ভারতের সঙ্গে লড়াইয়ে না নেমে নিজের দেশে সন্ত্ৰাস বন্ধ করুক পাকিস্তান, পাকিস্তানকে পরামৰ্শ মাৰ্কিন সেনেটরদের

নয়া ঠাহর ওয়েব ডেস্কঃ জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর পাকিস্তান যতভাবে সম্ভব হয় ভারতকে চাপে ফেলার চেষ্টায় মরিয়া হয়েছে। বুধবার ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার অজয় বিসারিয়াকে বহিষ্কার করে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পৰ্ক কাৰ্যত ছিন্ন করে দিয়েছে পাকিস্তান। শুধু তাই নয়, পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে রাষ্ট্ৰপুঞ্জে সরব হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলামাবাদ।

ছবি, সৌঃ আন্তর্জাল

কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপের বিষয়টি নিয়ে মাৰ্কিন বিদেশমন্ত্ৰকও জানিয়েছিল যে এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তাদের আদৌ জানায়নি নরেন্দ্ৰ মোদি সরকার। তাতে আন্তৰ্জাতিক মঞ্চে বেশ চাপেই পড়ে যায় ভারত। কিন্তু বুধবার মাৰ্কিন আইনসভার দুই সদস্যের যৌথ বিবৃতি উল্টো পাকিস্তানকেই চাপে ফেলে দিল বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। প্ৰসঙ্গত, মাৰ্কিন প্ৰশাসন ভাল করেই জানে, কাশ্মীর ইস্যুটি বরাবরই দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে মনে করে ভারত। তাই হয়তো এতে না ঢোকাই শ্ৰেয় বলে মনে করছেন মাৰ্কিন প্ৰশাসন। 

বুধবার রাতে মাৰ্কিন সেনেট ফরেন রিলেশনস কমিটির সদস্য রবাৰ্ট মেনেন্দেজ এবং হাউস ফরেন অ্যাফেয়াৰ্স কমিটির চেয়ারম্যান ইলিয়ট এঞ্জেল একটি যৌথ বিবৃতিতে জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে উদ্বেগ প্ৰকাশ করেন। বিবৃতিতে তাঁরা বলেন- ‘‘ভারতের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা থেকে পাকিস্তানের দূরে থাকা উচিত। এর মধ্যে যেমন নিয়ন্ত্ৰণরেখা পেরিয়ে ভারতে প্ৰবেশ করতে জঙ্গিদের সাহায্য করার বিষয়টি রয়েছে, পাশাপাশি দেশের মাটিতে সন্ত্ৰাসবাদী পরিকাঠামোর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ করা উচিত পাকিস্তানের।’’