Header Ads

সোনাউল্লাকে নিয়ে রাজ‍্য জুড়ে প্রতিবাদের ঢেউ, সীমান্ত পুলিশকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি অসমের প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী তরুণ গগৈয়ের



নয়া ঠাহর প্ৰতিবেদন, গুয়াহাটিঃ অসমে এনআরসির নামে, ডি ভোটারের নামে, ডিটেনশন ক্যাম্পের নামে প্রকৃত ভারতীয় নাগরিকদের হয়রানি করা হচ্ছে। সুপ্রিমকোর্ট থেকে অসমের ভুক্তভোগী হিন্দু মুসলিম সংখ্যালঘু বাঙালিরা প্রতিদিন অভিযোগ করে যাচ্ছে, কিন্তু বিজেপি সরকার কোনও গুরুত্ব দিচ্ছে না। প্রকৃত ভারতীয় নাগরিক দেশের জন্যে দীর্ঘ ৩০ বছর যুদ্ধ করে আহত হওয়া, রাষ্ট্রপতি  পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রাক্তন সেনা অফিসার মোহম্মদ সোনাউল্লাহকে শুক্ৰবার গোয়ালপাড়ার ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি করে রাখা হয়েছে। তাঁকে বাংলাদশী বানানো হয়েছে। কামরূপ গ্রামীণ জেলার  বোকোর আদি বাসিন্দা সোনউল্লাহকে বোকো সীমান্ত পুলিশ মনগড়া প্রতিবেদন দিয়ে দাবি করেছে। সোনাউল্লাহ একজন নিরক্ষর শ্রমিক, বাংলাদেশ থেকে এসেছে। অথচ তিনি একজন    শিক্ষিত ব্যক্তি। অবসরের পর অসম সীমান্ত পুলিশের এস আই হিসাবে যোগ দেন। মজার কথা বাংলাদেশী খোঁজা পুলিশকে আজ অসম পুলিশ বাংলাদেশী তকমা দিয়ে জেলে পাঠিয়েছে। কয়েকদিন আগে বরপেটার বিজয়ী কংগ্রেস সাংসদ আব্দুল খালেক-এর মা ৭৫ বয়সী সবুরা খাতুনকে বাংলাদেশী বলে এন আর সি কেন্দ্রে অভিযোগ দায়ের করা হয়। নলবাড়িতে এক বিদেশি ট্ৰাইবুন্যাল দুজন হিন্দুকে বাংলাদেশী বানিয়েছে এবং ১০ জন মুসলিমকে ভারতীয় বানিয়েছে। এই রায় দেখে হাইকোর্ট গতকাল ক্ষোভ ব্যক্ত করেছে। অসম সরকার সুপ্রিমকোর্টকে  জানিয়েছে ১০০০টি বিদেশি ট্রাইবুন্যাল বানাবে, আপাতত ২০০ টি বানাবে। বর্তমান অসমে ১০০টি ট্ৰাইবুন্যাল কাজ করছে। অধিকাংশেরই পরিকাঠামো নেই। এমন কি বিচারকদের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বিধানসভায়। ট্রাইব্যুন্যালগুলোকেও দুর্নীতি গ্রাস করেছে। সীমান্ত পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে হাইকোর্ট প্রশ্ন তুলেছে। এন আর সি সেবা কেন্দ্রগুলিতে  জুনিয়র অফিসারদের দিয়ে কাজ চালানো হয়, ভারতীয় নাগরিকদের নামে হিন্দু মুসলিম সংখালঘু মানুষের পদবি দেখে দেখে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে আপত্তি জানানো হয়েছে।দেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলো ভূরি ভূরি অভিযোগ করে যাচ্ছে। বিজেপি সরকার আদালত সবাই অন্ধ। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ এবং এআইইউডিএফ সুপ্রিমো সংসদ বদরুদ্দিন  আজমল সোনাউল্লাহ-এর শাস্তির ঘটনাতে বিজেপি সরকারকে দায়ী করে সীমান্ত পুলিশের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে। তরুণ গগৈ সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়লকে আক্রমণ করে বলেন, কার্গিল যুদ্ধের সেনানী জানার পরও কেন মোহম্মদ সোনাউল্লাহকে এখনও ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি করে রাখা হয়েছে? তিনি অবিলম্বে অপরাধী সীমান্ত পলিশকে গ্রেফতারের দাবি জানান। পরিবারের পক্ষ থেকে শুক্রবার জানানো হয়েছে তারা সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন বিচারের আশায়। সোনার পত্নী বৃহস্পতিবার বলেছেন ঈদের আগে তাঁকে ছাড়া না হলে এর জন্য সরকারকে চড়ম মূল‍্য দিতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.