Header Ads

৩৭০ বিলুপ্ত হওয়ায় সবথেকে সুবিধা পাবে কাশ্মীরি মেয়েরা, বাতিল শরিয়া কানুন, পাবেন সম্পত্তির ভাগ

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় : জম্মু ও কাশ্মীর থেকে আর্টিকেল ৩৭০ বিলুপ্ত করে দেওয়া হয়েছে। ফলস্বরূপ জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণ অনেক উপকৃত হতে চলেছে। সরকারের পদক্ষেপের দরুন, কাশ্মীরের মেয়েরা সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে। দেখা যাক, কাশ্মীরের মহিলাদের পরিস্থিতি কীভাবে পরিবর্তিত হবে ৩৭০-এর পরে এবং কীভাবে কাশ্মীরের মেয়েরা এতে উপকৃত হবে--
১) শারিয়া আইন প্রযোজ্য হবে না : এখনও পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীরে নারীরা কেবল শরিয়া আইনের আওতায় আসতেন। বিবাহ থেকে বিবাহবিচ্ছেদ পর্যন্ত সমস্ত বিষয় ভারতীয় সংবিধানের মাধ্যমে নিষ্পত্তি না হয়ে শরিয়া মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়ে আসছিল। ৩৭০ প্রত্যাহারের সাথে সাথে তারা সাধারণ ভারতীয় মহিলাদের মতো আইনী অধিকারও পাবে।
২) অন্য কোনো রাজ্যে বিয়ে করলেও নাগরিকত্ব বা সম্পত্তি ভাগের ওপর প্রভাব পড়বে না : জম্মু ও কাশ্মীরের কোনও মহিলা যদি কাশ্মীর বাদে দেশের অন্য কোনও রাজ্যে বিয়ে করেন, তবে তার জম্মু ও কাশ্মীরের নাগরিকত্বের অবসান ঘটত। কিন্তু এখন অনুচ্ছেদ ৩৭০ বিলুপ্ত হওয়ায়, এই বিধিগুলি সম্পূর্ণ অপসারণ করা হবে। মহিলাদের রাষ্ট্রের নাগরিকত্বও বজায় থাকবে। একই সাথে আগে অন্য রাজ্যে মহিলাদের বিয়ে হলে তারা সম্পত্তির ওপর অধিকার হারাতো। এখন মহিলারা তাদের সম্পত্তির ওপর অধিকার পাবে।
৩) নাগরিকত্ব পাবে না পাকিস্তানিরা : জম্মু-কাশ্মীরে আরও একটি বিধি ছিল। সেই নিয়ম অনুসারে, যদি কোনও কাশ্মীরি মেয়ে পাকিস্তানি নাগরিককে বিয়ে করে, তবে সেই ব্যক্তিটি জম্মু ও কাশ্মীরের নাগরিকত্ব পেত। এইভাবে, কাশ্মীরের নাগরিক হওয়ার অবাধ পথটি পাকিস্তানের জনগণের জন্য উন্মুক্ত ছিল। তবে ৩৭০ বিলুপ্তের ফলে পাকিস্তানিরা কোনও পরিস্থিতিতেই ভারতের নাগরিকত্ব পাবে না।
সম্প্রতি সরকার তিন তালাক আইন বিল পাশ করিয়েছে। ৩৭০ বিলুপ্তের পর এই আইন জম্মু-কাশ্মীরেও চালু হবে। মহিলারা সুবিধা তো পাবেনই তা ছাড়া সাধারণ মানুষজনও বহু সুযোগ সুবিধা পাবে, যা থেকে আগে তারা বঞ্চিত ছিল। কাশ্মীরে এবার থেকে সেনা সঠিকভাবে কাজ করতে পারবে। আর সেনার উপর মিথ্যা মামলা চাপিয়ে কেস করা যাবে না। কারণ এখন জম্মু-কাশ্মীরেও ভারতের সংবিধান ও সুপ্রিম কোর্টের আইন বলবৎ হবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.