কাশ্মীর পুরোপুরি অভ্যন্তরীণ বিষয় ! রাষ্ট্রসংঘে সাফ জানাল ভারত !!
বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়
কাশ্মীর সংক্রান্ত বিষয় একেবারেই ভারতের অভ্যন্তরীণ। রাষ্ট্রসংঘের
নিরাপত্তা পরিষদে বন্ধ দরজায় বিরল বৈঠকের পর এমনটাই বলল ভারত। কাশ্মীরের
৩৭০ ধারা বিলোপ নিয়ে শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিশেষ বৈঠক
হয়। এরপরেই ভারত এই মন্তব্য করে। পাকিস্তান এবং চিনের দাবিতেই এই বৈঠক ডাকা
হয়েছিল।
রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি সৈয়দ আকবরউদ্দিন
বলেন, সরকার কাশ্মীরে থাকা নিষেধাজ্ঞা ধীরে ধীরে তুলে নিতে প্রতিশ্রুতি
বদ্ধ। আর সেখানকার পরিস্থিতিও ধীরে ধীরে স্বাভাবিক দিকেই যাচ্ছে বলে জানান
তিনি। কোনও বাহিরের হস্তক্ষেপ নয়, সম্প্রতি সরকার কাশ্মীর নিয়ে যেসব
পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, তা সাংবিধানিক ভাবেই গৃহীত হয়েছে। জম্মু কাশ্মীর এবং
লাদাখের উন্নয়নের লক্ষেই তা গৃহীত হয়েছে বলে জামিয়েছেন রাষ্ট্রসংঘে ভারতের প্রতিনিধি।
পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলার আগে পাকিস্তানকে
সন্ত্রাসবাদে মদতদান বন্ধ করতে হবে বলেও শর্ত দেন। তিনি বলেন, পাকিস্তান
বিষয়টিকে এমনভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে, যার সঙ্গে সেখানকার পরিস্থিতির
আকাশ-পাতাল তফাত রয়েছে।
পাকিস্তানের কড়া সমালোচনা করে রাষ্ট্রসংঘে
ভারতের প্রতিনিধি বলেন, জিহাদ শব্দ ব্যবহার করে ভারতে হিংসা ছড়ানোর
চেষ্টা করা হচ্ছে। সেদেশের নেতারা এই কাজে যুক্ত।
শুক্রবারের বৈঠকে
অংশ নেয়নি ভারতে ও পাকিস্তান। বৈঠকে ছিল রাষ্ট্রসংঘের স্থায়ী ৫ টি দেশ এবং
অস্থায়ী ১০ টি দেশের প্রতিনিধিরা। রাষ্ট্রসংঘে চিনের প্রতিনিধি বলেন
কাশ্মীরের পরিস্থিতি খুবই খারাপ। চিন রাষ্ট্রসংঘে স্থায়ী প্রতিনিধি এবং
পাকিস্তানের বন্ধু রাষ্ট্র।
এদিকে রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়ার প্রতিনিধি
বৈঠকে ঢোকার আগে বলেন, মস্কো মনে করে, কাশ্মীর ভারত ও পাকিস্তানের
দ্বিপাক্ষিক বিষয়। তিনি বলেন, কাশ্মীরে কী ঘটছে, তা জানার জন্যই এই বৈঠক
ডাকা হয়েছে।
অন্যদিকে কঠিন একটা প্রশ্ন উঠে এসেছিল পাকিস্তানের এক
সাংবাদিকের কাছ থেকে। তখন রাষ্ট্র্সংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বক্তব্য রাখছিলেন
ভারতের প্রতিনিধি সৈয়দ আকবরউদ্দিন। প্রশ্ন শুনেই এক উত্তরে মাত করে দিলেন
তিনি। একেবারে খাঁটি ভারতীয় হিসেবে তিনি হৃদয় জিতে নিলেন ১৩০ কোটি ভারতীয়র।
রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রাতারাতি হিরো বনে গেলেন মুহূর্তে।
প্রশ্ন উড়ে এসেছিল--পাকিস্তানের
সঙ্গে কবে আলোচনা শুরু করবেন? সাংবাদিকের সেই প্রশ্ন শুনে আকবরউদ্দিন
বলেন, চলুন আপনাকে দিয়েই শুরু করি। আগে হাত মেলাই আপনার সঙ্গেই। এই বলে
তিনি পাকিস্তানের তিন সাংবাদিকের সঙ্গে একে একে করমর্দন করেন। তাঁর এই
উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সবাই। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে জাতীয় হিরোর
মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। কমেন্টের বন্যা বইছে।
তিনি যেভাবে একটার পর একটা
উত্তরে পাকিস্তানকে মোক্ষম জবাব দিয়েছেন, তা শুনে আপ্লুত ভারতীয়রা। বলাই
যায় তিনি বাউন্সারকে একেবারে মাঠের বাইরে ফেলেছেন। হৃদয় জিতে নিয়েছেন আপামর
ভারতবাসীর।
পাকিস্তানি সাংবাদিকের প্রশ্নটার যেন তৈরিই ছিলেন আকবরুদ্দিন। তাই প্রশ্ন শুনেই কালবিলন্ব না করে তিনি যে উত্তরটা দিয়েছেন, তাতে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, ভারত বরাবরই শান্তি আলোচনায় অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে, হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, পাকিস্তানই অশান্তি ছড়িয়ে আলোচনার পরিবেশ বিষিয়ে তুলেছে। তাই আলোচনার পরিবেশ তৈরি না হলে তা কী করে সম্ভব!
