Header Ads

সংস্থাপন দেওয়ার পরিবর্তে সরকার বেকার যুবক-যুবতীদের জীবন নিয়ে খেলছে :প্রদেশ কংগ্রেস

নয়া ঠাহর, গুয়াহাটি: আসাম লোক সেবা আয়োগের অধ্যক্ষের সাথে অন্যান্য সদস্যরা তাদের তত্ত্বাবধানে চূড়ান্ত অরাজকতায় অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া বিগত ২০১৮ বর্ষের সংযুক্ত প্রতিযোগিতামূলক প্রারম্ভিক পরীক্ষা সম্পর্কে যে চূড়ান্ত দায়িত্বহীনতা ও দায়সারা উত্তর দিয়ে  দায় সারতে চাইছে তাকে  কংগ্রেস কমিটি তীব্র ধিক্কার দিয়েছে।
প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র ঋতুপর্ণ কোয়র বলেন, হাজার হাজার শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতীদের জীবন নিয়ে খেলার জন্য  এপিএস সি এবং সর্বানন্দ সোনোয়াল সরকারকে কে এই অধিকার দিয়েছে? আসামে ২৬ লাখ বেকার যুবক যুবতীদের কর্ম সংস্থাপন দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে যে সর্বানন্দ সোনোয়াল সরকার আসামে অধিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ভাবে এই সরকারের দিনে আসামে বেকার যুবক যুবতীদের সংস্থাপনের জন্য বিভিন্ন সরকারি বিভাগ সমূহে অনুষ্ঠিত করা পরীক্ষাগুলি পরীক্ষা না হয়ে  প্রহসনে পরিণত হয়েছে ।সে যে কোনো বিভাগেই হোক না কেন। সে গ্রাম পঞ্চায়েত আর ও গ্রামোন্নয়ন বিভাগ ই হোক ,শক্তি বিভাগই হোক নতুবা অসাম লোক সেবা আয়োগে অনুষ্ঠিত করা পরীক্ষায় হোক না কেন। প্রদেশ কংগ্রেস এই সংবাদমাধ্যম দ্বারা  সকলক অবগত করে যে পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন বিভাগে কিভাবে বিজেপি নেতা, মন্ত্রীর শালী, পত্নি তথা পরিবার-পরিজনকে ধরে বিজেপির পালি নেতা কিভাবে নিযুক্তি লাভ করেছিল।
বিগত সপ্তাহে শক্তি বিভাগে অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া সাক্ষাৎকারের চূড়ান্ত প্রহসন ও অরাজকতার সৃষ্টি হওয়ার কথা সকলে জানে ।এই প্রতিশ্রুতি প্রতিবাদ করার জন্যই শক্তি মন্ত্রী বেকার পরীক্ষার্থী সকলকে দুষ্ট ধুরন্ধর আখ্যা দিয়েছে। এখন পুনরায় লোকসভা আয়োগে অনুষ্ঠিত করা একটা প্রাবন্ধিক পরীক্ষার ফলাফল দুবার  দিয়ে চূড়ান্ত দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়ে শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতীদের জীবনকে নিয়ে বিজেপি সরকার পুনরায় প্রহসন করছে ।একটা সাধারন পরীক্ষা ভালো ভাবে অনুষ্ঠিত না করার সরকারের অধিকারীরা এবং আসাম লোক সেবা আয়োগের সদস্যদের দায়িত্বে থাকা কোন নৈতিক অধিকার কি আছে ?সরকারের কথা এবং কর্মকাণ্ডের থেকে একটা চূড়ান্ত অকর্মণ্য অপদার্থ সরকারের আখ্যা  দিতে পারা যায়। সব কিছুতে ফাঁকি। প্রতারণার কারবার। দুর্নীতি নির্মূল এবং এপিএসির সংস্কারের কথা বলা সর্বানন্দ সোনোয়াল সরকার বিগত তিন বছরে এ পিএসসিতে এমনই  সংস্কার করল নাকি ?  শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের রাস্তা দেখার পরিবর্তে এই সরকার শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীদের মাথা খাচ্ছে।
প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি দাবি জানিয়েছে, যেহেতু ২১ টা বিষয়ে ৯২"আনসার কী" তে যে প্রারম্ভিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ৩১ মার্চ ২০১৯ সে প্রথম পরীক্ষার ফলাফল উত্তীর্ণ হওয়া সকল পরীক্ষার্থীদের উত্তর পত্র পুনরীক্ষণ হতে লাগে ।যদি "শুদ্ধ আনসার কি "সাহায্যে ৩০ এপ্রিল তারিখে ৪০৮ জন পরীক্ষার্থীদের দ্বিতীয়বার ফলাফল ঘোষণা করে উত্তীর্ণ করতে পরে তাহলে "আনসার কীর" দ্বারা উত্তীর্ণ হওয়া ৩৩৬১ জন প্রার্থীর উত্তর পত্র পুনরায় পরীক্ষা কেন হবে না ? প্রশ্ন পাত্রতে ব্যাপক দুর্নীতি, দুবার ফলাফল ঘোষণা করা এবং অযোগ্য প্রার্থীকে যোগ্য হতে পারে বলে স্বীকার করা আয়োগ অধ্যক্ষকে ধরে সকল সদস্যদেরকে সম্পূর্ণরূপে পরীক্ষা না করেই  মূল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত করতে চাইছে ?প্রদেশ কংগ্রেস দাবি জানিয়েছে যে প্রথম পরীক্ষার ফলাফলে উত্তীর্ণ হওয়া সমস্ত পারীক্ষার্তির পরীক্ষার খাতা পুনরায় পরীক্ষা না হযে মূল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত করতে পারা যাবে না। সকল পরীক্ষার্থীদের ন্যায় প্রদান করতে লাগবে। যে সকল ব্যক্তির গাফিলতির জন্য পরীক্ষার্থীদের দুর্ভাগ্যজনক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে তাদের কোনো মতেই ছেড়ে দেওয়া হবে না।  এই সমগ্র বিষয়টি উপরে একটা উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত হতে লাগে । সমস্ত পরীক্ষার খাতা  পুনরায় পরীক্ষা নাকরেআয়োগ  এবং সরকারি মূল পরীক্ষা  আরম্ভ করার পদক্ষেপ গ্রহণ করে তাহলে এই কথাতে সকলে সন্দেহ করার সুযোগ পাবে যে প্রথমবার উত্তীর্ণ তিন হাজার ৩৩৬১ জন প্রার্থীর ভেতর হয়তো বিজেপি নেতা ,মন্ত্রী পরিবার-পরিজন স্থান লাভ করেছে।  স্বচ্ছতা এবং নৈতিকতার স্বার্থে সকল পরীক্ষার্থীদের ন্যায় প্রদানের স্বার্থে আয়োগ ও সরকার অতি গুরুত্বসহকারে বিষয়টি গ্রহণ করতে লাগে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.