Header Ads

জুম্মার নমাজ নিয়ে হাইলাকান্দি শহরে ২ গোষ্ঠীর সংঘর্ষ, পরিস্থিতি বাগে আনতে পুলিশের গুলি, শহরে কার্ফু জারি


   

বিপ্লব দেব, হাফলংঃ জুম্মার নমাজকে ঘিরে  দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে শুক্রবার উত্তপ্ত হয়ে উঠে অসমের হাইলাকান্দি শহর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাধ্য হয়ে ভারতীয় দণ্ড বিধি অনুসারে কার্ফু জারি করে হাইলাকান্দি জেলাপ্রশাসন। মসজিদের বাইরে একটি মোটর সাইকেলের সিট কাটা কাণ্ডকে ঘিরে ঘটনার সূত্রপাত। শুক্রবার বেলা ১২ টা নাগাদ দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রীতিমত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জেলা সদর হাইলাকান্দি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে বাধ্য হয়ে কম করে শূন্যে ১৫ রাউন্ড গুলি চালাতে হয়। এদিকে শুক্রবার জুম্মার নমাজের সময় উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ায় জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট তথা জেলাশাসক কীর্তি জল্লি দুপুর ১টা থেকে হাইলাকান্দি শহরে অনির্দষ্টকালের জন্য কার্ফু জারি করে। গোটা শহরে পুলিশ ও সিআরপিএফ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জানা গেছে শুক্রবার হাইলাকান্দি শহরের মাড়োয়ারি পট্টী মসজিদের সামনে রাজপথে নমাজ পড়াকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। তারাবির নমাজের সময় একটি মোটর সাইকেলের সিট কাটা কাণ্ডকে ঘিরে ওই মসজিদে মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষের ভিড় জমে ওঠে। কিছু লোক মসজিদের সামনে রাজপথে নমাজ পড়ার চেষ্টা করলে স্থানীয় একাংশ যুবক তাতে বাধা দেয় এতে দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় প্রচণ্ড বাদানুবাদ। তারপরই শুরু হয় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ইট পাটকেল ছোড়ার ঘটনা। উত্তেজিত জনতা একটি মোটর সাইকেল জ্বালিয়ে দেয়।  মুহুর্তের মধ্যে এলাকাটি রনক্ষেত্রের আকার ধারণ করে। তখন যে যেদিকে পারেন পালাতে থাকেন। গোটা শহরের প্রতিটি রাস্তায় দৌঁড়ঝাপ শুরু হয়। উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে গোটা শহরে। এমন পরিস্থিতিতে জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট কীর্তি জল্লি তাৎক্ষণিক ভাবে হাইলাকান্দি শহরে কার্ফু জারি করেন। এদিকে জুম্মার নমাজের সময় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের ঘটনার পর পরই শহরের অধিকাংশ দোকান পাট বন্ধ হয়ে যায়। সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে দেখা দেয় আতঙ্ক। অভিযোগ পুলিশ সময় মত পদক্ষেপ গ্রহণ করলে এই ঘটনা এড়ানো যেত। বর্তমানে হাইলাকান্দি শহরের পরিস্থিতি থমথমে রয়েছে বলে জানা গেছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.