Header Ads

পাহাড়ে রেল অবরোধে অনড় ইন্ডিজেনাস স্টুডেন্ট ফোরাম

বিপ্লব দেব, হাফলংঃ পাহাড়ে অনির্দৃষ্টকালের জন্য রেল অবরোধে অনড় রয়েছে এন সি হিলস ইন্ডিজেনাস স্টুডেন্ট ফোরাম। মঙ্গলবার বিকেলে ডিমা হাসাও জেলার জেলাশাসক অমিতাভ রাজখোয়া ও পুলিশসুপার শ্রীজিৎ টি ইন্ডিজেনাস স্টুডেন্ট ফোরামের সভাপতি ডেভিড কেভমের সঙ্গে বৈঠকে বসে অনির্দৃষ্টকালের রেল অবরোধ প্রত্যাহার করে নেওয়ার আহ্বান জানালে ছাত্র সংগঠনটি এতে রাজি হয়নি। সংগঠনটি  তাদের অবস্থানে অনড় রয়েছে। ডেভিড কেভম জানান বুধবারের মধ্যে রেল কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামবাসীদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ মিটিয়ে না দিলে কোনও অবস্থায় রেল অবরোধ প্রত্যাহার করা হবেনা।  আগামী ৭ মার্চ থেকে পাহাড়ে রেল অবরোধের ডাক দিয়েছে এন সি হিলস ইন্ডিজেনাস স্টুডেন্ট ফোরাম। লামডিং-শিলচর ব্রডগেজ প্রকল্পের কাজে নিউহাফলং থেকে হারাঙ্গাজাও পর্যন্ত প্রায় ৫০ টি গ্রামের প্রায় ৫০০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার পর থেকেই গ্রামবাসীরা দীর্ঘদিন থেকে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে আসছিল। এমনকি এন সি হিলস ইন্ডিজেনাস স্টুডেন্ট ফোরাম ক্ষতিপূরণের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। এমনকি এনিয়ে ইন্ডিজেনাস স্টুডেন্ট ফোরাম বার কয়েক রেল অবরোধের ডাক দেয়। কিন্তু প্রতিবারই রেল কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলিকে ক্ষতিপূরণ মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিলেও উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেল কর্তৃপক্ষ আজ অবধি নিউহাফলং থেকে হারাঙ্গাজাও পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীদের ক্ষতিপূরণ মিটিয়ে দিতে কোনও পদক্ষেপ গ্রহন করেনি বলে অভিযোগ। এন সি হিলস স্টুডেন্ট ফোরামের সভাপতি ডেভিড কেভম বলেন এই ক্ষতিপূরণ ইস্যু নিয়ে বার কয়েক রাজ্যের মুখ্যসচিব উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজারের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। গত ২ মার্চ হারাঙ্গাজাওয়ে ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামবাসীদের সঙ্গে ছাত্র সংগঠনটির এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে আগামী ৬ মার্চের মধ্যে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেল কর্তৃপক্ষ নিউহাফলং থেকে হারাঙ্গাজাও পর্যন্ত ৫০ টি গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ ৫০০ পরিবারকে ক্ষতিপূরণ মিটিয়ে না দিলে ৭ মার্চ সকাল ৫ টা থেকে লামডিং-শিলচর ব্রডগেজ রেলপথে অনির্দৃষ্টকালের জন্য রেল অবরোধ গড়ে তুলবে এন সি হিলস ইন্ডিজেনাস স্টুডেন্ট ফোরাম। উল্লেখ্য, লামডিং-শিলচর ব্রডগেজ নির্মান কাজ করতে গিয়ে নিউহাফলং থেকে হারাঙ্গাজাও পর্যন্ত বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৫০০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এসব গ্রামবাসীর কৃষি জমি নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি বসত বাড়িও নষ্ট হয়ে যায়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.