Header Ads

উত্তরপ্রদেশের রাস্তায় হবে না নামাজের মতো কোনো ধার্মিক আয়োজন, কড়া নির্দেশ যোগী আদিত্যনাথের

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় : উত্তর প্রদেশের মেরঠ ও আলীগড়ে গত কিছু মাস ধরে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল। আর এই অশান্তির কারণ ছিল রাস্তায় আয়োজিত নামাজ। মেরঠ ও আলীগড়ে রাস্তায় নামাজ নিয়ে বজরং দলের লোকেরা আপত্তি করেছিল আর তার জন্যেই মেরেঠ ও আলীগড়ে রাস্তায় নামাজ পড়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন এই নিয়মকে গোটা উত্তরপ্রদেশে বলবৎ করা হচ্ছে। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, ডিজিপি ওম প্রকাশ সিং বলেছেন যে এবার থেকে নামাজ বা হনুমান চালিসা বা অন্য কোনো ধার্মিক আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হবে না যাতে কারুর কোনো অসুবিধা সৃষ্টি না হয়। এরপর ঈদের দিন মুসলিমরা মসজিদের ভিতরে নামাজ পড়ে।
রাস্তায় নামাজ না পড়া ছাড়াও, উটের মতো বড় পশু জবা্ইও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। উট জবাই নিয়ে মেরেঠ শহরের কাজীও প্রশাসনকে জানান যে আমরা শহরের আইন ব্যাবস্থাকে নষ্ট করতে চাই না। আমরা প্রশাসনের সিদ্ধান্তের সমর্থন করছি এবং তাই বকরি ঈদে উটের বলি দেওয়া হয় নি। আর বকরি ঈদে মুসলিম সম্প্রদায় সেই নিয়ম মেনেও চলেছেন। এর আগে মেরেঠ ও আলীগড়ে প্রতি শুক্রবারে রাস্তাতেই নামাজ পড়া হতো, আর তার ফলে রাস্তায় জ্যাম সৃষ্টি হতো।
 এই কারণেই বার বার এর প্রতিবাদও করা হয়েছে। বজরং দল এই রাস্তায় নামাজ পড়ার নিয়মের বিরোধিতা করার জন্য রাস্তায় হনুমান চালিসা পাঠ করা শুরু করে দিয়েছিল এবং এর ফলে মুসলিম আর বজরং দলের লোকেদের মধ্যে ঝগড়াও হচ্ছিল। উত্তরপ্রদেশ এমন একটা রাজ্য যেখানে এক সময় সবথেকে বেশি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ঘটনা দেখা যেত। প্রত্যেকদিন উত্তরপ্রদেশের কোনো না কোনো প্রান্তে 144 ধারা জারি থাকতো। তবে যোগী আদিত্যনাথ ক্ষমতায় আসার পর ধার্মিক বিষয়ের উপর বিতর্কগুলিকে অনেকাংশে মেটাতে সক্ষম হয়েছেন বলে মনে করছে উত্তরপ্রদেশের মানুষ।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.