তরুণ গগৈ আরএসএস থেকে কংগ্রেসকে শিক্ষা নিতে বলেন, প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসার ইচ্ছা ও পোষণ করেন
নয়া ঠাহর প্ৰতিবেদন, গুয়াহাটিঃ তিনি পারেন, মানতেই হবে। অশীতিপর তরুণ, কংগ্রেস দলের সবাইকে টক্কর দিচ্ছেন, মাসে চার পাঁচ দিন সাংবাদিক সম্মেলন ডাকেন, দলকে উজ্জীবিত করেন। দুই দুই বারের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ সোমবার আবার সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে ঠারেঠোরে জানিয়ে দিলেন, ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে দলের প্রয়োজনে পুনরায় মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিতে রাজি। গৌতম রায় সহ কয়েকজন কংগ্রেস নেতাকে বহিষ্কারের পর প্রদেশ কংগ্রেসের মধ্যে আভ্যন্তরীণ বিরোধ এখন তুঙ্গে, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রিপুন বরাকে প্রকাশ্যে আক্রমণ করছেন বহিষ্কৃতরা। এই আবহে তরুণ গগৈ দলের মধ্যে রক্ত সঞ্চার করছেন। এদিন তাঁর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে বিজেপির কড়া সমালোচনা করেও আরএসএস-এর কাছে কংগ্রেসকে শিক্ষা নেবার কথা বলেন। আরএসএস-এর সাংগঠনিক কাজের প্রশংসা করে বলেন, তারা প্রতি ঘরে ঘরে গিয়ে থাকেন, খাওয়া দাওয়া করেন, তাদের অভাব অভিযোগ জানবার চেষ্টা করে। ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকে কংগ্রেস দলের মধ্যে অহং বোধ চলে এসেছে। আরএসএস-এর মতো জনসংযোগ নেই। গ্রামে গ্রামে গিয়ে মানুষের খবর নেই না। কংগ্রেস নেতা, কর্মীদের আত্ম সমালোচনার প্রয়োজন আছে বলে তরুণ মন্তব্য করেন। বিজেপির জয়লাভে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, বিমুদ্রাকরণ, জিএসটি লাগু গরিব মানুষ দুর্ভোগের মধ্যে পড়ে, দেশে লাখ লাখ শিক্ষিত বেকার, চাকরি বাকরি নেই, প্রতিটি সামগ্রীর আকাশ সমান মূল্যবৃদ্ধি, অসমের ৬ জনগোষ্ঠীকে তফশিলভুক্ত করার প্রতিশ্ৰুতি পূরণ হলো না, তারপরও ভোটাররা বিজেপিকে কেন ভোট দিল বলে প্রশ্ন করেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। একথাও দলকে শুনিয়ে দেন প্রদেশ কংগ্রেস এর সভাপতি হওয়ার বিন্দু মাত্র ইচ্ছা নেই। দলের পরার্মশ দাতা বা উপদেষ্টা হয়েই থাকতে চান , প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রীর কুরসিতে বসতে রাজি।
কোন মন্তব্য নেই