Header Ads

গোয়ালপাড়া ডিটেনশন ক্যাম্পে মৃত্যু সোনা মুণ্ডার

নয়া ঠাহর প্রতিবেদন,গুয়াহাটিঃ গোয়ালপাড়া ডিটেনশন ক্যাম্পে মৃত্যু হল সোনা মুণ্ডার। মঙ্গলবার গুয়াহাটির বি বড়ুয়া ক্যান্সার হাসপাতালে  চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। উল্লেখ্য যে ২০১৪ সালে বিদেশি অভিযোগে গোয়াল পাড়ার বাসিন্দা সোনা মুণ্ডাকে ডিটেনশন ক্যাম্পে নিয়ে যায় সীমান্ত পুলিশ। সেই থেকে সেখানে ছিলেন তিনি। আর্থিক অনটন ও প্রয়োজনীয় নথিপত্রের অভাবে ট্রাইব্যুনালে এই রায়ের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারেনি সোনা মুণ্ডার পরিবার। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই ক্যান্সারে ভুগছিলেন গত মাসে তার  অবস্থার অবনতি হলে তাকে গুয়াহাটি বি বড়ুয়া ক্যানসার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় এক মাস সেখানে থাকার পর মঙ্গলবার তার মৃত্যু হয়।
প্রশ্ন উঠেছে যে একজন আদিবাসী কিভাবে বিদেশি হতে পারে এবং তাকে কিভাবে ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা হয়েছিল ? অভিযোগ আরো যে  সীমান্ত পুলিশের তদন্তকারী অফিসাররা প্রথমে কোন তদন্ত ছাড়াই স্বদেশীকে বিদেশী বলে রিপোর্ট দেয় ।এই অভিযোগ দীর্ঘদিনের। প্রাক্তন সেনা কর্মী সানাউল্লাহকে বিদেশি সাজান ও ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হয়। অমৃতলাল দাস ও সুরুজ আলির মৃত্যুর পর রাজ্যে বিদেশি সনাক্তকরণ প্রক্রিয়া কিভাবে চলছে সেটার উপর প্রশ্ন উঠেছে। এই অভিযোগ উঠেছে যে ডিটেনশন ক্যাম্পে বিদেশি বলে যাদের বন্দি করে রাখা হয়েছে তাদের মধ্যে অনেকেই ভারতীয় নাগরিক। জাল স্বাক্ষর করে তাদেরকে বিদেশি বানিয়েছে সীমান্ত পুলিশ। বিদেশি হলে ডিটেনশন ক্যাম্পে নিহতদের মৃতদেহ কেন বাংলাদেশে পাঠানো হয়নি সেই নিয়েও প্রশ্নও উঠেছে।
অথচ বিদেশি নাগরিকদের সনাক্ত করতে সীমান্ত  পুলিশকে সতর্ক হওয়ার কথা বারবার বলেছে গুয়াহাটি হাইকোর্ট। বিদেশি ট্রাইব্যুনালে মামলা প্রেরণের আগে প্রাথমিক তদন্ত প্রক্রিয়া ও  মামলা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সীমান্ত  পুলিশ অধিকারিকদের । কারণ বিদেশি সংক্রান্ত  মামলা গুলি সাধারণত  সীমান্ত পুলিশের ভুলের জন্যই হয়ে থাকে। তবুও  পুলিশ যে সতর্ক হয়নি  সানাউল্লাহর মামলাটি তারই প্রমাণ। ডিটেনশন ক্যাম্পে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে তাদের মৃতদেহ বাংলাদেশে পাঠাচ্ছে না কেন ? ধিং থানার বাটাবাড়ির সুরুজ আলি নামের ভিখারিকে বিদেশি সাজানো হয়েছে । ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও বিদেশি ট্রাইব্যুনালের রায়ে সস্ত্রীক সুরুজকে বিদেশি ঘোষণা করে তদন্তকারী অফিসার রিপোর্টের ভিত্তিতে। আবার ডিটেনশন ক্যাম্পে তার মৃত্যুর পর মৃতদেহ তার পরিবারের হাতে সমঝে   দিয়েছে পুলিশ । বরপেটা রোডের অমৃতলাল দাসের মৃতদেহও তার পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে পুলিশ। তার মানে তাদের পরিবারের লোকেরা ভারতীয়। তাহলে এক ভারতীয় পরিবারের সদস্যরা কিভাবে বিদেশি হতে পারে ? প্রশ্ন এখানেই।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.