Header Ads

বিজেপি-বিপিএফ সমঝোতা চূড়ান্ত, কোকরাঝাড়ের প্ৰাৰ্থী প্ৰমিলা, অগপ-এআইইউডিএফ-র পাশে কেউ থাকছে না

গুয়াহাটিঃ বিজেপির সঙ্গে শরিক দল বিপিএফ-র লোকসভা নিৰ্বাচনের আসন সমঝোতা চূড়ান্ত হয়ে গেল। দুই দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সমাজকল্যাণ মন্ত্ৰী প্ৰমিলা রাণী ব্ৰহ্ম কোকরাঝাড় কেন্দ্ৰ থেকে প্ৰতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। অবোড়ো জনগোষ্ঠীর বিভিন্ন সংগঠনের সমৰ্থন নিয়ে নিৰ্দল প্ৰাৰ্থী হিসাবে নব শরণীয়া কোকরাঝাড় লোকসভা কেন্দ্ৰথেকে জয়লাভ করেছিলেন। প্ৰমিলা রাণীর মতো ‘হাইপ্ৰফাইল' প্ৰাৰ্থী প্ৰতিদ্বন্দ্বিতা করলে প্ৰাক্তন আলফা নেতা নব শরণীয়ার জয়লাভের পথে বড় প্ৰতিবন্ধকতার সৃষ্টি হবে। বিটিসি প্ৰধান হাগ্ৰামা মহিলারি সৰ্বানন্দ সনোয়াল নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারকে সৰ্বতোভাবে সমৰ্থন করলেও মঙ্গলদৈ কেন্দ্ৰের বিজেপি সাংসদ রমেন ডেকার বিরুদ্ধাচারণ করছেন। প্ৰকাশ্যে না বললেও বিপিএফ মঙ্গলদৈ-র এক বৃহৎ সংখ্যক বোড়ো জনগোষ্ঠীর ভোটারদের সমৰ্থন নিয়ে কেন্দ্ৰটিতে বিপিএফ সমৰ্থক কোনও প্ৰাৰ্থীকে জিতিয়ে দিতে চাইছেন বলে দলীয় সূত্ৰের খবর। বিজেপির ওপর চাপ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে বিপিএফ-র এই নতুন কৌশল বিজেপি বুঝতে পেরেছে। বিজেপি বাকী কেন্দ্ৰগুলিতে আজও প্ৰাৰ্থী পদ চূড়ান্ত করতে পারে নি। বিপিএফ-র আপত্তির জন্য সাংসদ রমেন ডেকাকে গুয়াহাটি থেকে প্ৰাৰ্থী করার সম্ভাবনা আছে। অগপ এককভাবে লড়লে দলটির আঞ্চলিক স্থিতি ধ্বংস হয়ে যাবে। আজও বিজেপিৰ কেন্দ্ৰীয় নেতৃত্বের সঙ্গে গোপনে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরোধিতা করে লিখিতভাবে যদি বিজেপি নেতৃত্বকে জানায় তবে অগপকে নেওয়া যেতে পারে বলে রাজ্য বিজেপির একাংশ অভিমত। প্ৰকৃতাৰ্থে অগপ-বিজেপি সমঝোতা সম্ভাবনা কম। নগাঁও কেন্দ্ৰ থেকে প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী প্ৰফুল্ল কুমার মহন্তকে প্ৰাৰ্থী করার চেষ্টা চলছে। বিজেপির মাথা ব্যথা হয়েছে তেজপুরের সাংসদ আর পি শৰ্মাকে নিয়ে। শৰ্মাকে এবার টিকিট দেওয়া সম্ভাবনা কম। তার বদলে অৰ্থমন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মাকে প্ৰাৰ্থী করার কথা চলছে। রাজ্যে আগামী লোকসভা নিৰ্বাচনের প্ৰথম পৰ্যায়ের নিৰ্বাচন ১১ এপ্ৰিল তেজপুর সহ অন্যান্য চারটি কেন্দ্ৰে ভোট হবে। তেজপুর নিয়ে যেমন বিজেপির মাথা ব্যথা সৃষ্টি হয়েছে ঠিক তেমনি নগাঁও কেন্দ্ৰ নিয়েও। এই কেন্দ্ৰের সাংসদ তথা কেন্দ্ৰীয় রেল প্ৰতিমন্ত্ৰী রাজেন গোহাঁই ‘যৌন কেলেঙ্কারি'তে জড়িয়েছেন। দ্বিতীয়ত রহা-তে এইমস নিৰ্মাণে ব্যৰ্থ হয়েছেন, এই সব অভিযোগ তুলে নগাঁওয়ের ‘এলিট ক্লাস' প্ৰতিবাদে করে যাচ্ছে। কোনও ভাবেই যেন তাকে টিকিট দেওয়া না হয়। বৰ্তমানে সব থেকে করুণ অবস্থা এআইইউডিএফ-র, এই দলটির কংগ্ৰেসের সঙ্গে নিৰ্বাচনী সমঝোতা না হলে দলটির অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়বে বলে দলের মধ্যেই অভিযোগ উঠেছে। বরপেটা কেন্দ্ৰ থেকে এবার এআইইউডিএফ সাংসদ সিরাজুদ্দিন আজমল প্ৰতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না বলে দলীয় সূত্ৰে জানা গেছে। করিমগঞ্জের এআইইউডিএফ-র রাধেশ্যাম বিশ্বাস এখন কংগ্ৰেস দলের না এআইইউডিএফ-র তা নিয়ে সন্দেহ আছে। করিমগঞ্জ কংগ্ৰেস জেলা সভাপতি কংগ্ৰেসের পৰ্যবেক্ষক হরিশ রাওয়াতকে এক চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন বিশ্বাস কংগ্ৰেস দলের প্ৰাৰ্থী। এআইইউডিএফ প্ৰধান বদরুদ্দিন সাহেব গণতান্ত্ৰিক রীতি-নীতিকে বিশ্বাস করেন না। এআইইউডিএফ-র সমৰ্থক এবং নেতা কৰ্মীরা হতাশ হয়ে ক্ৰমশ কংগ্ৰেসের দিকে ঝুঁকছে। ধুবুড়ির সাংসদ বদদ্দিন আজমলকে এবার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হতে পারে। রাজ্যে প্ৰধান দুই দল বিজেপি-কংগ্ৰেসের মধ্যেই প্ৰতিদ্বন্দ্বিতা সীমাবদ্ধতা থাকবে। সে কথা আগাম বলে দেওয়া যেতে পারে। রাজনৈতিক মহলের পূৰ্বাভাস বিজেপি তাদের আগের আসন ধরে রাখতে সমৰ্থ হবে। দু'একটা বাড়তি আসনও পেতে পারে। আজ হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা দাবি করেছে বিজেপ কমপক্ষে ১১ টি আসনে জয়লাভ করবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.