Header Ads

আশি ঊৰ্ধ্ব লক্ষী সেনের ঠিকানা রেলওয়ে স্টেশন, ছেলেরা চাকরি-ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত


এই সেই লক্ষী বৰ্তমানে যার ঠিকানা বদরপুর রেলওয়ে স্টেশন।ছবিঃ নিজস্ব
 নয়া ঠাহর প্রতিবেদন , বদরপুর : দুই ছেলে সরকারি চাকুরে এবং এক ছেলে ব্যবসায়ী। সবাই ভাল রোজগেরে, এরপরেও আশি ঊর্ধ্ব লক্ষী সেনের ঠিকানা হয় রেল স্টেশন। 

বদরপুর রেল স্কুলের পিছনে বসতবাড়ি ছিল লক্ষী সেনের। তাঁর ছেলেরা সেই জায়গা বিক্রি করে জুমবস্তিতে আরেকটি জায়গা নিয়েছেন। কথা ছিল সেখানেই বাড়ি করে মাকে রাখবে। কিন্তু দুর্ভাগ্য লক্ষী সেনের, আগেই জমি হারা হয়েছিলেন এখন বাড়ি হারা হয়ে ঠাঁই হল রেল স্টেশনে। পাঁচ দিন ধরে প্ল্যাটফৰ্মে ঢোকার মুখে এক কোনায় পড়ে আছেন তিনি। সঙ্গে তাঁর ব্যবহৃত আসবাবের একটি ব্যাগে কিছু কাপড়,  একটি মোড়া, বালতি মগ আর প্লাস্টিকের একটি চাটাই। এই সম্বলটুকু তাঁর হাতে ধরিয়ে দিয়ে বাড়ির লোকেরা তাঁকে স্টেশনে পৌঁছে দিয়ে গেছে বলে সংবাদ মাধ্যমকে লক্ষী সেন নিজেই জানান। লক্ষী নয় বছর বয়সে নোয়াখালী রায়টে ঘরবাড়ি ছেড়ে এদেশে চলে আসেন। তারপর অনেক ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যে সন্তানদের বড় করেছেন। স্বামী পুষ্প সেন অনেক আগেই গত। বয়সের ভারে নিজেও সব কথা গুছিয়ে বলতে পারেন না। 
কিন্তু ছেলেরা অবস্থাপন্ন হলেও তাঁদের সংসারে ঠাঁই হয়নি লক্ষী দেবীর। এই কদিন যাত্রীদের ও রেল কর্মীদের দয়ায় কোনোমতে দিন কাটছে। অপেক্ষায় কবে ছেলেরা মাকে বাড়ি নিয়ে যাবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.