বিদেশি ট্রাইব্যুনালগুলির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন মানবাধিকার সংগঠনগুলির
নয়া ঠাহর প্ৰতিবেদন, গুয়াহাটিঃ যারা কোনও দিন বাংলাদেশ দেখেনি, অসমে ৫০, ৬০ বছর ধরে বসবাস করছে অসমীয়া ভাষা সংস্কৃতিকে আপন করে নিয়েছে, সেই সব বাংলাভাষী হিন্দু মুসলিম মানুষকে বিদেশী সাজিয়ে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠনোর গভীর চক্রান্ত শুরু হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের লিগ্যাল এইড ফোরাম-এর সাধারণ সম্পাদক জয়দ্বীপ মুখার্জি, সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী মিহির দেশাই, বিন্দা গ্রোভার এবং সিটিজেন ফর জাস্টিস অ্যান্ড পিস এর নেত্রী তিস্তা সিতলাবাদ প্রমুখদের সামনে মরিগাঁও, বিজনী, চিরাং প্রভৃতি জেলার এনআরসি থেকে নাম বাদ পড়া মানুষের অভিযোগ শুনে বলেন, গভীর চক্রান্ত শুরু হয়েছে।
সীমান্ত পুলিশ এবং বিদেশি ট্রাইব্যুনালের নিরপেক্ষতা নেই, তাদের কাজ কর্মে সাংবিধানিক নিয়ম নীতি মানা হচ্ছে না। দেশের বিশিষ্ট মানবতাবাদী নেত্রী সিতলাবাদ বলেন, ২৬ জুন যাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে তাদের অধিকাংশের ভারতীয় নাগরিককত্বের উপযুক্ত নথি পত্র আছে, তারপরেও একপক্ষভাবে তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে, ডি বানানো হয়েছে। আপত্তিকারীদের আড়াল করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের বিচারপতিদের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। প্রচণ্ড গরিব মানুষগুলোকে ডি ভোটার বানানো হয়েছে। আপত্তিকারীদের শুনানির সময় সাংবাদিকদের ঢোকার অনুমতি না দিয়ে নিয়ম বহির্ভুত কাজ করা হয়েছে, মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে।
লিগ্যাল এইড ফোরাম-এর সাধারণ সম্পাদক তথা সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী জয়দ্বীপ মুখার্জি গতকাল জাগিরোড নির্বাচন কেন্দ্রের অন্তর্গত ঝারগাঁও, বুড়াবুড়ি, মাইয়াং প্রভৃতি অঞ্চল সফর করেন, সেখানে ১৯৬৬ সালের বৈধ নথি পত্র থাকলে ও নথিপত্র পরীক্ষা না করে হাজার হাজার বাঙালি হিন্দুকে বিদেশি বানানো হয়েছে।
এনআরসি তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে গ্রামবাসীরা অভিযোগ করলেন। মধ্য অসমের লঙ্কা, লামডিং প্রভৃতি বাঙালি অধ্যুষিত এলাকাতে ভারতীয় নাগরিকত্বের নথিপত্র ভালোভাবে পরীক্ষা না করে বাতিল করে দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। লামডিংয়ের সেবা কেন্দ্রে ২৮ জনের নথি পত্র পরীক্ষা না করে বাতিল করা হয়েছে। এনআরসি কর্তৃপক্ষ কেবল বাঙালি হিন্দু মুসলিমদের যে কোনও ভাবে বাদ দেওয়ার গভীর চক্রান্ত শুরু হয়েছে বলে মানবতাবাদী সংগঠনগুলি অভিযোগ করেছে।








কোন মন্তব্য নেই