Header Ads

ধাক্কা দিলেন যোগী ! এবার থেকে চার দশকের প্রথা ভাঙবেন মন্ত্রীরা

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় : চার দশকের প্রচলিত প্রথা ভেঙে দিল উত্তর প্রদেশের যোদী আদিত্যনাথের সরকার। এবার থেকে নিজেদের আয়কর নিজেরাই দেবেন উত্তর প্রদেশের মন্ত্রী। ভিপি সিং মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় থেকে উত্তর প্রদেশের মন্ত্রীদের জন্য রাজ্যের কোষাগার থেকে আয়কর দেওয়ার প্রথা চালু হয়েছিল। মন্ত্রীরা গরিব, এই অজুহাতে প্রথা চালু হয়েছিল আটের দশকে।
১৯৮১ সালে উত্তর প্রদেশ মিনিস্টার্স স্যালারিস অ্যালাউন্সেস অ্যান্ড মিসলেনিয়াস অ্যাক্ট লাগু হয়। সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর অনেক রাজনীতিবিদ বলেন, তাঁরা এই আইন সম্পর্কে কিছুই জানেন না। তবে যোগী আদিত্যনাথ সরকার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নিয়েছে। আইনটিকে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। 
রাজ্যের অর্থমন্ত্রী সুরেশ কুমার খান্না জানিয়েছেন, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এবং অন্য মন্ত্রীদের নিজেদের কর নিজেদেরই দিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। 
১৯৮১ সালে বিশ্বনাথ প্রতাপ সিং মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় থেকে এখন পর্যন্ত ১৯ জন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। মন্ত্রী হয়েছেন ১০০০ জনেরও বেশি। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী এতদিন পর্যন্ত যেসব মুখ্যমন্ত্রী নিজেদের আয়কর বাঁচিয়েছেন, তাঁরা হলেন, যোগী আদিত্যনাথ, মূলায়ম সিং যাদব, অখিলেশ যাদব, মায়াবতী, কল্যাণ সিং, রামপ্রকাশ গুপ্তা, রাজনাথ সিং, শ্রীপতি মিশ্র, বীরবাহাদুর সিং এবং এনডি তিওয়ারি। 
সূত্রের খবর অনুযায়ী, গতবছরেও উত্তর প্রদেশের রাজ্য কোষাগার থেকে ৮৬ লক্ষ টাকা বেরিয়ে গিয়েছে এই কর মেটাতে গিয়ে। নির্বাচনী লড়াইয়ের সময় দেওয়া এফিডেভিট অনুযায়ী মায়াবতীর সম্পত্তি ১১১ কোটির বেশি এবং অখিলেশের সম্পত্তি ছিল ৩৭ কোটি। আর যোগী আদিত্যনাথের সম্পত্তি প্রায় ৯৬ লক্ষ টাকা। তাহলে গরিবের সংজ্ঞা কী প্রশ্ন উঠেছিল বিভিন্ন মহল থেকে। এরপর শোরগোল শুরু হতেই আইন বাতিল করে দেওয়া হল।
যদিও কেউ কেউ বলছেন এই আইনের কথা তাঁরা জানতেন না। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন, বিজেপি নেতা এবং রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী লালজি বর্মা। তিনি বলছেন, যতদূর মনে পড়ে, নিজের কর তিনি নিজেই মিটিয়ে ছিলেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.