শনবিল পূর্বাঞ্চল মেডিকেল কলেজ ডিমান্ড কমিটির জনসভা
নয়া ঠাহর প্রতিবেদন, হাইলাকান্দি : শণবিল পূর্বাঞ্চল মেডিকেল কলেজ ডিমান্ড কমিটি শনিবার তাদের বৃহৎ গণদাবিকে কেন্দ্র করে হাইলাকান্দি মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের কার্যালয়ে এক সংবাদ মেল তথা সভার আয়োজন করেন। সভায় বক্তব্য রাখেন কমিটির সাধারণ সম্পাদক শশাঙ্ক শেখর দাস। তিনি বলেন বিগত বিধানসভা বাজেটে অসম সরকার রাজ্যে ৪ টা মেডিকেল কলেজ স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এর মধ্যে করিমগঞ্জ জিলায়ও একটি মেডিকেল কলেজ স্থাপনের কথা ছিল। অতি দুঃখের সহিত তিনি বলেন এর মধ্যে সম্প্রতি ৩ টি মেডিকেল কলেজের কাজ শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু করিমগঞ্জ জেলার মেডিকেল কলেজের কাজটা এখনও ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। তিনি আরও বলেন বিগত বিধানসভা নির্বাচনের আগে এক প্রকাশ্য জনসভায় আসামের স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বরাকের মানুষ যদি দলীয় প্রার্থীকে বিপুল ভোটে জয়ী করেন তবে, রাতাবাড়িতে একটি মেডিকেল কলেজ স্থাপন করবেন। হাইলাকান্দি জেলার মানুষও চিকিৎসা পরিষেবার সুযোগ নিতে পারবেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মেডিকেল বলেছিলেন কলেজটি করিমগঞ্জ ও হাইলাকান্দি জেলার মধ্যবর্তী স্থানে স্থাপন করলে বরাকের দুটি জেলার মানুষই উপকৃত হবেন। সে জনসভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতীয় জনতা পার্টির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহও উপস্থিত ছিলেন। কিন্তূ শনবিল পূর্বাঞ্চল মেডিকেল ডিমান্ড কমিটির পক্ষ থেকে শশাঙ্ক বাবু আরও বলেন যে, তাঁরা করিমগঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের ভৌগলিক মানচিত্র অধ্যয়ন করে দেখেছেন যে, একমাত্র শনবিলই হল এ দুই জেলার মধ্যবর্তী স্থান যেখানে মেডিকেল কলেজটি স্থাপন করলে করিমগঞ্জ লোকসভার ৮টি বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষও সমভাবে চিকিৎসা পরিষেবার সুযোগ দেওয়া যাবে । এটা তাদের দীর্ঘদিনের গণদাবি বলে তিনি জানান। তিনি আক্ষেপ করে বলেন যে, তাদের এই গণদাবিকে বিভিন্ন সংস্থা, সংগঠন পূর্ণভাবে সমর্থন জানিয়ে এগিয়ে আসা সত্বেও বর্তমান সরকার তথা বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর অতি উদাসীন। তিনি যে সবসময় বরাকের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা ব্যক্ত করে থাকেন তা কি শুধুই মুখে? না বাস্তবে? তা নিয়েও শশাঙ্ক বাবু অভিমত ব্যক্ত করেন। তিনি স্পষ্ট ভাষায় দাবি রাখেন যে, তাদের দীর্ঘদিনের গণদাবি এক মেডিকেল কলেজ স্থাপন। কিন্তু বর্তমান সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী সম্প্রতি ৩ টি মেডিকেল কলেজ উদ্বোধন হয়ে যাওয়া সত্বেও কেন শনবিলের উপর তারা দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।
গত বছর ২০১৮ এর জুন মাসে তাদের এ গণদাবি নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখাও করেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী অতিসত্বর একদল এক্সপার্ট পাঠিয়ে জায়গাটি পরীক্ষা করার আশ্বাসও দিয়েছিলেন। কিন্তু আজ একবছর অতিক্রান্ত হল কোনো এক্সপার্ট দল এখন পর্যন্ত এসে পৌঁছায়নি। শশাঙ্কবাবু কমিটির সবাইকে একহাত নিয়ে সরকারের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে তীব্র ভাষায় বলেন যে, বৃহৎ জনস্বার্থে তাদের এই গণদাবি কে নিয়ে কোনো রাজনৈতিক জলঘোলা না করে অতিসত্বর তা বাস্তবে প্রতিফলিত করার দাবি জানান। নতুবা তারা বৃহত্তর গণ আন্দোলন গড়ে তুলবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন। ওইদিন সভায় কমিটির পক্ষ থেকে হরিমোহন রাজবংশী ও একই মত প্রকাশ করেন। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রেমাংশু শেখর পাল, সহ সভাপতি কল্লোল চৌধুরী, হরিমোহন রাজবংশী, যুগ্ম সম্পাদক রঞ্জিত ঘোষ,সুদীপ পাল, কার্যকরী সদস্য পরিমল পাল সহ অন্যান্যরা।
কোন মন্তব্য নেই