জল সমস্যা জেরে পুর ভোট বয়কটের ডাক
নয়া ঠাহর প্রতিবেদন বদরপুর : দোহাই আগামী পুর নির্বাচনে আর আপনাদের প্রার্থী নিয়ে আমাদের দুয়ারে ভোট ভিক্ষা চাইতে আসবেন না। আমরা আপনাদের সন্মান রাখতে পারব না। জল কষ্টে জেরবার বদরপুর হিল কলোনির বাসিন্দারা এ ভাবেই জেলা বিজেপি সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্যের কাছে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন। প্রায় নয় মাস ধরে পাণীয় জল পাচ্ছেন না বদরপুর রেলের হিল কলোনির একটা অংশের প্রচুর সংখ্যক বাসিন্দা। সংখ্যার হিসাবে শো' খানেক। এক নম্বর ওয়ার্ডের এই এলাকা পুরপতি দীপঙ্কর রায় কর্মকারের। তাকে অভিযোগ জানালে তিনি পুর কর্মীরা লাইনের ফল্ট কোথায় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে হাত উল্টে বসে থাকেন। অগত্যা বাধ্য হয়ে বাসিন্দারা নিজেরাই খোঁজাখুঁজি করে ফাটা পাইপের হদিশ বের করে টাউন কমিটিকে জানান। কিন্তু এবার অন্য সমস্যা। ইনঞ্জিনিয়ারের স্ত্রী অসুস্থ। চিকিৎসার জন্য বাইরে । ফলে মেরামতি সম্ভব নয়।
পিএইচই-তে নালিশ জানালে এটা টাউন কমিটির কাজ। তারা তৎপর না হলে পিএইচই কিছু করতে পারবেনা বলে বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ এলাকাবাসীদের ফেরৎ পাঠিয়ে দেন। এই সব টাল বাহানা চলছে নয় মাস ধরে। এই সব বাসিন্দারা এক ফোঁটা জল পাননা। বাঁচার জন্য এদের রেলের পাইপের জল দূর থেকে বালতি করে বয়ে নিয়ে আসতে হয়। জুমবস্তি এম ই স্কুলের অবসর নেওয়া হেড স্যার পান্না দে গত পুর নিবাচনে নিজের মূল্যবান ভোটটা পদ্ম ফুলে দিয়েছিলেন বলে আজ পস্তাচ্ছেন। তার কথায় - আচ্ছে দিনের আশায় বিজেপিকে ভোট দিয়েছিলাম। কিন্তু এরা এত নিষ্কর্মা জানলে কোন অবস্থায় এই ভুল করতাম না। সম্প্রতি করিমগঞ্জ জেলা বিজেপি কার্যালয়ে হিল কলোনির বাসিন্দারা বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য এবং জেলা সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্যের সঙ্গে দেখা করে সমস্যা তুলে ধরেন। দুই নেতাই বদরপুর টাউন কমিটি পরিচালনায় দলীয় ব্যর্থতার কথা প্রকারান্তরে মেনে নিলেও কোন পদক্ষেপ নেননি। এতে ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা সুব্রতদের সঙ্গে অসহযোগিতার বার্তা দেন।
কোন মন্তব্য নেই