পাথারকান্দির চাম্পাবাড়িতে বিজেপি কর্মী খুন, ঘাতকের বাড়িতে ভাঙচুর, তদন্তে খোদ ডিএসপি
পাথারকান্দি (অসম), ২১ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : করিমগঞ্জ জেলার পাথারকান্দি থানার অন্তর্গত পুতনি গ্রাম পঞ্চায়েতের চাম্পাবাড়ি চা বাগানে বুধবার রাতে বিজেপি কর্মীর লোমহর্ষক খুন-কাণ্ডে প্রতিবাদের আগুন জ্বলছে এলাকা জুড়ে। খুনের প্রতিবাদে উত্তেজিত জনতা বৃহস্পতিবার সকালে
ঘাতকের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছেন। এদিকে খুনোখুনি সংক্রান্ত ঘটনার পর পাথারকান্দি থানা কর্তৃপক্ষ ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সুপার মানবেন্দ্র দেবরায়ের নির্দেশে জেলা সদর থেকে প্রায় ৭৫ কিলোমিটির দূরে অকুস্থলে ছুটে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে
আনার চেষ্টা করে চলেছেন ডিএসপি (হেডকোয়ার্টার) সুধন্য শুক্লবৈদ্য। তবে ঘটনার ২৪ ঘণ্টা অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও ঘাতক বা তার সাঙ্গোপাঙ্গোদের পুলিশ ধরতে পারেনি। এতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এলাকা এবং সংশ্লিষ্ট মহলে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। প্রাপ্ত খবরে প্রকাশ, বুধবার রাত প্রায় সাড়ে নয়টা নাগাদ কাজ শেষে চাম্পাবাড়ি বাগান থেকে পায়ে হেঁটে পার্শ্ববর্তী চাঁদমারি গ্রামের পথ ধরে বাড়ি ফিরছিলেন পুতনি পঞ্চায়েতের এক নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি-র টিকিটে নির্বাচিত ওয়ার্ড সদস্যা দেবী দেবের প্রতিনিধি তথা প্রয়াত বিমান দেবের বছর ৩০-এর ছেলে বিজেপি কর্মী বিজন দেব ওরফে
টুলু। বাগানের পথ দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। এমন সময় তাঁর সামনে এসে পথ আগলে ধরে জনৈক দীননাথ কেওটের ৩২ বছরের ছেলে কাশি কেঁওট ও তার কতিপয় সাঙ্গোপাঙ্গো। তারা প্রথমে কোনও অজুহাতে বিজনকে শাঁসায়। এক সময় আচমকা একটি লোহার রড দিয়ে বিজনের মাথায় কষিয়ে আঘাত করে কাশি। মাথায় আঘাত পেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন বিজন ওরফে টুলু। হট্টগোল শোনে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসলে হামলাকারী কাশি কেওট ও তার সাঙ্গোপাঙ্গোরা
গা ঢাকা দিয়ে দেয়। ইত্যবসরে স্থানীয় লোকজন রক্তাক্ত টুলুকে তড়িঘড়ি পাথারকান্দি হাসপাতালে এনে ভরতি করেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এদিকে এই খবর মুহূর্তের মধ্যে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপাক ক্ষোভের সৃষ্টি হয় গ্রামে। মর্মান্তিক এই খবরে গোটা গ্রাম শোকগ্রস্ত হয়ে পড়ে। স্বজন হারানোর শোকে ডুবে যায় দেব-বাড়ি। অবিবাহিত টুলুর বড় বোন রিম্পি দেব এই ঘটনার জন্য সরাসরি স্থানীয় কয়েকজন কংগ্রেস নেতাকে দায়ী করেছেন। তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেসের কিছু নেতা পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রথম থেকেই টুলুকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। ক্রন্দনরত রিম্পি দেবের এই বয়ানের ভিডিও ক্লিপিংস ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেছে। এতে প্রশাসনও পড়েছে ফাঁপড়ে। বৃহস্পতিবার টুলুর মৃতদেহ ময়না তদন্তের পর তাঁর নিজের বাড়িতে এনে ডিএসপি সুধন্য শুক্লবৈদ্যের উপস্থিতিতে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। তাঁদের বাগানে সংঘটিত লোমহর্ষক এই খুনের ঘটনায় এলাকার বিজেপি মহলেও বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পাথারকান্দির বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল গুয়াহাটি থেকে তাঁর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে সংবাদ মাধ্যমকে জানান, বিজেপি-র একজন একনিষ্ঠ কর্মী খুন হওয়ায় তিনি মর্মাহত। এই খুনের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের ধরা হবেই। তাছাড়া টুলুর বোনের ভিডিও বয়ানের সত্যতা যাচাই করে পুলিশ যাতে তদন্তে গতি আনে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা তিনি নেবেন বলে জানিয়েছেন বিধায়ক পাল। পুলিশের তদন্তকারী অফিসার ডিএসপি সুধন্য শুক্লবৈদ্য বলেন, প্রকৃত খুনি ও তার সাঙ্গোপাঙ্গোদের ধরতে পুলিশ জাল বিছিয়েছে। খুনি কাশি বর্তমানে ত্রিপুরায় আত্মগোপন করেছে বলে তাঁদের কাছে খবর রয়েছে বলেও জানান তিনি। তবে বলেছেন, পালিয়ে কেউ রেহাই পাবে না, শীঘ্রই পুলিশের জালে ধরা পড়বে। এই কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড়া হবে না বলে দৃঢ়তার সঙ্গে জানান ডিএসপি সদর।
