প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার দ্বিতীয় পর্যায়ের একাধিক গৃহের শিলান্যাস মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্যের
নয়া ঠাহর প্রতিবেদন : সমগ্র রাজ্যের সাথে সঙ্গতি রেখে বৃহস্পতিবার ধলাই বিধানসভা কেন্দ্রের আইরংমারা জিপিতে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ) প্রকল্পের ২০১৯-২০ বর্ষের দ্বিতীয় পর্যায়ের একাধিক গৃহের আধারশিলা স্থাপন করলেন রাজ্যের বন ও পরিবেশ মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য। মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য এদিন আইরংমারা জিপির সুবিধাপ্রাপক সঞ্জয় সূত্রধর ও সুশীল দেবনাথ এর ঘরের শিলান্যাস করেন। শিলান্যাস অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে আইরংমারা রবীন্দ্র পাঠাগারে আয়োজিত সভায় বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য।
তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ২০২২ সালের মধ্যে দেশের সকল গরিব মানুষের জন্য পাকা ঘর নির্মাণ সম্পূর্ণ করার সংকল্প গ্রহণ করেছে। গরীব মানুষের কল্যাণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিভিন্ন যোজনা হাতে নিয়েছেন যার সুফল ভোগ করছেন দেশের সাধারণ মানুষ। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা গ্রামীণ প্রকল্প থেকে শুরু করে সমাজের পিছিয়ে পড়া প্রবীণ নাগরিকদের জন্য সার্বজনীন কুশল কোঁওর বৃদ্ধ পেনশন প্রকল্প শুরু করেছেন, কৃষকদের সুবিধার্থে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্প, অসহায় মানুষের সুচিকিৎসার জন্য অটল অমৃত অভিযান মিশন ও আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সূচনা করেছেন যার মাধ্যমে দুই লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে পাঁচ লক্ষ টাকার বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের জন্য সমগ্র রাজ্যের সাথে সাথে ধলাই সমষ্টির যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন এসেছে । রাজ্যে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর শিক্ষাক্ষেত্রে পঞ্চাশ হাজারের ও অধিক নিযুক্তি দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য আজ আইরংমারা জিপির মোট পঁচিশ জন হিতাধিকারীদের হাতে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মঞ্জুরীপত্র তুলে দেন । তিনি হিতাধিকারীদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরকারি নিয়ম নীতি মেনে আবাস গৃহ নির্মাণ করারও আবেদন রাখেন। তিনি বলেন, ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যার মাধ্যমে ভারতবর্ষকে কোটি কোটি মানুষের সম-উন্নয়নের বাণীর মাধ্যমে এক সংবিধানের ভিত্তিতে এক পতাকার নীচে সমবেত করে ভারতকে বিশ্বগুরু হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে একধাপ এগিয়ে দিয়েছেন।
শিলান্যাস অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ধলাই জিলা পরিষদ সদস্যা লক্ষী রানী যাদব, বিজেপি বড়জালেঙ্গা ব্লক মণ্ডল সভাপতি সুশীল রঞ্জন ধর, আইরংমারা জিপি সভাপতি প্রবীর ভট্টাচার্য, বিজেপি নেতা জ্যোতি রঞ্জন দে, বিজেপি বড়জালেঙ্গা ব্লক মণ্ডল সাধারণ সম্পাদক বিনয় ভূষণ দেব( কুটু), যুবমোর্চার বড়জালেঙ্গা ব্লক মণ্ডল সভাপতি বিষ্ণু দয়াল গোয়ালা, আইরংমারা জিপি সচিব অসীম ভুঁইয়া, নির্মলেন্দু চৌধুরী প্রমুখ ।
এদিন সকালে মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য জেলা আবগারি বিভাগের সৌজন্যে আইরংমারা রবীন্দ্র পাঠাগারে চোলাই মদ সেবনের বিরুদ্ধে আয়োজিত সচেতনতা সভায় অংশগ্রহণ করেন । তিনি বলেন, আইরংমারা সহ পাশ্ববর্তী অঞ্চলে চোলাই মদের অবৈধ ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে তা থেকে সরে যেতে ও সমাজকে সুরক্ষিত রাখতে সকলের প্রতি আবেদন রাখেন । তিনি বলেন যেহেতু চোলাই মদের ব্যবসার সাথে আবগারি বিভাগের কোন সম্পর্ক নেই তাই যদি এই ব্যবসার সাথে কেউ জড়িত থাকেন তাহলে কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না । আর কেউ যদি চোলাই মদ সেবন করে অসুস্থ হয়ে উনার দরবারে আসেন তাহলে তার দায়ভার তিনি নেবেন না । তিনি বলেন কেউ যদি এই ব্যবসার সাথে জড়িত থেকে থাকেন তাহলে এই ব্যবসা থেকে বেরিয়ে এসে ভালো কোন কাজে মনোনিবেশ করতে সকলের প্রতি আবেদন জানান । তিনি বিভাগীয় কর্তৃপক্ষকে আইরংমারা সহ পাশ্ববর্তী অঞ্চলে চোলাই মদের বিরুদ্ধে চিরুনি তল্লাশি চালানোর নির্দেশ দেন। সচেতনতা সভায় উপস্থিত কাছাড়ের জেলাশাসক লয়া মাদ্দুরী ও সবাইকে এই রাস্তা ছেড়ে সুস্থ পরিবেশে সামিল হওয়ার আবেদন রাখেন । আজকের এই অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- আবগারি বিভাগের সুপারিনটেন্ড সুনীল সিনহা, জেলা বন অধীক্ষক সানিদেও ইন্দ্রদেও চৌধুরী, বিজেপি বড়জালেঙ্গা ব্লক মণ্ডল সভাপতি সুশীল রঞ্জন ধর, ধলাই পশ্চিম জিলা পরিষদ সদস্যা লক্ষী রানী যাদব, আইরংমারা জিপি সভাপতি প্রবীর ভট্টাচার্য, জ্যোতি রঞ্জন দে প্রমুখ ।
পরে মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য আইরংমারা হাইস্কুলের খেলার মাঠে মিনি স্টেডিয়ামের নির্মাণরত কাজ সরজমিনে পরিদর্শন করেন । এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছেন কাছাড় জেলা যুবমোর্চার মিডিয়া ইনচার্জ কমলেশ দাস ।
কোন মন্তব্য নেই