Header Ads

মহন্তকে অন্ধকারে রেখে বিলের সঙ্গে আপোষ করে অগপ বিজেপির সঙ্গে সমঝোতা করল

অতুল, কেশবের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত দলের নয়, অবিলম্বে সাধারণ পরিষদের বৈঠক ডাকার দাবি জানালেন প্ৰফুল্ল কুমার মহন্ত

অমল গুপ্তঃ গুয়াহাটি,
বাংলাদেশ থেকে কোটি কোটি বাঙালি হিন্দুকে এনে অসমের ভাষা-সংস্কৃতিকে বিপন্ন করে তুলবে অজুহাত তুলে, অগপ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের তীব্ৰ বিরোধিতা করে রাজ্য জুড়ে আন্দোলন করার পর শেষ পৰ্যন্ত মন্ত্ৰীত্বের পদের মোহে ‘নিৰ্লজ্জভাবে' বিলের ঘোর সমৰ্থক বিজেপি সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করে নিজেদের দলের সঙ্গেই প্ৰতারণা করল বলে অগপ দলের মধ্যেই অভিযোগ উঠেছে। অগপ সাধারণ সভা আহ্বান না করেই বিজেপির সঙ্গে নিৰ্বাচনী সমঝোতা করে রাজ্যের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাস ঘাতকতা করল। প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী তথা অগপর প্ৰাক্তন সভাপতি প্ৰফুল্ল কুমার মহন্ত আজ নগাঁওয়ে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে সরাসরি অভিযোগ করলেন, অগপর অতুল বরা এবং কেশব মহন্তের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত, এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পৰ্ক নেই। মহন্ত অভিযোগ করলেন, দলের সাধারণ সভা আহ্বান না করেই ব্যক্তিগতভাবে এতবড় সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। গতকাল গভীর রাতে গুয়াহাটির এক ফাইভ ষ্টার হোটেলে বিজেপির কেন্দ্ৰীয় নেতা রাম মাধবের মধ্যস্থতায় মুখ্যমন্ত্ৰী সৰ্বানন্দ সোনোয়াল এবং নাডার আহ্বায়ক হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মার উপস্থিতিতে এই সমঝোতার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী প্ৰফুল্ল কুমার মহন্তকে সম্পূৰ্ণ অন্ধকারে রেখে অগপর প্ৰাক্তন কেন্দ্ৰীয় মন্ত্ৰী বীরেন্দ্ৰ কুমার বৈশ্য, অগপর তিন প্ৰাক্তনমন্ত্ৰী অতুল বরা, কেশব মহন্ত এবং ফণী ভূষণ চৌধুরীর উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে অগপকে লোকসভা নিৰ্বাচনে তিনটি আসন ছাড়া হবে, রাজ্যসভার একজনকেও প্ৰাৰ্থী করা হবে, এবং প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী প্ৰফুল্ল কুমার মহন্তকে মিজোরামের রাজ্যপাল পদে বসানো হবে ইত্যাদি সিদ্ধান্ত হয়েছে। ২০২১ সাল পৰ্যন্ত এই সমঝোতা চলবে। বিজেপির কেন্দ্ৰীয় সাধারণ সম্পাদক রাম মাধবের উপস্থিতে তিন মন্ত্ৰী তাদের আগের দাখিল করা পদত্যাগ পত্ৰ প্ৰত্যাহার করে নেন। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের অগপর স্থিতি সম্পৰ্কে রাম মাধব বলেন, হাতে এখনও অনেক সময় আছে, অগপর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করা হবে। অগপর অতুল বরা বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরোধী তারা। এ কথা বিজেপি নেতৃত্বকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিজেপির রাষ্ট্ৰীয় ‘এ্যাজেণ্ডা' যে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সে কথা অগপর জানা আছে। বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে পারস্পরিক আলোচনার ভিত্তিতে এবং সমন্বয়ের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হবে। তবে বিলটির সঙ্গে তারা কোনও আপোষ করবে না। হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা ঠারেঠোরে জানিয়ে দিলেন, বিজেপি সংঘের আমল থেকেই হিন্দুত্ববাদী নীতিতে অটল। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলকে তারা জনসংঘের সময় থেকেই সমৰ্থন করে আসছে। তার সঙ্গে কোনও ভাবে আপোষ করা হবে না। বিলটি উত্থাপন করা হবেই, এই স্থিতিতে তারা অটল। রাজনৈতিক মহলের অভিযোগ অগপ ভিতরে ভিতরে বিজেপি কেন্দ্ৰীয় নেতৃত্বের সঙ্গে সমঝোতা করেই চলছিল। তাই তিনমন্ত্ৰী পদত্যাগ করলেও মুখ্যমন্ত্ৰী সৰ্বানন্দ সনোয়াল সেই পদত্যাগ পত্ৰ গ্ৰহণ করলেও তার টেবিলের ফাইলে আটকিয়ে রাখেন। অনুমোদনের জন্য রাজ্যপালের কাছে পাঠায় নি। তাই এখন আর তিনমন্ত্ৰীর পদত্যাগ করার প্ৰশ্নই আসে নি। অগপর অতুল বরা বীরেন্দ্ৰ কুমার বৈশ্যকে সঙ্গে নিয়ে দিল্লীতে বিজেপির নেতৃত্বের সঙ্গে নিরলসভাবে সম্পৰ্ক রেখে চলছিলেন। অগপর জনভিত্তি খুবই দুৰ্বল, মন্ত্ৰীত্ব পাওয়ার পর তিনমন্ত্ৰীর স্বাচ্ছ্যলতা বৃদ্ধি পায়, স্বাভাবিকভাবেই দলের সাংগঠনিক শক্তিও বৃদ্ধি পায়। তাই দলের অস্তিত্বের প্ৰেশ্ন বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে অগপ। প্ৰফুল্ল কুমার মহন্ত অবিলম্বে দলের সাধারণ বৈঠক ডেকে সমঝোতা করার বিষয়টি নিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মিজোরামের রাজ্যপাল করার ব্যাপারে তিনি অন্ধকারে আছেন, ভিত্তিহীন খবর প্ৰকাশ করা হয়েছে। ড০ হীরেণ গোহাঁই, আসুর উপদেষ্টা সমুজ্জ্বল ভট্টাচাৰ্য, সাধারণ সম্পাদক লুরিণজ্যোতি গগৈ, কৃষক মুক্তির নেতা অখিল গগৈ, প্ৰদেশ কংগ্ৰেস সভাপতি রিপুন বরা প্ৰমুখ অগপর এই সমঝোতাকে রাজ্যের জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতক বলে অভিহিত করেছেন। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.