Header Ads

নিজের দেশেই চরম বিপাকে ইমরান খান, চারিদিক থেকে উঠছে ‘মোদী সে তু ডরতা হ্যায় ইমরান” স্লোগান

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় : ভারত সরকার কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার পর চরম বিপাকে পড়েছে পাকিস্তান। তাদের ভয় আর পাগলামো এখন পরিস্কার দেখা যাচ্ছে। সেই ভয় আর পাগলামোর জন্য পাকিস্তান সমঝোতা এক্সপ্রেসকে ওয়াঘা সীমান্তেই ছেড়ে দেয়। এরপর তারা থর এক্সপ্রেসকেও নিষিদ্ধ ঘোষণা করে, এবং ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে চলা বাস সার্ভিসও বন্ধ করে দেয়। আরেকদিকে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের মেয়ে মরিয়মকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। আর এরপর থেকেই ইমরান খানকে নিজের দেশের বিরোধিতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
ইমরান খান জম্মু কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের রণনীতি তৈরি করার জন্য ৬ আগস্ট পাকিস্তানের সংসদে সংযুক্ত অধিবেশন ডেকেছিলেন। যখন পাকিস্তানের সংসদে কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল, তখন তাদের হাবভাবে ভারতের প্রতি ভয় স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল। আরেকদিকে ইমরান সরকার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের মেয়ে মরিয়মকে গ্রেফতার করে চরম বিপাকে পড়েছে। শোনা যাচ্ছে যে, পাকিস্তানিরা এখন বলছে, কাশ্মীর থেকে নজর হটানোর জন্য আর নিজের ভয় এবং ব্যার্থতা আড়াল করার জন্য ইমরান খান মরিয়মকে গ্রেফতার করে সবার নজর হটাতে চাইছে।
মরিয়ম নওয়াজের গ্রেফতারির পর জনতা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। পাকিস্তানের মহিলারা বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন। পাকিস্তানের রাস্তায় এখন একটাই স্লোগান ‘মোদী সে তু ডরতা হ্যায় ইমরান, মরিয়ম সে তু লড়তা হ্যায়”। এছাড়াও পাকিস্তানের জনতা নিয়াজি গো ব্যাক এর স্লোগানও তুলছেন। 
কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পর পাকিস্তানের কয়েকজন নেতা মন্ত্রী ভারতকে যুদ্ধের ভয় দেখিয়েছিল। এমনকি খোদ পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ভারতে আরেকটি পুলওয়ামা হামলা করানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছিল। কিন্তু এবার এই পাকিস্তানই ভারতকে ভয় পেয়ে যুদ্ধে যাবেনা বলে পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছে। পাকিস্তানের এই মন্তব্যের পর স্পষ্ট যে, তারা সেই রাস্তায় ভৌ ভৌ করে, কিন্তু কামড় দেওয়ার সাহস করে না।
এদিকে পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী হিনা রাব্বানী ৩৭০ ধারা অপসারণের বিষয়ে নীরবতা ভেঙে জানিয়েছেন, কাশ্মীর নিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এতে পাকিস্তানে ভূমিকম্পের মতো স্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। কারন পাকিস্তানের রাজনীতি কাশ্মীরকে কেন্দ্র করেই ওঠানামা করে। ভারতের বিরোধী পক্ষের নেতাদের মতো পাকিস্তানও প্রলাপ বকতে শুরু করেছে। পাকিস্তানের ছোটো বড়ো নেতারা জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ধারা ৩৭০ বিলুপ্তের উপর বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি কেবল তার টুইটার হ্যান্ডেলেই নয়, পাক নিউজ চ্যানেলকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে একটি বড় বিবৃতি দিয়েছেন।
মোদী সরকার জম্মু ও কাশ্মীরকে কেবল কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে ঘোষণা করেনি, বরং কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা প্রদান করা ধারা ৩৭০ সরিয়ে নেওয়ার মতো কঠোর সিধান্ত নেয়। এই বিলটি রাজ্যসভার পরে লোকসভা থেকে সবুজ সংকেত পেয়েছে। যার জন্য পাকিস্তান ভারত সরকারের ওপর ক্ষেপে উঠেছে। পাকিস্তান তার সংসদে একটি যৌথ অধিবেশন আহ্বান করে ভারতের এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করে। একই সঙ্গে ইমরান খান এই পদক্ষেপের জন্য সংযুক্ত রাষ্ট্রে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন হিনা রব্বানীও। হিনা তার টুইটার হ্যান্ডেলে ভারতকে ঔপনিবেশিক বলে অভিহিত করেছেন, মোদী ভারতকে বদলে দিচ্ছে। পাকিস্তানি নেত্রী বলেছেন যে পুরো বিশ্ব ভারতের উদ্ভট অসদাচরণকে এড়িয়ে গেছে। হিনা রব্বানী বলেন দুঃসাহসিকভাবে মোদী যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তা বিশ্বের কেউ বিরোধিতা করছে না। এতে নির্দোষ মানুষের রক্ত ঝরতে পারে। তিনি পাক নিউজ চ্যানেলকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে আরও বলেছেন যে ভারতীয় জনতা পার্টি তার এজেন্ডা এগিয়ে নেওয়ার জন্য তার শক্তি ব্যবহার করছে এবং বিশ্বের কেউই বাধা দিচ্ছে না।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.