Header Ads

বালাকোট জঙ্গি ঘাঁটির হামলা বড়সড়ই ছিল, স্বীকার ইমরান খানের

নয়া ঠাহর প্রতিবেদন : পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের রাজধানী মুজফ্ফরাবাদে আইনসভার এক বিশেষ অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান নিজের বক্তব্যে কার্যত স্বীকার করে নিলেন যে বালাকোটে বড়সড় হামলা চালিয়েছিল ভারত। ইমরানের আশঙ্কা, ৩৭০ ধারা বিলোপের পর পাক অধিকৃত কাশ্মীরে আরও বড় কোন হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে ভারত।
ইমরানের আশঙ্কা, তাদের কাছে খবর রয়েছে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ভারত আক্রমণ চালানোর পরিকল্পনা করছে।পুলওয়ামার হামলার পর ভারত বালাকোটে আক্রমণ চালিয়েছিল। তেমনই এবার বালাকোটের আক্রমণ থেকেও আরও ভয়াবহ কোনও কিছুর পরিকল্পনা করছে। ইমরানের এই অকপট স্বীকারোক্তির জেরে বালাকোটে থাকা জঙ্গি ঘাঁটিতে ভারতের হামলা যে ভয়াবহ ছিল তা স্পষ্ট হয়ে গেল।
ইমরানে রাজনীতির ময়দানে টেক্কা দিতে সোমবার মুজফ্ফরাবাদে ঈদ পালন করেছিলেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা নিহত প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো ছেলে বিলাবল  ভুট্টো। সেখানে বিলাবল বয়ান দেন, দরকারে তাঁরা সরকারের সঙ্গে মিলে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করবেন কাশ্মীর ইস্যুতে। অন্য সব বিষয়ে সরকারের সঙ্গে মতবিরোধ থাকলেও কাশ্মীর নিয়ে তাঁরা সরকারের পাশে আছেন। বুধবার পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস কার্যত পালন করা হল 'কাশ্মীর সংহতি দিবস' হিসাবে। বুধবারই পাকিস্তান মুসলিম লিগের নেতা দুর্নীতির অভিযোগে জেলবন্দি প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই শাহবাজ শরিফ এবং বিলাবল ভুট্টো দুজনেই ট্যুইট করে জানিয়েছেন, কাশ্মীরি ভাইদের লড়াইয়ে পাশে আছেন। তথৈবচ পাক অর্থনৈতিক হাল ও কাশ্মীর নিয়ে এই লড়াইয়ের জিগিরে পর এক পাকিস্তানি সাংবাদিকের তীর্যক মন্তব্য, সিন্ধু প্রদেশের ভয়াবহ বন্যা সামলাতে যারা হিমশিম, তারা আবার কাশ্মীরিদের ভরসা যোগাতে এগিয়ে এসেছে ।
পাকিস্তানের ৭৩তম স্বাধীনতা দিবসে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ইমরান বিজেপি ও আরএসএসের সমালোচনায় মুখর হন। ইমরান বলেন,  বিজেপি ও আরএসএস অন্যকে ঘৃণা করতে শেখায়। বিজেপি সরকার কাশ্মীরে থেমে যাবে না। এরপর তারা পাকিস্তানের দিকে হাত বাড়াবে। তেমন কিছু হলে পাকিস্তানও পাল্টা দেবে।




গত 26 ফেব্রুয়ারি ভারতের বায়ুসেনা সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনওয়া প্রদেশের বালাকোটে জঙ্গি সংগঠন জইশ - ই- মহম্মদের ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছিল । ভারতের দাবি ছিল এই হামলার জেরে বহু জইশ জঙ্গি মারা গেছে । পাকিস্তান সে সময় পাল্টা দাবি করেছিল,  ভারত ফাঁকা জায়াগাতে হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তানের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এই হামলার মাসখানেক পর নিজেদের দাবি পোক্ত করতে পাকিস্তান বালাকোটে কয়েকজন বিদেশি সাংবাদিককে নিয়ে গিয়ে কোনও একটা ফাঁকা জায়গা ঘুরিয়ে দেখিয়েছিল। পাকিস্তানের উদ্দেশ্য ছিল এটা বোঝান যে ভারতের হামলায় কেউ মারা যায়নি। কিন্তু বুধবার পাক স্বাধীনতা দিবসে ইমরান যেভাবে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, তাতে স্পষ্ট হয়ে গেছে বেশ বড়সড় হামলা চালিয়েছিল ভারত এবং এই হামলায় যে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল তাও স্পষ্ট হয়ে গেছে । ওয়াকিবহাল মহলের মতে , বালাকোটে হামলা নিয়ে যারা সংশয় প্রকাশ করেছিলেন সে সময়, তাদেরও কার্যত জবাব মিলল ইমরানের স্বীকারোক্তিতে ।



ইমরান বুধবার বলেন, কাশ্মীর ইস্যুতে তাঁরা রাষ্ট্রসঙ্ঘে যাবেন,  প্রতিটা আন্তর্জাতিক মঞ্চে যাবেন। ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিসের কাছেও যাবেন 
। বস্তুত, কাশ্মীর ইস্যুতে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সাড়া না পেয়ে হতোদ্যম ইমরান সরকার বয়ানবাজি করে বাজার গরম করতে চাইছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের ।



কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের মিত্র দেশ চিনের সমর্থনও জোটাতে পারেনি পাকিস্তান । চিনের মাটিতে দাঁড়িয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর জানিয়ে দিয়েছিলেন, কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় । নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী় সদস্য রাশিয়া সরাসরি ভারতের সমর্থনে কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে ।।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.