অসমে মুখ্যমন্ত্রী বন্যাপীড়িত অঞ্চল পরিদর্শন করেন, অর্থমন্ত্রী বন্যা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বাজেটে ক্ষয়ক্ষতি পূরণে হাজার কোটি পাশ করা হবে বলে জানান
অমল গুপ্ত, গুয়াহাটিঃ
অসমে ৩১ জেলা প্লাবিত হয়েছিল, প্রায় ৬০ লাখ মানুষ ক্ষতি গ্রস্ত হয়,৬৭ জনের মৃত্যু হয়। সরকার অধিকাংশ অঞ্চলে ত্রাণ সরববরাহ করতে ব্যর্থ হয়, ঠিকমতো চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়নি যার ফলে এনকেফেলাইটিস রোগে আক্রান্ত হয়ে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দিসপুর প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে দিসপুর বিধান সভা কেন্দ্রের অধীন গরুবান্ধা, মলয় বাড়ি, হেলাগো ইটিলাপার প্রভৃতি বন্যাপীড়িত অঞ্চলে ত্রাণ বিলি করতে গিয়ে গ্রামবাসীরা অভিযোগ করলো সরকারিভাবে কেউ ত্রাণ বিলি করতে আসেনি। সারা রাজ্যে একই অভিযোগ ।
নতুন করে আবার বন্যা শুরু হয়েছে। ভুটানের কুরিশু নদী নিম্ন অসমের অনেক অঞ্চলকে ভাসিয়েছে। চিরাং, নলবাড়ি জেলায় সেনাবাহিনী উদ্ধার অভিযানে নেমেছে। লখিমপুর, ধেমাজি জেলাতেও নতুন করে বন্যা দেখা দিয়েছে। নিম্ন অসমে মানকাছার , সালমারা ,ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের বন্যা পরিস্থিতি দেখতে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল আজ সেখানে যান। হাটসিঙ্গিমারীতে ডি আই জি আর আলী হাজারিকার পৌরহিত্যে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বন্যা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। ডিসি আর্টিকা সুলতানা জানান ১৪৩ টি সারকেলে ৫ লাখ মানুষ ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ সামগ্রী ওষুধপত্র প্রভৃতি যথাযথ দেবার নির্দশ দেন।
ওইসব অঞ্চলে লাগাতার লোডশেডিং চলছে। এদিকে আজ অর্থ মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সব বিভাগীয় মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক করেন। মন্ত্রী কেশব মহন্ত, পরিমল শুক্লবৈদ্য, অতুল বরা প্রমুখ ছিলেন। অর্থমন্ত্রী জানান ৩০ টি নদী বাঁধ ভেঙেছে, তা নতুন করে নির্মাণ করা হবে। আগামী ২৬ জুলাই বাজেট সেই বাজেট পূর্ত বিভাগের জন্যই ৩৬৫ কোটি, কৃষি বিভাগে ৩৫ কোটি, পি এইচ ই বিভাগের জন্যে ৭০ কোটি টাকা নিয়ে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা পাশ করিয়ে নেওয়া হবে। বন্যার ক্ষয়ক্ষতি পূরণের জন্যে তা করা হবে।
কোন মন্তব্য নেই