Header Ads

স্পষ্ট কথা বলার দায়ে এবারে প্ৰিয়াকেও কি তসলিমার মতো নিৰ্বাসিত জীবন কাটাতে হবে

রিংকি মজুমদার

সপ্তাহ দুয়েক আগেও তাঁকে কেউ চিনতো না। এমন একটি ঘটনা ঘটে গেল যা প্ৰিয়া সাহাকে সারা বিশ্বে পরিচিতি এনে দিল। অপ্ৰিয় সত্য কথা বলার দায়ে নিৰ্বাসিতের তালিকায় তাহলে কি বাংলাদেশের বিতৰ্কিত লেখিকা তসলিমার পর প্ৰিয়া সাহার নামও যোগ হতে চলেছে।

 প্ৰিয়া সাহা

 তসলিমা নাসরিন, ছবি, সৌঃ আন্তৰ্জাল
প্ৰিয়া কি কোনও দিন নিজের দেশে নিরাপদে ফিরতে পারবেন। এই প্ৰশ্নগুলোই বৰ্তমানে বার বার ঘুরে ফিরে আসছে সচেতন মহলে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা মৌলবাদীদের দ্বারা নিৰ্যাতিত হচ্ছে। গত সপ্তাহে মাৰ্কিন প্ৰেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্ৰাম্পের কাছে এই নালিশ করার পর থেকে বাংলাদেশ এবং সে দেশের বাইরেও প্ৰিয়াকে নিয়ে আলোচনা সমালোচনার ঢেউ উঠেছে। গরম হয়েছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশ। একাংশ সমালোচক বলেছেন- প্ৰিয়া সাহা ব্যবহৃত হয়েছেন, এর পেছনে গভীর ষড়যন্ত্ৰের সন্দেহও করছেন সমালোচকরা। বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরা বলছেন এটা সেদেশের ভাবমূৰ্তিকে নষ্ট করার চেষ্টা হচ্ছে। সাম্প্ৰদায়িকতা সমস্যা কম বেশি তো রয়েছে সেখানে। এর পেছনে গভীর ষড়যন্ত্ৰের সন্দেহ করছেন বেশ কিছু রাজনীতিবিদ।
সমালোচনা পাল্টা সমালোচনার এই পরিস্থিতিতে রাতের ঘুম উঠে গিয়েছে প্ৰিয়া সাহা, তাঁর স্বামী এবং পরিবার পরিজনদের। এরপর কি তারা অন্য আর দশটি পরিবারের মতো স্বাভাবিক ছন্দোময় জীবন কাটাতে পারবেন, প্ৰশ্ন উঠেছে তে নিয়েও। এই পরিস্থিতিতে প্ৰিয়ার পাশ থেকে সমৰ্থন উঠিয়ে নিয়েছে হিন্দু বৌদ্ধ খ্ৰিস্টান ঐক্য পরিষদও। মাৰ্কিন প্ৰেসিডেন্ট ট্ৰাম্পের কাছে বাংলাদেশে ধৰ্মীর সংখ্যালঘু নিৰ্যাতনের অভিযোগ তুলে সাহায্য চাওয়ার পর প্ৰিয়া সাহাকে পরিষদ থেকে সোমবার সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।

এখানে একটি কথা বলেতেই হয় যে সমাজের বাস্তব ছবি দেখে সাহস করে মাথা উঁচু করে সোজা সাপ্টা ভাষায় কথা বলার জন্য এক সময় বাংলাদেশের লেখিকা তসলিমা নাসরিনকে নিজের দেশ বাংলাদেশ ছাড়তে হয়েছে। তাঁর অপরাধ, একজন মেয়ে হয়ে সমাজের নোংরা বাস্তবকে আঙুল দেখানোর ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন তিনি। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি একটি স্থায়ী ঠিকানার জন্য তরপে তরপে আছেন। একজন ভারতীয় নাগরিক হিসেবে আমি গৰ্বিত। সবাই বলে আমাদের দেশ মহান। এই মহান ভারতও কিন্তু এখনও পৰ্যন্ত ‘লজ্জা’র লেখিকা তসলিমাকে স্থায়ী ভাবে আশ্ৰয় দিতে পারেনি। একজন মানুষকে স্পষ্ট কথা বলার জন্য দেশ ছাড়া হতে হয়েছে। রাজনৈতিক প্যাচ দিয়ে বিষয়টিকে বছরের পর বছর ধরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। প্ৰিয়া সাহার ক্ষেত্ৰে কি হবে? বাংলাদেশ সরকার কি তাঁকে নিরাপত্তা দিতে পারবে? তিনি যাতে করে নিজের দেশ বাংলাদেশে ফিরতে পারেন সেই পথ কি কি সুগম করে দিতে পারবে শেখ হাসিনার সরকার? তিনি কি নিজের দেশে বিনা বাধায় ফিরতে পারবেন? এইসব প্ৰশ্নই বৰ্তমানে দানা বাধতে শুরু করেছে সমালোচকদের মনে।   

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.