Header Ads

বিশ্ব তামাকহীন দিবসে তামাকজাত দ্ৰব্য সেবনে ক্ষতির পরিমাণ এবং ফুসফুসের স্বাস্থ্য

 

বেঙ্গালুরু থেকে আশীষ কুমার দে

প্রতি বছর, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও গ্লোবাল পার্টনারদের সম্মিলিত উদ্যোগে ৩১ শে মে তামাকহীন দিবস হিসেবে পালিত হয়। ধুমপান এবং সেকেন্ড হ্যান্ড স্মোকিং বিভিন্ন ধরনের রোগের  কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেমন ধরুন সক্রিয় ও নিষ্ক্রিয় ধুমপান ফুসফুসের স্বাস্থ্যকে বিভিন্ন ভাবে ক্ষতি করে। ফুসফুসের ক্যান্সার বিশ্বে দুই তৃতীয়াংশ লাঙ্গস ক্যানসারের জন্য দায়ী ধুমপান। সেকেন্ড হ্যান্ড স্মোকিং ফুসফুসে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। ইউরোপিয়ান অঞ্চলে সবচেয়ের বেশি মৃত্যু হয়েছে ফুসফুসের ক্যানসারের কারণে। শুধুমাত্ৰ ২০১৮ সালে মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৩০ হাজার মানুষের। এই রোগে আক্ৰান্ত রোগীর সংখ্যা পাওয়া গিয়েছে ৫০ লক্ষ। ধুমপান ত্যাগ করলে ফুসফুসে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। ধুমপানে অভ্যস্ত ধুমপান ছেড়ে দিলে দশ বছরে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা অৰ্ধেক পরিমাণে কমে যায়। শ্বাস-প্ৰশ্বাসে সমস্যা যেমন ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ ( COPD) (শ্বাস  যন্ত্রের বাধক) হাঁপানি (Asthma ) : COPDএর অন্যতম প্রধান কারণ ধুমপান। এর ফলে ক্রমাগত বেদনাদায়ক কাশি, নিঃশ্বাস প্রশ্বাসে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় রোগীকে। হাঁপানি এমন একটি রোগ যা রোগীর কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয় ও শারীরিক ভাবে পঙ্গু করে দেয়। ধুমপানের শুরুতেই যদি এই অভ্যাস ত্যাগ করা যায় তবে COPD ও হাঁপানি রোগের প্রকোপ কমে। সেকেন্ড হ্যান্ড  স্মোকিং শিশুদের মধ্যে নিম্ন শ্বাস যন্ত্রের (Lower Respiratory Tract) রোগের বৃদ্ধি ঘটাচ্ছে। উদ্বেগজনকভাবে ত্বরান্বিত হচ্ছে হাঁপানি, নিউমোনিয়া ও ব্রঙ্কাইটিশ। ধুমপানের সাথে যক্ষ্মা রোগের সম্পর্ক এখন প্রমাণিত, তামাকের মধ্যে থাকা রসায়নিক পদার্থ সুপ্ত যক্ষ্মার জীবাণুকে উদ্দীপিত করে। ধুমপানের ফলে যক্ষ্মা রোগীর শারীরিক অক্ষমতা ও মৃত্যুর সম্ভাবনা বেড়ে যায়। WHO ও FCTC (ফ্রেমওয়র্ক কনভেনশন ও ট্যোব্যাকো কন্ট্রোল)এর পুরোপুরি প্রয়োগ একমাত্র এই রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.