির্যাতিত ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের রক্ষাকবচ হিসেবে বিবেচিত ভারত সরকারের জারি করা সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৫ জোড়া অধ্যাদেশ বলবৎ হওয়া জরুরী বলে নেলেক মনে করে। এছাড়াও, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এই অধ্যাদেশগুলি বলবৎ হলেও কোন এক অজ্ঞাত কারনে আসামে তা আজ অবধি কার্যকর হয়নি। তাই, নির্যাতিত নাগরিকদের এনআরসি সম্পর্কিত অসহায়তার সময়ে 'নেলেক' দীর্ঘ মেয়াদী কিছু কর্মসূচি হাতে নিয়েছে়। কর্মসূচির প্রথম পর্যায় হিসেবে সেপ্টেম্বর ২৪, (মঙ্গলবার) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বরাক উপত্যকার তিন জেলার জেলা উপায়ুক্তের কার্যালয়ের সামনে এক প্রতিবাদী ধর্না কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
নেলেক ' এর দাবিসমূহ হল:- ১। নির্যাতিত ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ( বাংলাদেশ, পাকিস্তান থেকে আসা) বিনা শর্তে নাগরিকত্ব দিতে হবে।
২। অবিলম্বে ভারত সরকারের দ্বারা সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৫ জোড়া অধ্যাদেশ বলবৎ করতে হবে।
৩। অবিলম্বে সংশোধিত রূপে সিএবি আইনে রূপায়িত করতে হবে।
৪। আসাম চুক্তির ৬ নং ধারা অনুযায়ী কোন প্রকার সং।রক্ষণের ব্যবস্থা মানা হবে না।
৫। ডিটেনশন ক্যাম্প এ বন্দি হিন্দু নাগরিকদের মুক্ত করতে হবে।
৬। আসাম চুক্তির ৬ নং ধারা রূপায়ণ কল্পে গঠিত উচ্চস্তরীয় সমিতিতে প্রত্যেক ভাষাগোষ্ঠীর প্রতিনিধি রাখতে হবে।
৭। বিদেশি নাম থাকা এনআরসি মানা হবে না।
কোন মন্তব্য নেই