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হলেও কাউকে পাশে পেল না পাকিস্তান। চিন ছাড়া পাকিস্তান এক ঘরে হয়ে গেল। পাকিস্তানের আবেদন সাড়া দিল না কেউই। আমেরিকা, রাশিয়া, ফ্রান্স, ব্রিটেন- সবাই মুখ ফিরিয়ে নিল পাকিস্তানের দিক থেকে। একমাত্র চিন পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াল। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বাকি চার সদস্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ফ্রান্স ও ব্রিটেন এদিন ভারতেরই পাশে দাঁড়িয়েছে। চিনের দাবি মেনে রুদ্ধদ্বার বৈঠক বসলেও সেখানে কাশ্মীর নিয়ে কোনও আলোচনা নথিতে ঠাঁই পায়নি। কারণ কাশ্মীর ইস্যু দুই দেশের বিষয় বলে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।
শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘের বৈঠক থেকে গোটা বিশ্বকে ভারত কড়া বার্তা দেয়। পাকিস্তানকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে রাষ্ট্রসংঘে ভারতের প্রতিনিধি সৈয়দ আকবরুদ্দিন বললেন, কাশ্মীর আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়, পাকিস্তান অযথা এর মধ্যে নাক গলাচ্ছে। ভারত কাশ্মীরের আইনব্যবস্থাকে দেশের অন্যান্য অংশের সঙ্গে মিলিয়ে দিয়েছে সরকার চালানোর সুবিধার্থে।
পাকিস্তানি সাংবাদিকের প্রশ্নটার যেন তৈরিই ছিলেন আকবরুদ্দিন। তাই প্রশ্ন শুনেই কালবিলন্ব না করে তিনি যে উত্তরটা দিয়েছেন, তাতে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, ভারত বরাবরই শান্তি আলোচনায় অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে, হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, পাকিস্তানই অশান্তি ছড়িয়ে আলোচনার পরিবেশ বিষিয়ে তুলেছে। তাই আলোচনার পরিবেশ তৈরি না হলে তা কী করে সম্ভব!
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হলেও কাউকে পাশে পেল না পাকিস্তান। চিন ছাড়া পাকিস্তান এক ঘরে হয়ে গেল। পাকিস্তানের আবেদন সাড়া দিল না কেউই। আমেরিকা, রাশিয়া, ফ্রান্স, ব্রিটেন- সবাই মুখ ফিরিয়ে নিল পাকিস্তানের দিক থেকে। একমাত্র চিন পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াল। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বাকি চার সদস্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ফ্রান্স ও ব্রিটেন এদিন ভারতেরই পাশে দাঁড়িয়েছে। চিনের দাবি মেনে রুদ্ধদ্বার বৈঠক বসলেও সেখানে কাশ্মীর নিয়ে কোনও আলোচনা নথিতে ঠাঁই পায়নি। কারণ কাশ্মীর ইস্যু দুই দেশের বিষয় বলে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।
শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘের বৈঠক থেকে গোটা বিশ্বকে ভারত কড়া বার্তা দেয়। পাকিস্তানকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে রাষ্ট্রসংঘে ভারতের প্রতিনিধি সৈয়দ আকবরুদ্দিন বললেন, কাশ্মীর আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়, পাকিস্তান অযথা এর মধ্যে নাক গলাচ্ছে। ভারত কাশ্মীরের আইনব্যবস্থাকে দেশের অন্যান্য অংশের সঙ্গে মিলিয়ে দিয়েছে সরকার চালানোর সুবিধার্থে।
কোন মন্তব্য নেই