Header Ads

শ্রাবণ মাসের শেষ সোমবারে বকরি ঈদ, সেই জন্য কুরবানি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত গোটা এলাকার মুসলিম পরিবারের

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় : বিহারের মুজফরপুর এর কিছু মুসলিম পরিবার হিন্দু-মুসলিম সৌহার্দ্যের নিদর্শন পেশ করল। সেখানে তিন ডজন মুসলিম পরিবার গোটা দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উদাহরণ তৈরি করল। এই মুসলিম পরিবার গুলো বকরি ঈদ এর প্রথম দিনে কুরবানি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর তার প্রধান কারণ হল, বকরি ঈদ এর দিন সোমবার পড়েছে, আর সেটা শ্রাবণ মাসের শেষ সোমবার। আর এই জন্যই এই মুসলিম পরিবার গুলো ওইদিনে কুরবানি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাঁদের এই সিদ্ধান্তের পর গোটা দেশে তাঁদের প্রশংসা হচ্ছে।
পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই মুসলিম পরিবার বিহারের মুজফরপুর এর বাবা গরিবনাথ মন্দিরের আশেপাশে থাকে। বকরি ঈদ এর দিন কুরবানি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত শনিবার নিয়েছে তারা। এই সিদ্ধান্ত বাবা গরিবনাথ মন্দিরের পাশে থাকা ছাতা বাজার মসজিদ এর ইমাম মৌলানা শাহিদুজ্জামা’র নেতৃত্বে নেওয়া হয়েছে।
বাবা গরিবনাথ মুজফরপুর জেলার সবথেকে জাগ্রত শিবের মন্দির হিসেবে পরিচিত। শ্রাবণ মাসের শেষ সোমবারে সেখানে বাবার মাথায় জল ঢালার জন্য দেড় লক্ষ শিব ভক্তের সমাগম হয়। আর এর জন্য শ্রাবণ মাসের শেষ সোমবারে বকরি ঈদের দিনে সেখানে কুরবানি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মুসলিম পরিবারেরা।
বাজার মসজিদ কমিটির সচিব মোঃ আজাদ বলেন, কুরবানির জন্য শিব ভক্তদের সমস্যা হবে। আর এরজন্য এলাকার সমস্ত মুসলিম পরিবার ওই দিনে কুরবানি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বকরি ঈদ তিনদিন পর্যন্ত চলে। প্রথম সোমবার তাঁরা কুরবানি না দিলেও, বাকি দুই দিনে তারা কুরবানি দিতে পারবে। তাই প্রথম দিন সোমবার বাদে, দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার সেখানকার মুসলিম পরিবারগুলো কুরবানি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে !

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.