Header Ads

লোকসভা নিৰ্বাচনে এখন সব রাজনৈতিক দলই শিলচরকে পাখির চোখ করেছে


কংগ্ৰেস প্ৰাৰ্থী সুস্মিতা দেব

 এনপিপি প্ৰাৰ্থী নাজিয়া ইয়াসমিন মজুমদার 
 

বিজেপি প্ৰাৰ্থী ড০ রাজদীপ রায়
 নয়া ঠাহর প্ৰতিবেদন, শিলচরঃ উত্তরপূৰ্বাঞ্চলে বিজেপি আসার পর এখন সব রাজনৈতিক দলগুলির কাছেই গুরুত্বপূৰ্ণ হয়ে উঠেছে শিলচর। ইতিমধ্যেই নিৰ্বাচনী প্ৰচারে শিচলরে দু দুবার জনসভা করে গেছেন বিজেপি সুপ্ৰিমো তথা প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদি। কংগ্ৰেসের স্টার ক্যাম্পেনার রাহুল গান্ধী এবং প্ৰিয়াঙ্কা গান্ধীও রোড শো তথা জনসভা করে বরাকবাসীর সমৰ্থন চেয়ে ভোট যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছেন।  প্ৰয়াত কংগ্ৰেস নেতা সন্তোষ মোহন দেবের কন্যা কংগ্ৰেস প্ৰাৰ্থী সুস্মিতা দেব শিলচর কেন্দ্ৰের প্ৰাৰ্থী। বরাকে তাঁর যথেষ্ট জনপ্ৰিয়তা রয়েছে। এবার শিলচর, হাইলাকান্দি এবং করিমগঞ্জ ৩টি কেন্দ্ৰে দুটি আসনকে পাখির চোখ করেছে বিজেপি। ১৯৯১ সালে প্ৰথম শিলচর এবং করিমগঞ্জে কেন্দ্ৰে বিজেপির পদ্মফুল ফোটে। বৰ্তমানে বরাক উপত্যকায় ১৫টি বিধানসভা আসনের মধ্যে দুটি লোকসভা কেন্দ্ৰ। একটি শিলচরে কংগ্ৰেসের সুস্মিতা দেব, অন্যটি করিমগঞ্জ সংরক্ষিত আসনে এআইইউডিএফ-এর রাধেশ্যাম বিশ্বাস। তার মধ্যে শিলচরের ৭ টি বিধানসভা কেন্দ্ৰের মধ্যে ৬ টি আসনই রয়েছে বিজেপির দখলে। স্বাধীনতার পর সেখানে কংগ্ৰেসের শক্ত ঘাটি ছিল। দশ বারের মধ্যে ৭ বারই কংগ্ৰেস সেখানে জিতেছে। তার মধ্যে প্ৰয়াত প্ৰবীণ কংগ্ৰেস নেতা সন্তোষমোহন দেব পাঁচবার জিতেছেন। প্ৰবীণ নেতা কবিন্দ্ৰ পুরকায়স্থের নেতৃত্বে বিজেপির ঝুলিতে জয় এসেছে মাত্ৰ ৩ বার। শিলচর কেন্দ্ৰে মুসলিম ভোটার ৩৫ শতাংশ, বাকি হিন্দু বাঙালি, হিন্দিভাষী এবং চা শ্ৰমিকরা রয়েছেন। ২০১৪ সালে শিলচরে কংগ্ৰেস এবং বিজেপির মধ্যে জোরদার টক্কর হয়। ৩৫ হাজার ২৪১ ভোটারের মধ্যে কংগ্ৰেস পেয়েছে ৪২.০৭ শতাংশ ভোট। বিজেপি পেয়েছে ৩৭.৬৬ শতাংশ ভোট এবং পারফিউম ব্যারন বদরুদ্দিন আজমল নেতৃত্বাধীন এআইইউডিএফ পেয়েছে ১০ শতাংশ ভোট। এবার মজার ব্যাপার হচ্ছে, নিৰ্বাচনে শিলচর লোকসভা আসনে মুসলিমদের ভোট পেতে উচ্চ শিক্ষিতা মুসলিম মহিলা নাজিয়া ইয়াসমিন মজুমদারকে দাঁড় করিয়েছে কেন্দ্ৰের এনডিএর- শরিক দল ন্যাশনালিস্ট পিপলস পাৰ্টি (এনপিপি)। তাই এবার শিলচর কেন্দ্ৰে লোকসভা নিৰ্বাচন জবরদস্ত এবং আকৰ্ষনীয় হবে। তাই স্বভাবিকভাবেই সকলের চোখ রয়েছে গুরুত্বপূৰ্ণ এই আসনটির দিকে। শিলচরের প্ৰাৰ্থী সুস্মিতা দেবের দল কংগ্ৰেস নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে। তাই এবার নিৰ্বাচনে বরাকে কংগ্ৰেসের জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, বিজেপি যুব নেতা ড০ রাজদীপ রায়কে নিৰ্বাচনী লড়াইয়ে দাঁড় করিয়েছে। রাজদীপ দীৰ্ঘদিন ধরে বিজেপির হয়ে বরাকের উন্নয়নে কাজ করে এসছেন। কিন্তু মূল লক্ষনীয় বিষয় হচ্ছে প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদি। কারণ তিনি সংসদে নাগরিকত্ব বিল পাস করার জন্য বাঙালি হিন্দুদের প্ৰতিশ্ৰুতি দিয়েছেন। যা সেখানে বেশিরভাগ মানুষই চাইছেন না। এখন কি হবে না হবে, তা সময়ই কথা বলবে। আর একদিন বাদে শিলচর কেন্দ্ৰে দ্বিতীয় দফার ভোট হতে চলেছে ১৮ এপ্ৰিল। সেখানে মোট ভোটারের সংখ্যা ১১ লক্ষ ৯১ হাজার ২৮৯। তার মধ্যে ৫ লক্ষ ৭৭ হাজার ২৮৩ জন মহিলা এবং ৬ লক্ষ ১৩ হাজার ৯৩১ জন পুরুষ ভোটার।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.