Header Ads

৩ বছরের বেশি ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব দিল অসম সরকার

নয়া ঠাহর প্ৰতিবেদন, গুয়াহাটিঃ     জাতীয় নাগরিক পঞ্জী, এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকা ৩১ জুলাই    প্রকাশ পাবে, তার জন্যে প্রশাসনিক প্রস্তুতি চলছে। প্রথম তালিকা ও দ্বিতীয় তালিকা নিয়ে ৪২ লাখেরও বেশি মানুষের নাম বাদ পড়েছে। পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য সংসদে বলেছেন অসমে এন আরসি থেকে ২৩ লাখ বাঙলি হিন্দুর নাম কাটা যাবে। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন বাঙালি হয় হিন্দুদের নাম কাটা যাবে না। 

রাজ্য সভায় বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকলেও  নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস করার জন্যে  বিজেপি নেতৃত্ব বদ্ধ পরিকর। আবার কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিমবঙ্গ সহ সব রাজ্যে এন আর সি লাগু করতে চাইছে। দেশের  সব রাজ্যের ভোটার তালিকা থেকে অবৈধ নাগরিকদের নাম কাটতে বলছে।  বাস্তবিক কি করতে চাইছে বিজেপি সরকার ? অসমের জাতীয়তাবাদী সংগঠন আসু ,আবসু, কৃষক মুক্তি, জাতীয়তাবাদী যুব ছাত্র পরিষদ প্রভৃতি সংগঠন এন আর সি  ইস্যু, নাগরিকত্ব বিল প্রভৃতির ক্ষেত্রে বার বার স্থিতি বদলের ফলে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে সরকার বিরোধী আন্দোলন করার প্রস্তুতি  চালাচ্ছে। 

অসমের বন্যা সমস্যাকে জাতীয় সমস্যা হিসেবে গণ্য করা হবে না, ব্রহ্মপুত্র নদ খননের দরকার নেই, ৬ উপজাতি গোষ্ঠীকে তপশিলভুক্ত করার ক্ষেত্রেও কিছু অসুবিধার কথা বলে অসমের মানুষকে চটিয়েছে বিজেপি সরকার। ডি ভোটার, ডিটেনশন ক্যাম্প নিয়েও সরকার ঠিক পথে এগোচ্ছে না।    সরকারের হেফাজতে, সরকারের  তথাকথিত ডিটেনশন ক্যাম্প বন্দি অবস্থাতে প্রায় ৫০ জন মারা গেছে সেই মৃত্যুর জন্যে সরকারকে দায়ী করে কংগ্রেস ১০ লাখ করে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে।    কংগ্রেস বিধায়ক কমলাক্ষ্য দে পুরকায়স্থ বৃহস্পতিবার আবার জানান ডি ভোটার এবং ডিটেনশন ক্যাম্প-এর বন্দিদের নিয়ে সরকার যে ছেলে খেলা শুরু করেছে তা মেনে নেওয়া যায় না। আসন্ন বিধানসভায় বিষয়টি তুলে সরকারের কাছে জবাবদিহি করা হবে। সংসদে কেন্দ্র জানিয়েছে, অসমের ডিটেনশন ক্যাম্পগুলিতে ১১৩৩ জন বন্দি আছে,৭৬৯ জন এক বছর থেকে আছে, ৩৩৫ জন তিন বছরের বেশি সময় থেকে আছে। বিদেশি ট্রাইব্যুনালের এক তরফা রাযে ৬৩৯৫৯ জনকে বিদেশি ঘোষণা করা হয়েছে। ১৯৮৫ সাল থেকে ২০১৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পৰ্যন্ত এই ঘোষণা করা হয়।

 সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশ মেনে যেসব বন্দির সময়সীমা ৩ বছরের বেশি হয়েছে তাদের শর্তাধীনে মুক্তি দেওয়ার জন্যে অসম সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। ৩৩৫ জনের বন্দিত্বের  সময়সীমা ৩ বছর পার হয়ে গেছে। তাদের মুক্তির ব্যবস্থা হবে। আর যেসব হাজার হাজার গরিব সংখ্যা লঘু মানুষকে এক তরফা ভাবে বিদেশি বানানো হল, যাদের অধিকাংশ ভারতীয় নাগরিক ১৯৯৭ সাল  থেকে বিদেশির কলঙ্ক মাথায় নিয়ে বাঁচতে হচ্ছে, তাদের ভাগ্যে কি ঘটবে? সচেতন মহলে প্ৰশ্ন উঠেছে তা নিয়েও। এন আর সি নিয়ে চূড়ান্ত ছেলেখেলা চলছে। হাজার হাজার ভুলে ভরা এন আর সি-র  তালিকা প্রকাশ পাবে, নির্ভুল তালিকা প্রকাশ করার প্রতিশ্ৰুতি দেওয়া এন আর সি কর্তৃপক্ষ কি ভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করে তাই এখন দেখার।


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.