Header Ads

গারো পাহাড়ে কলার খেতি করা কৃষকদের মনে নতুন আশার সঞ্চার করেছে মোদির নতুন ক্যাবিনেট




নয়া ঠাহর প্রাতিবেদন শিলং।মেঘালয়ের গারো পাহাড়ের জনজাতি কৃষকরা এশিয়ার ভিতরে সর্বাধিক জৈবিক পদ্ধতিতে কলা উৎপন্ন করে। ১৫ হাজারের বেশি জনজাতীয় কৃষক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এই জৈবিক কলার খেতির সাথে সাথে যুক্ত রয়েছে ।এই গারো পাহাড়ে উৎপাদিত কলার খেতি করা কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কলা এশিয়ার সর্ববৃহৎ কলার বাজার আসামের গোয়ালপাড়া জেলায় বিক্রি করে। জনজাতীয় কৃষকরা বেশিরভাগ সময়ই মধ্য ভোগীর দ্বারা প্রতারিত হয়ে আসছে  গারো পাহাড়ের জনজাতি কৃষকরা যাতে মধ্য ভোগীদের দ্বারা প্রতারিত না হয় তার জন্য মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা আর গারো পাহাড়ের জনজাতি কৃষকদের  একটি প্রতিনিধিদল ২০১৭ সালে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ  দপ্তরের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হার্সিমরত বাদল কে সাক্ষাত করেছিলেন। সেসময় কনরাড সাংমা আর প্রতিনিধিদলের সদস্যরা গারো পাহাড়ের জৈবিক কলার খ্যাতি সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে মন্ত্রীকে অবগত করায়। এই অঞ্চলে এই বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে কলার উৎপাদন বেশি করে হয় ।আগস্ট মাস থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত কলার উৎপাদন বেশি হয়। সেই জন্য কলার উৎপাদন ও  যোগানো নিয়মিত করার জন্য প্রতিনিধিদলটি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে এই এলাকাতে কটি শীতল ভান্ডার স্থাপন ও খাদ্য সংসাধন দল স্থাপন করার আহ্বান জানিয়েছিল। যদিও নতুন দিল্লির কেন্দ্রীয় সরকার এখন পর্যন্ত শীতল ভান্ডার ও খাদ্য সংসাধন দল স্থাপন করার জন্য  কোন পদক্ষেপ নেয়নি। তথাপি শুক্রবার বাদল ও রামেশ্বর তেলী বিভাগের দায়িত্ব নেওয়ার পরে কৃষকের মনে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে। যদিও মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা  বিগত কয়েক মাস  ধরে তাদের সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করে চলেছে ।মেঘালয় সরকার কৃষি  বৃদ্ধি করার জন্য নতুন করে খাদ্য সঞ্চয় বিভাগ একটা স্থাপন করেছে ।এবার  মোদির নতুন কেবিনেট পাঞ্জাবের সংসদ হারসিমরত কাউর বাদল আর আসামের  সাংসদ রামেশ্বর তেলিকে বিভাগের রাজ্যিক মন্ত্রী  হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করার পর রাজ্যের কৃষকের মনে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে । যদিও তুরা সমষ্টির সাংসদ আগাথা সাংমা মন্ত্রিত্ব লাভ করতে সক্ষম হয়নি তথাপি গারো পাহাড়ের কৃষকেরা সম্পূর্ণভাবে আশাহত হয়নি।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.