বরাকের শক্তিশালী নেতা গৌতম রায় শেষপর্যন্ত বিজেপিতে যাচ্ছেন, আরও একডজন বিজেপির অঙ্গনে পা বাড়িয়েছে
নয়া ঠাহর প্রতিবেদন, গুয়াহাটিঃ
বিজেপি সরকার ক্ষমতাসীন হয়ে ঘোষণা করেছিল কংগ্রেস দলের প্রাক্তন দুর্নীতি পরায়ণ মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হবে। বরাকের বিজেপি নেতা তথা বিধানসভার প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার দিলীপ পাল তো প্রায় যুদ্ধ ঘোষণা করে বলেছিলেন দুর্নীতি পরায়ণদের শাস্তি পেতেই হবে। তখন থেকে বরাকের দুর্নীতিগ্রস্থ প্রাক্তন নেতা মন্ত্রীদের মধ্যে একটা ভয় ঢুকে গিয়েছিল।
বিজেপি সরকার ক্ষমতাসীন হয়ে ঘোষণা করেছিল কংগ্রেস দলের প্রাক্তন দুর্নীতি পরায়ণ মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হবে। বরাকের বিজেপি নেতা তথা বিধানসভার প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার দিলীপ পাল তো প্রায় যুদ্ধ ঘোষণা করে বলেছিলেন দুর্নীতি পরায়ণদের শাস্তি পেতেই হবে। তখন থেকে বরাকের দুর্নীতিগ্রস্থ প্রাক্তন নেতা মন্ত্রীদের মধ্যে একটা ভয় ঢুকে গিয়েছিল।
ছবি, সৌঃ আন্তর্জাল
বিজেপি বরাকে দুর্নীতি বন্ধ করতে পারেনি, বরঞ্চ বেড়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দুর্নীতির বহু অভিযোগ আসছে বলে বিজেপির এক সূত্রের কাছ থেকে জানা গেছে। কিন্তু দুর্নীতি থেকে বাঁচতে কংগ্রেস নেতারা বিজেপি দলে আশ্রয় নিতে চাইছে বলে বরাকের একাংশ কংগ্রেস নেতার অভিযোগ নস্যাৎ করা যাচ্ছে না। বরাকের প্রতাপী নেতা গৌতম রায় কি সেই কারণে বিজেপিতে যাচ্ছেন? বিজেপির সভাপতি রঞ্জিত দাসের ঘনিষ্ট সূত্র জানান গৌতম এর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ থাকুক না কেন, গৌতম একজন হিন্দুত্ববাদি নেতা দল উপকৃত হবে। বেশ কয়েক জন সমর্থককে নিয়ে গৌতম কাল অর্থাৎ রবিবার বিজেপি দলে যোগ দেবে বলে জানা গেছে। বিধানসভার প্রাক্তন স্পিকার টংক বাহাদুর রাই, প্রাক্তন মন্ত্রী ভরত নরহ , পত্নী প্রাক্তন সংসদ রানী নরহ, প্রাক্তন সংসদ শান্তিয়াজ কুজুর প্রমুখ বিজেপি দলে যোগ দেবেন। প্রাক্তন সংসদ সঞ্জয় সিং, সংসদ ভুবনেশ্বর কলিতা বিজেপি যোগ দিয়েছেন। বিরোধী দলপতি দেবব্রত শইকিয়া আজ বলেন, যারা দেশের জন্যে প্রাণ আহুতি দিল, দেশকে স্বাধীন করল, তাদেরকে ভুলে গিয়ে মাত্র ব্যাক্তিগত স্বার্থে, সুযোগ সুবিধা নেবার জন্যে বিজেপিতে যাচ্ছে। বিরোধী আসনে বসার ধৈর্য্য নেই, সরকারে থেকে ব্যাক্তিগত সুযোগ সুবিধা আদায় করবে। কংগ্রেস সংসদ আব্দুল খালেক আজ বলেন, গুরুত্বহীন আজে বাজে কিছু নেতাকর্মী দল ছাড়ছেন, দলে কোনও প্রভাব পড়বে না। একই কথা বলেন দলের রাজ্য সভাপতি রিপুন বরা। রাজীবভবনের এক সূত্র বলেন, কংগ্রেস দলের সর্বভারতীয় স্তরে সভাপতি নিয়ে যে টালবাহানা চলছে, তাতে দলের ভাবমূর্তি বহুগুণ বিনষ্ট হয়েছে, এই অবস্থা চলতে থাকলে আরও কংগ্রেস নেতা কর্মী দল ছাড়বে। অনেকে পা বাড়িয়ে রেখেছে।
কোন মন্তব্য নেই