Header Ads

পুলওয়ামায় হামলা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপত্তিকর মন্তব্য, নিখোঁজ গুয়াহাটির কলেজের অধ্যাপিকা

এই সেই বিতর্কিত ফেসবুক পোস্ট
নয়া ঠাহর প্ৰতিবেদন, গুয়াহাটি/কলকাতাঃ পুলওয়ামার জঙ্গি হামলা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপত্তিকর পোস্ট। বিপদে পড়েছেন গুয়াহাটির কলেজের বাঙালি তরুণী অধ্যাপিকা পাপড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারতীয় সেনা বাহিনীর নামে নেতিবাচক মন্তব্য করায় বিতৰ্কের ঝড় উঠেছে গুয়াহাটিতে। শুধু তাই নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ধরনের হুমকির মুখেও পড়েন পাপড়ি। গুয়াহাটির আইকন কমাৰ্স কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষিকা পাপড়ি বিষয়টি নিয়ে পুলিশে এফআইআর করেছেন। তবে তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্ৰোহিতার অভিযোগে গুয়াহাটির চাঁদমারি থানা ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৫ ধারা ও তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৬৬ নম্বর ধারায় সুয়ো মটো মামলা দায়ের করেছে। তাঁকে গ্ৰেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ ও করে পুলিশ। পরে অবশ্য তিনি জামিন পেয়ে যান। সোমবার থানায় তাঁর হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি থানায় হাজিরা দিতে না গেলে পুলিশ তাঁর বাড়িতে গেলে তাঁর খোঁজ মেলেনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন- ‘ এই আক্ৰমণ কাপুরুষোচিত। কিন্তু কাশ্মীর উপত্যকায় ভারতীয় সেনা মহিলাদের ধৰ্ষণ করেছে, শিশুদের খুন করেছে, পুরুষদের জবাই করেছে। দেশের সংবাদ মাধ্যম সেখানকার লোকজনকে খলনায়ক সাজিয়েছে। এর পরিবৰ্তে তাদের কাছ থেকে কোনও প্ৰতিশোধ আশা কর না? কৰ্মফল ভোগ করতেই হবে।’ বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা হওয়ায় চাকরি থেকে সাসপেন্ড হন পাপরি বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে এও বলেছেন যে তাঁর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। অন্যদিকে, একই কারণে ওই সোশ্যাল মিডিয়ায় আপত্তিকর পোস্ট, চাকরি থেকে সাসপেন্ড হয়েছেন কৃষ্ণেন্দু সেনগুপ্ত নামের দুৰ্গাপুরের ভারতীয় জীবনবিমা কৰ্মী। পুলওয়ামা ঘটনার পর এখন পৰ্যন্ত অনেকেই বিতর্কিত মন্তব্য করে রোষের মুখে পড়েছেন। রবিবার হামলা হয় বনগাঁর এক স্কুল শিক্ষকের বাড়িতে। কোচবিহারে খাগড়াবাড়ি চৌপতিতে এক যুবককে টেনে এনে কান ধরে ওঠবোস করানো হয়। ফেসবুকে উত্তেজনা ছড়ানোর অভিযোগে হাবড়া শ্রীচৈতন্য কলেজের ছাত্র অর্পণ রক্ষিতকে গ্রেফতার করে হাবড়া থানা। রোষের শিকার হয়েছেন শিলিগুড়ির অরবিন্দ নগরের এক তরুণীও।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.