সানাউল্লাহর মতো বিদেশি ট্রাইব্যুনালের ভুলে মধুবালা মণ্ডলকেও জেলে যেতে হয়েছে
নয়া ঠাহর প্রতিবেদন, গুয়াহাটিঃ কামরূপ জেলার বোকোর প্রাক্তন সেনা অফিসার সানাউল্লাহ আজ কোনও অপরাধ না করেও বিদেশি ট্রাইব্যুনালে বিচারপতির ভুলের জন্যে গোয়ালপাড়া ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি করে রাখা হয়েছে। সীমান্ত পলিশ এবং ট্রাইবুনালের বিচারপতির ভুলে বিজনীর বিষ্ণুপুরের বাসিন্দা মধুবালা মণ্ডলকেও ৩ বছর জেলে থাকতে হয়েছে বলে সংবাদ সূত্রে জানা গেছে। মধুবালার নথিপত্রে কোনও গরমিল পাওয়া যায় নি। বড় অপরাধ তাঁরা বড় গরিব আইনি লড়াই করার আর্থিক ক্ষমতা নেই। প্রাক্তন সেনা অফিসার সানাউল্লাহ ঘটনা নতুন মোড় নিয়েছে। বোকোর সীমান্ত পুলিশ এএসআই চন্দ্র মল দাসের বিরুদ্ধে তিনজন বোকো পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ করেছেন। আমজাদ আলী আহমেদ, সুভান আলী এবং কোরান আলী অভিযোগ করেছেন তাদের সঙ্গে কোনও কথা না বলে তাদের নাম স্বাক্ষরদাতা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে। ওই সীমান্ত পুলিশ ইচ্ছাকরে সানাউল্লাহকে ফাসিয়েছে। জানা গেছে ওই গ্রামে সানাউল্লাহ নামে আর দ্বিতীয় কোন ব্যাক্তি নেই। ভারতের সেনাবাহিনীর অফিসাররা সানাউল্লাহর পাশে দাঁড়িয়েছেন। প্রাক্তন সেনার পোশাক এবং অন্য নথিপত্র সংগ্রহ করে নিয়ে গেছে। বোকোর বিদেশি ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি, সীমান্ত পুলিশ এবং হাইকোর্টের ভুলের ফলে ৩০ বছর সেনা বিভাগে ক্যাপ্টেনকে ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি করা হয় এই ঘটনা দেশের ইতিহাসে এক কলংকিত অধ্যায়।
কোন মন্তব্য নেই