সারের ও চালের বস্তার আড়ালে কয়লা পাচার বরাকে
নয়া ঠাহর প্রতিবেদন, বদরপুর : চারদিকের নজরদারি এড়িয়ে কয়লা পাচার করতে নয়া পন্থা নিয়েছে সিন্ডিকেট। লরিতে কয়লার উপর সার ও চালের বস্তা সাজানো। এভাবেই সবার চোখ এড়িয়ে প্রতিদিনই পাচার হচ্ছে কয়লা। উড়ছে দেদার টাকা। লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে ছাড় পাচ্ছে কয়লাবাহী লরি দিসপুর ভিত্তিক নয়া সিন্ডিকেটর কবজায় কালো হীরের বাণিজ্য। সিন্ডিকেটের তৎপরতায় অসম মেঘালয় সীমান্তে জাঁকিয়ে বসেছে কয়লার কালো ব্যবসা। এ অভিযোগ এখন ব্যাপক চর্চার বিষয় হয়ে ওঠেছে। বিগত কয়েক দিন ধরে অবৈধ কয়লার ট্রাক মালিডহর চেকগেট পার হয়ে বরাকে ঢুকেছে।
![]() |
| ছবি- সৌজন্য ইন্টারনেট। |
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রচারিত হলেও কিন্তু বিন্দুমাত্র হেলদোল নেই কাছাড় পুলিশের। অবৈধ পন্থায় মেঘালয়ের কয়লা দেদার প্রবেশ করছে বরাকে। দিগরখাল দিয়ে বরাকে প্রতি রাতে ঢুকছে অবৈধ কয়লা।
উল্লেখ্য, বিগত বহুদিন ধরে মেঘালয় থেকে দিঘরখাল হয়ে অবৈধ কয়লা সিন্ডিকেট চক্রের মাধ্যমে বরাকে প্রবেশ করছে কয়লা। এতে কোটি কোটি টাকা অবৈধ ভাবে রোজগার চলছে। এমনকি, এসবে মন্ত্রী, বিধায়ক, প্রশাসনিক আধিকারিক জড়িত থাকার অভিযোগে রাজ্যের রাজনীতি তোলপাড়, যা’র রেশ এখনও কাটছে না।গুমড়া পুলিশ ফাঁড়ির তত্বাবধানে এসব অবৈধ কয়লার কালো কারবার এখনও প্রতি রাতে অব্যাহত আছে। বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ এবং সংবাদ মাধ্যমের কড়া নজরদারির পরিপ্রেক্ষিতে, দিঘরখাল হয়ে কয়লা পাচারের ছক মেলানো সকলের পক্ষে সম্ভব না হওয়ায় বিকল্প পথ নিয়েছে সিন্ডিকেট। পথটা কী। সুত্রের খবর অনুযায়ী, লরিতে কয়লার উপর চালের বস্তা থরে থরে সাজিয়ে রাখা হচ্ছে । এতে চট করে লরিতে যে কয়লা পাচার হচ্ছে সেটা সাধারন চোখে ধরা মুস্কিল। এতে পাবলিককে ফাঁকি দেওয়া যাচ্ছে । আর প্রসাশনও যেহেতু ম্যানেজড কাজেই এই পথে কয়লা পাচার করতে কোন অসুবিধাই নেই।









কোন মন্তব্য নেই