Header Ads

অসম বন কর্মচারী সংস্থার শহীদ দিবস পালন

শুভ সুন্দর দেব চৌধুরী, বদরপুর : অসম বনকর্মচরী সংস্থার  উদ্যোগে গোলাঘাট ফরেস্ট ডিভিশনের আয়ত্তাধীন এলাকার স্থানীয় ডিস্ট্রিক্ট লাইব্রেরীতে অসম বনকর্মচারীদের শহীদ দিবস পালিত হয গত বুধবার । এ অনুষ্ঠানে অসম বন কর্মচারী সংস্থার বরাক উপত্যকার আঞ্চলিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পৃথ্বীজিৎ দাস,উপ-সভাপতি ধ্রব পুরকায়স্থ ও সদস্য জ্যোতির্ময় দাস, কনোজ নাথ, হোসেন আহমদ প্রমুখরা বনকর্মচারি সংস্থার পঞ্চদশ শহীদ দিবসে, শহীদদের প্রতি প্রণাম ও শ্রদ্ধা জানান। 
অনুষ্ঠানে কাজিরাঙা রাষ্ট্রীয় অভয়ারণ্যের ডিরেক্টর পি.সি. কুমারও উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন - ভারতীয় বনবিভাগের সীমান্তবর্তী এলাকা গুলিতে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স তথা সেনারা যেভাবে নিজের রাষ্ট্রকে রক্ষা করতে আত্নবলিদান দিয়ে শহীদ হচ্ছেন, তাদের এই আত্মত্যাগকে সম্মান জানিয়ে সরকার সেইসব শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রীয় সম্মান ও তাদের পরিবারের প্রতি সরকারের তরফ থেকে অনেক রকম সুযোগ - সুবিধা দেওয়া হয়। কিন্তু, বনবিভাগের ক্ষেত্রে তা হয়না। উনার বক্তব্য হচ্ছে,  সেরকম বনবিভাগের বনকর্মচারীরাও কিন্তু একই ভাবে বন ও পরিবেশ রক্ষা  সহ  বন্যপ্রানী রক্ষায় বনদস্যুদের সাথে লড়তে হচ্ছে। তাছাড়া,বিশ্বের পরিবেশ রক্ষায় গাছ-পালা লাগিয়ে অক্সিজেন ভাণ্ডার জোগান দেওয়া তথা বন্যপ্রাণী  সুরক্ষা ও বনসম্পদকে সংরক্ষণ করতে নিজেদেরকে বনদসু, বনানী হরণকারীদের সাথে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে প্রান আহুতি বা আত্ম বলিদান দিয়ে যাচ্ছেন। অথচ, তাদের উদ্দেশ্যে বা তাদের পরিবারের প্রতি সরকারকে কোনও সমবেদনা বা সম্মান জানাতে দেখা যায়নি। বতর্মানে ও এইসব বনবিভাগের শহীদদের প্রতি বা শহীদ পরিবারের প্রতি এই ধরণের সুযোগ - সুবিধা বা কোনও পদক্ষেপ নিতে অথবা ইচ্ছা প্রকাশের উদ্দ্যোগ নিতে দেখা যায়নি সরকারের উদ্যোগে। 
গতবছর ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ তে, বনবিভাগের শহীদ দিবসে হোজাই ফরেস্ট ডিভিশনের  অসম বন কর্মচারি সংস্থার পক্ষ থেকে আয়োজিত শহীদ দিবসের অনুষ্ঠানে বনমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্যকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু তিনি আসেননি। ঠিক সেই রকম এবারও গত ১১ সেপ্টেম্বর বুধবার, বনবিভাগের শহীদ দিবসে বনমন্ত্রী কে একইভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু, এবারও তিনি বিশেষ কাজের অজুহাত দেখিয়ে অনুষ্ঠানে আসেননি। তবে, উনার উপস্থিত না থাকার কারন জানাবার দায়িত্ব পড়েছিল অসমের মুখ্য বনসংরক্ষক এ.এম. সিং উপর।  তিনিও ভাষণে সংস্হার উপস্থিত সদস্যদিগকে বনমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানে না আসার কারণ  বক্তব্যে জানানি । এ নিয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত বনবিভাগের সকল কর্মচারী তথা কাজিরাঙ্গা রাষ্ট্রীয় অভোয়ারণ্যের ডিরেক্টর পি.সি কুমার গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন সরকারি ভাবে এই ধরনের অনুষ্ঠানে উদ্যোগ না নেওয়া জন্য।  অনুষ্ঠানের শেষ সময়ে  তিনি  বলেন,আগামী বছর ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২০ এ কাজিরাঙ্গা রাষ্ট্রীয় অভয়ারণ্যে  বনবিভাগের তরফ থেকে বিশাল বনবিভাগি ও বনকর্মচারি, বন আধিকারিক নিয়ে সমাবেশ ও শহীদ দিবস পালিত করাবার প্রচেষ্টা তিনি নিছেন বলে  আগ্রহ প্রকাশ  করলেন। সে অনুষ্ঠান তথা সমাবেশে তিনি সবাইকে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ।সংস্থার বরাক শাখার আঞ্চলিক সমিতির সূত্রের খবরটি নয়া ঠাহরকে  জানানো হয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.