Header Ads

দলের চিন্তন বৈঠকে 'কাজে' সিলমোহর, স্বস্তিতে মুকুল রায়


বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় : মুকুল রায়ের দল ভারী করার পদ্ধতিতে সিলমোহর। দুর্গাপুরে দলের চিন্ত বৈঠকে এই সিলমোহর পড়েছে বলে সূত্রের খবর। অন্য দল থেকে আসা নেতা কর্মীদের জন্য দলের দরজা কতটা খোলা রাখা হবে তা নিয়ে যেমন প্রশ্ন ছিল, তেমনই প্রশ্ন ছিল বিজেপিতে আসার পর তৃণমূলের জন প্রতিনিধিরা ফেরত যাওয়ায়। তবে দলের অভ্যন্তরে এই সিদ্ধান্তে মুকুল রায় যথেষ্টই স্বস্তিতে।
২০১১-য় তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিরোধী রাজনৈতিক দল ভাঙার কাজে নেমেছিলেন মুকুল রায়। উত্তরবঙ্গের দশরথ তিরকেই হোন কিংবা দক্ষিণবঙ্গের সুনীল মণ্ডল, বাম নেতাদের সবাই মুকুল রায়ের রাজনৈতিক লাইনে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনের পর একই উপায়ে তৃণমূল ভারী করার খেলা চলে। পরে অবশ্য পরিস্থিতির বদল হয়। মুকুল রায় বিজেপিতে যোগ দেন। লোকসভা নির্বাচনে সাফল্যের পর দলে দলে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা বিজেপিতে যোগ দেন।
লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে তৃণমূলের অনেক জন প্রতিনিধি বিজেপিতে যোগ দিলেও, অনেকেই ফিরে গিয়েছেন পুরনো দলে। ফলে দলের মধ্যে যথেষ্ট চাপে ছিলেন মুকুল রায়। রাজ্য বিজেপির একাংশ প্রশ্ন তুলেছিলেন মুকুল রায়ের পদ্ধতি নিয়ে। দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগদানের কর্মসূচিও বাতিল করে দেওয়া হয়। সূত্রের খবর অনুযায়ী, দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তৃণমূলে ভাঙন ধরানোর খেলা বন্ধ করা হবে না। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, অন্য দল থেকে যাঁরা বিজেপিতে আসতে চাইছেন, তাঁদের অবশ্যই দলে নেওয়া হবে।
উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র-সহ একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্যে বিরোধী দল থেকে বিজেপিতে যোগদান অব্যাহত রয়েছে। মুকুল রায় যুক্তি দেন, এটাই সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপির রাজনৈতিক কৌশল। বাংলা যাতে এর বাইরে না যায়, সেই কথাও বলেন মুকুল রায়।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, অন্য দল থেকে বিজেপিতে যোগদান করানো নিয়ে মুকুল রায়েই পাশেই রয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনি বলেছেন, অন্য দল থেকে যাঁরা বিজেপিতে আসতে চাইছেন, তাঁদের যেমন দলে নিতে হবে, ঠিক তেমনই তাঁরা যাতে আর পুরনো দলে ফিরে না যান সেই বিষয়টিও দেখতে হবে। ফলে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদানে আর যে কোনও ঢিলেমি রাখা হবে না, তা বলেই দেওয়া যায়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.