ডিমা হাসাও জেলার লাংটিংয়ে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই সরস্বতী বিদ্যামন্দির
বিপ্লব দেব, হাফলংঃ ডিমা হাসাও জেলায় এক বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে কে এস থাওসেন সরস্বতী বিদ্যামন্দির সম্পূর্ণ ভষ্মীভূত হয়ে যায়। রবিবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ মাইবাং মহকুমার অন্তর্গত লাংটিং-য়ে কে এস থাওসেন সরস্বতী বিদ্যামন্দিরে এই আগুন লাগে। ঘটনায় সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায় ওই স্কুল। আগুনের লেলিহান শিখায় স্কুলের সব আসবাব পত্র দরকারি কাগজ পত্র সহ ছাত্রছাত্রীদের বসার ডেক্স বেঞ্চ সব কিছুই পুড়ে যায় বলে জানা গিয়েছে। লাংটিং পুলিশ থানার পিছনে এস কে থাওসেন সরস্বতী বিদ্যামন্দিরে আগুন লাগার খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ও লাংটিং থানার পুলিশ অকূস্থলে উপস্থিত হয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। কারণ মুহূৰ্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা গোটা স্কুলকে গ্রাস করে ফেলে। এই অবস্থায় লাংটিং-য়ে অগ্নি নির্বাপক বাহিনীর কোনও কার্যালয় বা গাড়ী না থাকার খবর দেওয়া হয় মাইবাং ও লামডি-য়ে অগ্নি নির্বাপক বাহিনীকে তবে লামডিং ও মাইবাং থেকে অগ্নি নির্বাপক বাহিনী পৌঁছনোর আগেই সম্পূর্ণ স্কুল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যান উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের সিইএম দেবোলাল গার্লোসা ইএম গলঞ্জ থাওসেন। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সঙ্গে কোনও দুষ্টচক্ৰ জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও স্কুল কর্তৃপক্ষ। কারণ এখনও ওই স্কুলে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নেই তাই বিদ্যুতের সর্টসার্কিট হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। লাংটিং পুলিশের সন্দেহ কোন দুষ্কৃতীকারী দলই আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটিয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ এই ঘটনা নিয়ে লাংটিং থানায় এক এজাহার দাখিল করেছেন। লাংটিং পুলিশ ইতিমধ্যে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এদিকে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন ওই স্কুলে মোট ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১৫০ জন। কিন্তু আগুনে সম্পূর্ণ স্কুল পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ার দরুন এবার স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের পাঠদান নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। তবে পার্বত্য পরিষদের সিইএম দেবোলাল গার্লোসা বলেন- সাময়িক ভাবে অন্য কোনও জায়গায় ওই স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের পাঠদানের ব্যবস্থা করা হবে নতুন করে স্কুল নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত। সিইএম স্কুল কর্তৃপক্ষ স্থানীয় বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করে বলেন নতুন করে স্কুল নির্মাণ করতে পার্বত্য পরিষদ সব ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করবে।
কোন মন্তব্য নেই