নাগরিকত্ব বিলের লক্ষ্য হল প্রতিবেশী দেশে অত্যাচারিত সংখ্যালঘুদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখাঃ মোদি
নয়া ঠাহর প্রতিবেদন, নয়া দিল্লিঃ যেসব মানুষের কোথাও যাবার জায়গা নেই তাদের ভারতে স্থান দেওয়ার আমাদের মানবিক কর্তব্যের মধ্যে পরে। প্রতিবেশী দেশের সংখ্যালঘু যেমন খ্রিস্টান, পার্সি, ইহুদি ,শিখ,বৌদ্ধ বা হিন্দু যে কেউই হোক না কেন তাদের রক্ষার দায়িত্ব কি আমাদের নয়? ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাজনের পর থেকেই তারা আশ্রয়প্রার্থী হয়ে ভারতে চলে আসছেন । এ ব্যাপারে একটা সুনির্দিষ্ট সমাধান প্রয়োজন । এই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই নাগরিকত্ব বিল সংসদে আনা হয়েছে । একটি জাতীয় দৈনিকের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই মন্তব্য করেছেন। তাঁর বক্তব্য, অসমে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি তৈরির বিষয়টি দীর্ঘদিনের দাবি । সুপ্রিম কোর্টের তদারকিতেই এই এনআরসি নবায়নের কাজ চলছে । কংগ্রেসের আমলেই অসমে এনআরসি প্রণয়নের দাবি উঠেছিল। এখন বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এসে অসমের মানুষের গণদাবিকে বাস্তবে রূপ দিচ্ছে। মনে রাখতে হবে যে এর সঙ্গে মুসলিমদের বিতাড়নের কোন সম্পর্ক নেই। তিনি আরো বলেন যে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উপজাতীয় রাজ্যগুলি থেকেও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে বিরোধিতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। তবে উপজাতি রাজ্যগুলি নেতাদের সাথে কথা বলে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বিজেপি। এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন যে দেশের জনগণ এবার বিজেপিকে বিপুল ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসাবেন । কারণ গত পাঁচ বছরে বিজেপি দেশকে বিভিন্ন দিকে এগিয়ে নিয়ে গেছে । বিজেপির এই অগ্রগতিতে মানুষ সন্তুষ্ট। যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী আমরাও যে ১৯ এর লোকসভা ভোটে বিপুল জনসমর্থন নিয়ে ফের ক্ষমতাসীন হবে গেরুয়া দলই। ২০১৪ ছিল আশা আকাঙ্ক্ষার কিন্তু ২০১৯ এর ভোট হল আত্মবিশ্বাস আর অগ্রগতির।
কোন মন্তব্য নেই