স্যানিটারি খেয়েছে পিএইচই-এনজিও, নালিশ আদালতে
নয়া ঠাহর প্রতিবেদন বদরপুর : তাঁর নামে মঞ্জুর হওয়া স্যানিটারি পাননি মালুয়ার মনসুর। দুয়ারে দুয়ারে হেটে পায়ের চটি খুইয়েও কোন লাভ না হওয়ায় বাধ্য হয়ে আদালতে পিএইচই-র সহ কারিগরি ইঞ্জিনিয়ার এবং দায়িত্বে থাকা এনজিও-র সভাপতি - সম্পাদকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা করলেন তিনি। বদরপুর মালুয়ার হত দরিদ্র দিন আনি দিন খাই মনসুর আহমদ চৌধুরীর নামে সরকারি স্যানিটারি মঞ্জুর হয়েছিল। তালিকায় নাম উঠার পর বেশ কিছু দিন কেটে গেলেও পিএইচই বা দায়িত্বে থাকা "তিরঙ্গা" এনজিওর কোন কর্মকর্তা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ না করায় তার সন্দেহ হয়। খোঁজখবর নিয়ে দেখেন ইতিমধ্যে এটির নির্মান হয়ে গেছে বলে কাগজে পত্রে দেখান হয়েছে। শুধু তার নয়। গ্রামের আরও দু - চার জনের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে এনজিও-র কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা তাকে গালিগালাজ করে তাড়িয়ে দেন। উপায়ন্তর না পেয়ে মনসুর করিমগঞ্জ আদালতে মামলা করেছেন ( সিআর ১০৪৮/ ১৯)। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার যতই দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঢাক পেটাক না কেন দুর্নীতি তার নিজস্ব ঢঙে ঠিকই চলছে। শুধু মনসুরের ক্ষেত্রে নয়। তদন্ত করলে আরও অনেক ক্ষেত্রেই এর প্রমাণ পাওয়া যাবে। দুর্নীতি ঠেকাতে স্যানিটারি বন্টনে সরকার জন স্বাস্থ্য কারিগরির সঙ্গে এনজিও- দের জুড়ে দিলেও সাফল্য যে পুরো পাওয়া যায়নি, মনসুরের ঘটনাই তার প্রমান।
কোন মন্তব্য নেই