Header Ads

জবা রায়ের খুনীদের ফাসির দাবীতে থানায় বিক্ষোভ, রোষের মুখে পড়ে ভাঙচুর বিদুৎ দফতরের গাড়ি

দক্ষিণ দিনাজপুর : বৃহস্পতিবার দুপুরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর শহরে প্রায় ৫ হাজার প্রতিবাদী মানুষের বিক্ষোভে আকাশ পাতাল ফেঁটে পড়লো। প্রসঙ্গত, গত ৭ তারিখে গঙ্গারামপুর সুকদেবপুর গ্রামের জবা রায়কে ধর্ষন করে গলা কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করে নরপিশাচরা। এরপরই ক্ষোভে ফেঁটে পড়ে সারা গ্রাম সহ জেলার মানুষ, অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার ও ফাসীর দাবী জানতে থাকেন গ্রামের মানুষরা।
এরপর গতকাল রাতে ভারত-বাংলাদেশ হিলি সিমান্ত থেকে পুলিশ অভিযুক্ত মহম্মদ পিন্টু সরকারকে গ্রেফতার করে। জানা গেছে, পিন্টু গঙ্গারামপুর হাসপাতাল এলাকার একটি ল্যাবে কাজ করেন। সে বিবাহিত এবং তা বাধেও একাধিক বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ উঠেছে। মৃতা জবা রায় ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল বলে সুত্রের খবর, অভিযুক্ত পিন্টু ভিন্ন ধর্মের বলে জবা রায় অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কথা জানতে পেরে তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে এবং তার জেরেই জবাকে ফোন করে ডেকে নিয়ে গিয়ে নদীর ধারে নৃশংস ভাবে গলা কেটে খুন করা হয় বলে অনেকে মনে করছেন।
ছবি-সৌজন্য ইন্টারনেট।
এদিন প্রায় ৫ হাজার প্রতিবাদী গ্রামবাসী হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে গঙ্গারামপুর বাসষ্ট্যান্ড থেকে মিছিল করে থানার সামনে জমায়েত হয়। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন রাজবংশী জন জাগোরন চেতনা মঞ্চের সাধারন সম্পাদক বিপ্লব বর্মন ও গঙ্গারামপুর বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক সত্যেন রায় সহ আরো অন্যান্যরা। এদিন প্রাক্তন বিধায়ক সত্যেন রায় ও রাজবংশী জন জাগোরন চেতনা মঞ্চের সাধারন সম্পাদক বিপ্লব বর্মন প্রায় দুজনেই ক্ষোভের সুরে বলেন, জঘন্যতম ঘৃন্য কাজের শাস্তি ফাঁসী, আজ জবাকে যে ভাবে হত্যা করা হয়েছে এর কোন ক্ষমা নেই পাশাপাশি প্রশাসন সক্রিয় মূল অভিযুক্ত ধরা পড়েছে, আর কোন মায়ের কোন যাতে শূন্য না হয় তার জন্য প্রশাসনের কাছে একটাই অনুরোধ দোষীদের ফাঁসী দিন যাতে আর কেউ এরকম ঘৃণ্য অপরাধ করতে দশবার ভাবে। এরপর সত্যেন রায়, বিপ্লব বর্মন, নিকোলাস মার্ডী ও জবা রায়ের মা বোন সহ কয়েকজনের সাথে আইসি পূর্নেন্দু কুমার কুন্ডুর কথা বলে অবিলম্বে দোষীরা যাতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাই তার আশ্বাস দেন। 
অন্যদিকে থানার সামনে জমায়েত গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকলে ওই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় বিদুৎ দফতরের একটি গাড়ী জনরোষের সামনে পড়ে এবং ভাংচুর চালানো হয়। এরপর পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠলে কমব্যাট ফোর্স ও বিশাল পুলিশ বাহিনী রাস্তায় নেমে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এরপর অতিরিক্ত এসপি ডাব্লু ভুটিয়া, এসডিপিও বিপুল ব্যানার্জী  ও আইসি পূর্নেন্দু কুমার কুন্ডুর সাথে বিশাল পুলিশ বাহিনী অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পায়ে হেঁটে বাসষ্ট্যান্ডে টহল দেন। পরিস্থিতি এখন শান্ত হলেও জবা রায়ের গ্রামের মানুষদের মনে ক্ষোভ ও ক্রোধের আগুন জ্বলছে তা বলাই বাহুল্য। এখন এটাই দেখার এই ঘৃণ্য ও জঘন্যতম অপরাধের অভিযুক্তদের প্রশাসন কি শাস্তি দেন। সকলের একটাই দাবী মানুষরুপী এই সব নরপিশাচদের হাতে জবা রায়ের মতন আর কোন মেয়েদের যেন অঘোরে প্রান না দিতে হয় বলে সবাই বারবার ফাঁসীর দাবী তুলেছেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.