সৌজন্য : হিন্দুস্থান সমাচার
ঘাতকের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছেন। এদিকে খুনোখুনি সংক্রান্ত ঘটনার পর পাথারকান্দি থানা কর্তৃপক্ষ ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সুপার মানবেন্দ্র দেবরায়ের নির্দেশে জেলা সদর থেকে প্রায় ৭৫ কিলোমিটির দূরে অকুস্থলে ছুটে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে
আনার চেষ্টা করে চলেছেন ডিএসপি (হেডকোয়ার্টার) সুধন্য শুক্লবৈদ্য। তবে ঘটনার ২৪ ঘণ্টা অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও ঘাতক বা তার সাঙ্গোপাঙ্গোদের পুলিশ ধরতে পারেনি। এতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এলাকা এবং সংশ্লিষ্ট মহলে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। প্রাপ্ত খবরে প্রকাশ, বুধবার রাত প্রায় সাড়ে নয়টা নাগাদ কাজ শেষে চাম্পাবাড়ি বাগান থেকে পায়ে হেঁটে পার্শ্ববর্তী চাঁদমারি গ্রামের পথ ধরে বাড়ি ফিরছিলেন পুতনি পঞ্চায়েতের এক নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি-র টিকিটে নির্বাচিত ওয়ার্ড সদস্যা দেবী দেবের প্রতিনিধি তথা প্রয়াত বিমান দেবের বছর ৩০-এর ছেলে বিজেপি কর্মী বিজন দেব ওরফে
টুলু। বাগানের পথ দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। এমন সময় তাঁর সামনে এসে পথ আগলে ধরে জনৈক দীননাথ কেওটের ৩২ বছরের ছেলে কাশি কেঁওট ও তার কতিপয় সাঙ্গোপাঙ্গো। তারা প্রথমে কোনও অজুহাতে বিজনকে শাঁসায়। এক সময় আচমকা একটি লোহার রড দিয়ে বিজনের মাথায় কষিয়ে আঘাত করে কাশি। মাথায় আঘাত পেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন বিজন ওরফে টুলু। হট্টগোল শোনে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসলে হামলাকারী কাশি কেওট ও তার সাঙ্গোপাঙ্গোরা
গা ঢাকা দিয়ে দেয়। ইত্যবসরে স্থানীয় লোকজন রক্তাক্ত টুলুকে তড়িঘড়ি পাথারকান্দি হাসপাতালে এনে ভরতি করেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এদিকে এই খবর মুহূর্তের মধ্যে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপাক ক্ষোভের সৃষ্টি হয় গ্রামে। মর্মান্তিক এই খবরে গোটা গ্রাম শোকগ্রস্ত হয়ে পড়ে। স্বজন হারানোর শোকে ডুবে যায় দেব-বাড়ি। অবিবাহিত টুলুর বড় বোন রিম্পি দেব এই ঘটনার জন্য সরাসরি স্থানীয় কয়েকজন কংগ্রেস নেতাকে দায়ী করেছেন। তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেসের কিছু নেতা পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রথম থেকেই টুলুকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। ক্রন্দনরত রিম্পি দেবের এই বয়ানের ভিডিও ক্লিপিংস ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেছে। এতে প্রশাসনও পড়েছে ফাঁপড়ে। বৃহস্পতিবার টুলুর মৃতদেহ ময়না তদন্তের পর তাঁর নিজের বাড়িতে এনে ডিএসপি সুধন্য শুক্লবৈদ্যের উপস্থিতিতে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। তাঁদের বাগানে সংঘটিত লোমহর্ষক এই খুনের ঘটনায় এলাকার বিজেপি মহলেও বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পাথারকান্দির বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল গুয়াহাটি থেকে তাঁর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে সংবাদ মাধ্যমকে জানান, বিজেপি-র একজন একনিষ্ঠ কর্মী খুন হওয়ায় তিনি মর্মাহত। এই খুনের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের ধরা হবেই। তাছাড়া টুলুর বোনের ভিডিও বয়ানের সত্যতা যাচাই করে পুলিশ যাতে তদন্তে গতি আনে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা তিনি নেবেন বলে জানিয়েছেন বিধায়ক পাল। পুলিশের তদন্তকারী অফিসার ডিএসপি সুধন্য শুক্লবৈদ্য বলেন, প্রকৃত খুনি ও তার সাঙ্গোপাঙ্গোদের ধরতে পুলিশ জাল বিছিয়েছে। খুনি কাশি বর্তমানে ত্রিপুরায় আত্মগোপন করেছে বলে তাঁদের কাছে খবর রয়েছে বলেও জানান তিনি। তবে বলেছেন, পালিয়ে কেউ রেহাই পাবে না, শীঘ্রই পুলিশের জালে ধরা পড়বে। এই কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড়া হবে না বলে দৃঢ়তার সঙ্গে জানান ডিএসপি সদর।
সৌজন্য : হিন্দুস্থান সমাচার
কোন মন্তব্য নেই