Header Ads

আন্তর্জাতিক মহলে মুখরক্ষায় মরিয়া পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান

ননী গোপাল ঘোষ : ভারতীয় সেনা সাদা পতাকা উড়িয়ে শান্তির বার্তা নিয়ে পাকিস্তানের পাঁচজন বর্ডার অ্যাকশন টিমের ( ব্যাট) সদস্যের মৃতদেহ নিয়ে যেতে বলেছিল পাকিস্তানকে। নৃশংস -বর্বর এই ব্যাট সদস্যরা কেরন সেক্টর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করার চেষ্টা করছিল ।
কিন্তু ইসলামাবাদ গোড়া থেকেই অনুপ্রবেশের কথা অস্বীকার করে আসছে । এমনকী, পাকিস্তান সেনার মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর বলেছিলেন, কাশ্মীরের মূল ইস্যু থেকে বিশ্ববাসীর নজর ঘোরাতেই ভারতের এই পরিকল্পনা । পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রক বলেছিল , নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে পাকিস্তানের কার্যকলাপ এবং মৃতদেহ নিয়ে ভারত যে দাবি করছে, তা তারা অস্বীকার করছেন ।
পাকিস্তানের তরফে এসব বিবৃতি দেওয়ার পরও পাকিস্তান বুঝতে পারছে তারা  একঘরে হয়ে পড়ছে আন্তর্জাতিক মহলে। কারণ, নিহত ব্যাট সদস্যরা যে পাকিস্তানি তার যথেষ্ট প্রমাণ মজুত ভারতের হাতে ।
এই অবস্থায় উপায়ন্তর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আন্তর্জাতিক মহলের নজর ঘোরাতে ময়দানে নামেন । স্বভাবতই চাপে পড়ে যাওয়া ইমরান পরপর তিনটি ট্যুইট করে মুখরক্ষার চেষ্টা করেন ।
ব্যাট সদস্যদের মৃতদেহ পাকিস্তানে ফেরত নেওয়ার মূল ইস্যু উহ্য রেখে ইমরানের ট্যুইট, সীমান্তের ওপারে সাধারণ নাগরিকদের উপর অত্যাচার চলছে যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল । এতে ১৯৮৩ কনভেনশন লঙ্ঘিত হচ্ছে । বিষয়টিতে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের নজর দেওয়া উচিত ।
এরপর ফের ট্যুইট করে ইমরান বলেন, নিরাপত্তা পরিষদের চুক্তি মতো তাঁদের স্বতন্ত্রতার অধিকার দেওয়া উচিত । কাশ্মীর সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান খুলে দিতে পারে দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও নিরাপত্তার রাস্তা ।
পরবর্তী ট্যুইটে ইমরান, কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের কথা খুঁচিয়ে তোলেন। ইমরান বলেন,আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প কাশ্মীর ইস্যুতে  মধ্যস্থতা করতে চাইছিলেন । সেটা করার এটাই সময় । কারণ,  ভারতীয় সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনীর কার্যকলাপে নিয়ন্ত্রণরেখার পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হচ্ছে । আঞ্চলিক সমস্যা এতে বাড়বে ।
ভারত সরকার বরাবরই বলে আসছে, কাশ্মীর সমস্যায় তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ চায় না ভারত। এটা দ্বিপাক্ষিক সমস্যা।পাকিস্তান চায় মার্কিন হস্তক্ষেপে মিটুক কাশ্মীর সমস্যা। সম্প্রতি মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, কাশ্মীর ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে মধ্যস্থতা করার কথা বলেছেন । ভারত ট্রাম্পের এই মন্তব্যের বিরোধীতা করেছিল সঙ্গে সঙ্গেই । ভারতের বিদেশমন্ত্রী উভয় সদনে বিবৃতি দিয়ে ট্রাম্পের মন্তব্যকে খারিজ করেছিলেন ।
পাকিস্তানের মৃত ব্যাট সদস্যদের নিয়ে প্রচন্ড চাপে পড়া ইমরান মূল ইস্যু থেকে সরে আসতে চাইছেন বলে কূটনৈতিক মহলের মতামত । তাই ইমরান তড়িঘড়ি পরপর ট্যুইট করে অবস্থা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন । তবে খূব একটা লাভ নেই বুঝে ভারতের অস্বস্তি বাড়াতে ট্রাম্পের মধ্যস্থতার প্রসঙ্গও টেনে তুললেন ।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.