Header Ads

আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে এক ভারত, বিজয়ী ভারত সম্পর্ক যাত্রার আয়োজন বিবেকানন্দ কেন্দ্র কন্যাকুমারীর


 নয়া ঠাহর প্রতিবেদন,করিমগঞ্জ: বিবেকানন্দের প্রতিটি বাণী এবং আদর্শ মানবজীবনে এগিয়ে যাওয়ার পথে চেতনা হিসেবে কাজ করে যাবে। আজকের যুব সমাজ ও আগামী প্রজন্মের জন্য বিবেকানন্দের প্রতিটি চিন্তা ধারা সমাজের প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বিবেকানন্দ কেন্দ্র কন্যাকুমারী । 

এর জন্য আগামী ১সেপ্টেম্বর থেকে ;এক ভারত বিজয়ী ভারত সম্পর্ক যাত্রা শুরু করছে বিবেকানন্দ কেন্দ্র কন্যাকুমারী। করিমগঞ্জে বেবিল্যান্ড হাই স্কুলে সম্প্ৰতি আয়োজিত এক সভায় একথা জানান বিবেকানন্দ কেন্দ্র কন্যাকুমারীর সর্বভারতীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদিকা রেখা দাভে । তিনি আরও বলেন- স্বামী বিবেকানন্দ জীবনে চলার পথে মানুষের মঙ্গলের জন্য চিন্তা করে গেছেন আজ তার চিন্তা ধারাকে সামনে রেখে আমাদের এগোতে হবে। 

স্বামী বিবেকানন্দ বিশ্ব ধর্ম সম্মেলনে যাওয়ার আগে কন্যাকুমারী তিন সমুদ্রের মন্থন স্থল বিশাল শিলা পাথরে তিন দিন তিন রাত ধ্যান করেন সেই ঐতিহ্যবাহি শিলা পাথরকে বিবেকানন্দ শিলা স্মারক বা রক মেমোরিয়াল বলা হয় । ১৯৭০ এক নাথ রানাডে স্বামীজি স্মৃতি বিজরিত কন্যাকুমারীতে শিলা স্মারক গড়ে তোলেন । তবে এই শিলা স্মারক গড়তে অনেক কষ্ট নানা সমস্যায় পড়তে হয়েছে । তৎকালিন রাজ্য সরকার কেন্দ্র সরকারের ঘরে বল ঠেলে দেয় । সমর্থন দাবি করে সেই মতে একনাথজি মাত্র ৪৮ ঘন্টায় ৩২৩ জন সাংসদের সমর্থন নিয়ে সেই সময়ের বরিষ্ঠ মন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্ৰীর হাতে দেন পরে শাস্ত্ৰী তা প্রধানমন্ত্রী জওহর লাল নেহরুকে দিয়ে মঞ্জুর করিয়ে নেন কিন্তু তৎকালিন সাংস্কৃতি মন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের সাংসদ হুমাউন কবির বাধা হয়ে দাঁড়ান। পরে একনাথজি পশ্চিমবঙ্গে গিয়ে সংবাদমাধ্যমে কবিরের আসল রূপ তুলে ধরেন। পরে কবির বিবেকানন্দ শিলা স্মারক তৈরি থেকে নিজের মত পরিবর্তন করেন ।

এদিকে শিলা স্মারক তৈরির প্রস্তুতি নেওয়ার সময় সেই সময়ের শিল্পপতি বিড়লা কোম্পনি স্মারক তৈরি করে দিতে এগিয়ে আসেন কিন্তু একনাথজি তা মানেননি তিনি বলেন ভারতের প্রতিজন মানুষের সহযোগিতা নিয়ে গড়ে তোলা হবে। রেখা দাভে বলেন একনাথজি সারা ভারত থেকে এক টাকা দুটাকা করে অর্থ সংগ্রহ করেন তা থেকে মোট ৮৫ লক্ষ টাকা আসে যদিও শিলা স্মারক গড়তে প্রয়োজন ১কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা। পরে কেন্দ্র সরকার ও বিভিন্ন রাজ্য সরকার বিশেষ ব্যক্তিরা সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন। সেই অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে গড়ে ওঠে বিশাল বিবেকানন্দ শিলা স্মারক। এই স্মারক শিলান্যাস করতে তৎকালিন রাষ্টপতি ভি ভি গিরি উপস্থিত ছিলেন পরবর্তীতে ভরতের প্রধান মন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী থেকে প্রায় সকল প্রথম স্তরের নেতারা যান। তিনি বলেন আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে শিলা স্মারকের ৫০ বছর উদযাপন শুরু হবে আর এর সূচনা হবে। 

এক ভারত বিজয়ী ভারত, নামে গোটা ভারতকে এক সূত্রে আর বিবেকানন্দের চিন্তা ধারায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে সম্পর্ক যাত্রা শুরু হবে। প্রথম দিন মহামহিম রাষ্টপতির সঙ্গে সম্পর্ক করে কার্য্যসূচির সূচনা হবে । এদিনের সভায় পৌরহিত্য করেন ড.মৃণাল কান্তি দত্ত। সাংগাঠনিক বিষয় নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেন অসম প্রান্তের প্রান্ত সংগঠক মীরা কুলকানি তিনি বলেন এক ভারত বিজয়ী ভারত অভিযান কে সফল করতে সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তির দ্বারা পৃথক কমিটি গঠন করা হবে। সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের নিকট বিবেকানন্দের বাণী বার্তা নিয়ে যেতে হবে। এর আগে অনুষ্ঠানের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করেন বিবেকানন্দ কেন্দ্র কন্যাকুমারীর করিমগঞ্জের সংযোজোক অরূপ রায়। প্রদীপ প্রাঞ্জল করে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন বরাক বিভাগ প্রমুখ নিহারেন্দু ধর। অথিতিদের বরণ করেন করিমগঞ্জ মার্গদর্শক ডা:দূর্বাদল দাস, ডঃ শর্মিষ্ঠা খাজাঞ্চি, সহ সংযোজোক গৌতম দেব প্রমুখ।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.